প্রতিনিয়ত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে আমাদের শরীরে নানা রকম রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম একটি রোগ। আর একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাকে সারাজীবন তা নিয়ন্ত্রনের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে হবে। অন্যথায় ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। রক্তে সুগারের লেভেল বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যার জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু স্বাস্থ্য টিপস যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে এবং এটি শুরু করতে বেশি দেরি করা উচিত নয়। তাই আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিস চিকিৎসার পাশাপাশি কয়েকটি জিনিস নিয়মিত মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
Read more: ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেটে ব্যথা কমানোর উপায়
আমাদের আজকের এই নিবন্ধ তাদের জন্য যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। কারণ এখানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য টিপস দেওয়া হল। যা প্রত্যেকের ডায়াবেটিস রোগীদের জেনে রাখা উচিত। তবে তার আগে ডায়াবেটিস রোগীদের লক্ষণ কি কি জেনে নিই।
Read more: ক্যান্সারের লক্ষণ: কয়েকটি লক্ষণ যা ক্যান্সার রোগের কারণ
ডায়াবেটিস কি (What is diabetes)
ডায়াবেটিস এমন একটি সমস্যা যার মধ্যে শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোন বেশি পরিমাণে উৎপাদন শুরু হয় বা শরীরে উৎপাদিত হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ফলস্বরূপ, শরীরের রক্তে চিনির স্তর বৃদ্ধি পায়। বলা হয়ে থাকে যে এই রোগটিকে মূল থেকে নির্মূল করার কোনও উপায় নেই তবে, আমরা যদি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করি। তবে একটি সাধারণ জীবনযাপন করে বাঁচতে পারে।
Read more:
ডায়াবেটিস প্রকারভেদ (Types of diabetes)
ডায়াবেটিস দুই প্রকারের হয়।
- Type 1 Diabetes – শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না।
- Type 2 Diabete – ইনসুলিন শরীরে তৈরি হয় তবে এটি কার্যকর হয় না। এই রোগে রক্তে উচ্চ সুগার বা কম সুগার সমস্যা রয়েছে।
Read more: টাইফয়েড কি, টাইফয়েডের লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার
ডায়াবেটিসের লক্ষণ (Symptoms of diabetes)
আজকাল, ডায়াবেটিস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা হয় তবে এটি খুব সহজেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্য টিপস নিয়মিত মেনে চলাটাও দরকারি।
Read more: ব্রণ দূর করার উপায়ঃ চট জলদি ব্রণ দূর করুন
- ক্লান্ত- ডায়াবেটিসের প্রথম দিনগুলিতে আপনি সারা দিন ক্লান্ত বোধ করবেন। এমনকি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়ার পরেও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও আপনার ঘুম পাবে। শরীরে সারাদিন ক্লান্তি ভাব লাগে। তখনই বুঝতে হবে আপনার শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়ছে।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া – আপনার ডায়াবেটিস হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। যখন শরীরের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় তখন তা প্রস্রাবের পথ থেকে বেরিয়ে যায়। এই কারনেই ডায়াবেটিস রোগীদের অন্যতম লক্ষণ ঘন ঘন প্রস্রাব।
- দৃষ্টি কমে আসা– প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস চোখের ক্ষতি করে। ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে চোখের দৃষ্টি কমতে শুরু করে এবং রোগের শুরুতে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা লাগতে পারে।
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা– ডায়াবেটিস রোগী বারবার তৃষ্ণার্ত বোধ করে। কারণ শরীরের জল এবং চিনি প্রস্রাবের পথ থেকে বেরিয়ে যায়, যার কারণে তৃষ্ণার্ত বোধ করে। লোকেরা প্রায়শই এই বিষয়টি হালকাভাবে নেয় এবং বুঝতে পারে না এর আসল কারণ।
- ওজন হ্রাস– হঠাৎ ডায়াবেটিসের শুরুতে ওজন দ্রুত হ্রাস হতে থাকে।
- ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়– ডায়াবেটিস রোগীরা ওজন হ্রাস করে তবে ক্ষুধাও বাড়ায়। অন্যান্য সময়ের তুলনায় মানুষের ক্ষুধা বেড়ে যায় বহুগুণ। বারবার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে।
- অসুস্থ বোধ– ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে যে কোনও ধরণের সংক্রমণ দ্রুত নিরাময় হয় না। ভাইরাল, কাশি বা কোনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে স্বস্তি পাওয়া যায় না। মাইনর ইনফেকশন যা সহজেই নিজেরাই নিরাময় করে সেগুলি বড় আকারের ক্ষত হয়ে যায়।
Read more:
- কিসমিসের উপকারিতা: শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত কিসমিস
- অ্যাভোকাডো : স্বাস্থ্যের জন্য অ্যাভোকাডোর উপকারিতা
Read more: ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
ডায়াবেটিসদের জন্য স্বাস্থ্য টিপস (Health tips for diabetes)
-
নিয়মিত সকালে হাঁটুন (Take regular morning walks)
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য টিপস যেটা প্রথমে বলা প্রয়োজন তা হল সকালে হাঁটার অভ্যাস। ডাক্তাররাও ডায়াবেটিস রোগীদের হাঁটার পরামর্শ দেন। কারণ এটি এমন একটি শরীরচর্চা যা ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এছাড়াও নিয়মিত হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের সকালে হাঁটা উচিত।
Read more: চুলের যত্নে ৫ টি জবা ফুলের উপকারিতা
-
খাদ্য তালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার রাখা প্রয়োজন (It is necessary to include fiber in the diet)
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে বেশি পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন- গমের রুটি, ওটস ইত্যাদি রাখা উচিৎ। এগুলি ধীরে ধীরে রক্তের প্রবাহে যুক্ত হয়। এইভাবে ইনসুলিন উৎপাদিত গ্লুকোজকে আরও ভালভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।
Read more: ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা
-
বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে (You have to eat more vegetables)
ডায়াবেটিস রোগীদের ভাতের পরিমাণ কমাতে হবে এবং শাকসবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। শাকসবজির মধ্যে করলা, মেথি, পালং শাক, বেগুন, শালগম, লাউ, মূলা, ফুলকপি, বার্লি, ব্রোকলি, ছোলা, পুদিনা, শিম, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি।
Read more: ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে টমেটোর উপকারিতা
-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা (Basil leaves on an empty stomach in the morning for diabetics)
তুলসী পাতায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এছাড়াও কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিন ক্ষরণ বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা যদি সকালে খালি পেটে তিন- চারটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারে। তাহলে রক্তে শর্করা পরিমাণ কম থাকে।
Read more:
- স্বাস্থ্যের জন্য আনারসের উপকারিতা
- ১০ টি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার তালিকা
-
ডায়াবেটিস রোগীদের চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি পান করা লাভজনক (It is beneficial for diabetics to drink green tea instead of tea)
গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল। এটি একটি সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তাই প্রতিদিন চায়ের পরিবর্তে দুইবেলা গ্রিন টি পান করা লাভজনক হবে।
Read more: দাঁতের যত্নঃ কীভাবে নেবেন দাঁতের যত্ন জেনে নিন
-
দারচিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি (Cinnamon is beneficial for diabetic patients)
দারচিনি ভারতীয় খাবারের ব্যবহৃত একটি প্রধান মশলা। দারুচিনি ব্যবহারের সাথে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তে চিনির মাত্রা হ্রাস করতে সহায়ক।
দারচিনি পিষে গুঁড়ো করে নিন এবং এটি গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে এই গুঁড়ো পান করলে বিপদজনক হতে পারে। তাই পরিমাণের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে।
Read more: চুল পাকার কারণ এবং চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
-
ডায়াবেটিস চিকিৎসা মেথির বীজ (Fenugreek seeds in the treatment of diabetes)
মেথি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি চমৎকার উপাদান। মেথির বীজে ফাইবার এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা হজমশক্তি এবং কার্বোহাইড্রেট এবং সুগারের মাত্রা শোষণ করে এবং এই বীজ ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে।
Read more: ৮ টি কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও গুণাগুণ
ডায়াবেটিস রোগীরা মেথির জল অথবা মেথির শাক খেতে পারেন। তবে মেথির জল নিয়মিত না খাওয়াই ভালো কারণ সুগারের মাত্রা নীচে নেমে যেতে পারে। তাই কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত তা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া শ্রেষ্ঠ হবে।
Read more: দাঁতের ব্যথায় করনীয় এবং ঘরোয়া টোটকা
-
মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন (Avoid sweet foods)
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন- আলু, মধু, চিনি, শরবত, পাকোড়া, গুড়, বার্গার, আইসক্রিম ইত্যাদি ডায়েট তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
Read more: কালোজিরার উপকারিতাঃ কালোজিরার আশ্চর্যজনক উপকারিতা
-
শরীর সবসময় হাইড্রেট রাখতে হবে (The body must always keep hydrated)
ডায়াবেটিস রোগীদের নিজেদের শরীর সবসময়ের জন্য হাইড্রেট রাখতে হবে। আর আমাদের শরীর তখনি হাইড্রেট থাকবে যখন আমাদের দেহে জলের পরিমাণ পূর্ণ থাকবে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। শরীরে জলের অভাব হতে দেওয়া একেবারেই চলবে না।
- যথেষ্ট ঘুম প্রয়োজন (Adequate sleep required):
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে অন্তত ৭-৯ ঘন্টা ভাল ঘুম হওয়া প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেই নয়, ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতিতেও সাহায্য করতে পারে। ঠিকমত ঘুম না হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন (Stay away from stress):
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস লেভেল, যে আমাদের সুগার লেভেলের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে তা হয়ত অনেকেরই অজানা। অতিরিক্ত স্ট্রেস আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এমন অবস্থায় নিয়িমিত ব্যায়াম, মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
Key Point: শরীর হাইড্রেট থাকলে ব্লাড সুগার লেভেল কম হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শেষ কথা
আপনার ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে এবং আপনার ডায়াবেটিস জটিলতার ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করা গুরুত্বপূর্ণ।
Read more: স্বাস্থ্যের জন্য মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা
ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত নিয়মিত ডায়েট মেনে চলা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা। আশা করি আজকের নিবন্ধে থাকা স্বাস্থ্য টিপস গুলি নিয়মিত মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ
Q. ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নির্মূল করা কি সম্ভব নয়?
A. ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। তবে চিকিৎসা এবং খাওয়া- দাওয়া সঠিকভাবে করলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
Q. ডায়াবেটিস রোগীরা কলা খেতে পারবে?
A. ডায়াবেটিস রোগীরা কলা খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত নয়। এই সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Q. ডায়াবেটিস রোগীদের মেথি দিনে কবার খেতে হবে?
A. ডায়াবেটিস রোগীদের মেথি কবার এবং কতটা খেতে হবে তা নির্ভর করে সুগারের মাত্রার উপর। তাই আগে সুগারের লেভেল চেক করিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে খেতে হবে।
Q. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আইসক্রিম কি একদম বারণ?
A. ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকাই শ্রেষ্ঠ।
Q. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তুলসী পাতা কখন খেতে হবে?
A. সকালবেলা খালি পেটে ৩-৪ টে তুলসী পাতা খেলে উপকার হবে।
খুব অসাধারন ওয়েব সাইড.স্বাস্থ্য বিষয় সকল কিছু এখানে রয়েছে।