
Table of Contents
Table of Contents

দাঁতের ব্যথা কি (What is Toothache)

দাঁতের ব্যথার কারণ (Causes of Toothache)
বিভিন্ন কারণে দাঁতে ব্যথা হয়। যেমন-
- দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁতে পোকা হওয়ার ভয় থাকে। এতে দাঁতে ক্যাভিটি হয়। এর ফলে দাঁতে ব্যথা হয়।
- সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার না করার কারণে মাড়ি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁতে ব্যথা হয়।
- বেশি মিষ্টি খেলেও দাঁতের ব্যথা হয়।
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে দাঁতে ব্যথা হয়।
- ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে দাঁতে ব্যথা হয়।
Read more: দাঁতের মাড়ির সমস্যা
দাঁতের ব্যথায় করনীয় ও ঘরোয়া টোটকা (What to do with toothache)
১। লবণ জল কুলকুচিঃ
দাঁতের ব্যথায় করনীয় হল লবণ জল। যাদের মাড়ির সমস্যার জন্য দাঁতে ব্যথা হয়, তারা দিনে দু’বেলা হালকা গরম জলে লবণ দিয়ে কুলকুচি করা উচিত। এতে মাড়ি সুস্থ থাকে।
সারকথাঃ
দাঁতের মাড়ির সমস্যা অন্য়তম কার্যকারি ঔষধ লবণ জল । মাড়ির রক্ত পড়ার পাশাপাশি মাড়ির ফোলা ভাব কমায়।
২। রসুন (Garlic)
রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রাকৃতিক এজেন্টের কাজ করে পাশাপাশি এটি দাঁতের ব্যথা দূর করে। দাঁতে ব্যথা হলে রসুন চিবিয়ে খান।
Read more: হাই প্রেসার কমানোর উপায়
৩। লবঙ্গ (Cloves)
লবঙ্গ রান্নাঘরের একটি প্রয়োজনীয় মশলা। তবে এটি দাঁতে ব্যথার জন্য কার্যকর উপাদান। লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। মাড়ি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ২-৩ টে লবঙ্গ মুখে নিয়ে চেবান অথবা লবঙ্গ তেলে একটি ছোট তুলোর বলে ভিজিয়ে ব্যথা জায়গায় লাগিয়ে রাখলে আরাম পাবেন।
Read more: ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য নিম পাতার উপকারিতা
৪। পেঁয়াজ (Onion)
পেঁয়াজ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক প্রকৃতির এবং দাঁতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে দারুণ সহায়ক। দাঁতের ব্যথায় করনীয় ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে পেঁয়াজ একটি উপাদান যা সংক্রমণ ঘটানো জীবাণুকে মেরে ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
পেঁয়াজের টুকরো নিয়ে ব্যথা জায়গায় রেখে দিন অথবা পেঁয়াজের মধ্যে কামড় দিয়ে ১০ মিনিটের জন্য দাঁতের মধ্যে চেপে রাখুন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে 2-3 সপ্তাহের জন্য দিনে অন্তত একবার করলে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
Read more: মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
৫। পেয়ারা পাতা (Guava)
আমরা সকলেই জানি পেয়ারা পাতা আমাদের দাঁতের জন্য উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে দাঁতের চিকিৎসায় এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। পেয়ারার পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা দাঁতের ব্যথায় তাৎক্ষণিক উপশম দিতে সহায়তা করে। দাঁতে ব্যথা হলে পেয়ারা গাছের পাতা জলে সিদ্ধ করে নিন এবং জলে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন, আরাম পাবেন।
৬। নিম (Neem)
নিমপাতার ঔষধিগুন সবচেয়ে বেশি। শরীরের ইনফেকশন দূর করতে সহায়তা করে নিমপাতা। বিশেষ করে দাঁত এবং মাড়ি জন্য নিমপাতা অসাধারণ। যে কারণে আগে নিমের দাঁতন ব্যবহার করা হত। নিম ক্যাভিটির চিকিৎসার জন্য একটি জনপ্রিয় প্রতিকার। কারণ নিমে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন থাকার কারণে দাঁতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর কর দাঁত ক্যাভিটি মুক্ত রাখে। এছাড়াও এটি দাঁত এবং মাড়ি সুস্থও রাখে।
যাদের ক্যাভিটির সমস্যা রয়েছে, তারা দাঁতে নিয়মিত নিমপাতা ঘসে কিছুক্ষণ পর হালকা উষ্ণ লবণ জলে কুলকুচি করুণ। কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাভিটি দূর হবে। এছাড়াও আপনি ব্রাশ করার জন্য নিমের ডাল ব্যবহার করতে পারেন।
Read more: ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
৭। অ্যালোভেরা (Aloe vera)
অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মাড়ির সুরক্ষায়ও কার্যকারি। অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টি ব্য়াকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মাড়ির সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য় করে। তাই যাদের দাঁতের অথবা মাড়ির সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন খাওয়ার আগে ও পরে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। এতে মাড়ি ও দাঁত ক্ষয় রোধ হবে।
সারকথাঃ
অ্যালোভেরা গাছ ভেষজ ঔষধ বলে পরিচিত।
Frequently asked questions
Q. দাঁতের ব্যথা গুরুতর হলে কীভাবে বুঝব?
A. ১ থেকে ২ দিনের বেশি ব্যথা হলে, তীব্র ব্যথা অনুভব হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
Q. দাঁতের ব্যথা কেন হয়?
A. দাঁতে ব্যথা বিভিন্ন কারণের জন্য হয়ে থাকে। যেমন- দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে, মাড়ি দুর্বল হলে, দাঁতে ইনফেকশন হলে, দাঁতে পোকা হলে, বেশি মিষ্টি খেলে, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে দাঁতে ব্যথা হয়।
Q. দাঁতের ব্যথা উপেক্ষা করলে কী হয়?
A. দাঁতের ব্যথা উপেক্ষা করলে মাড়ির রোগ হতে পারে। ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত ইত্যাদি।
Q. প্রাকৃতিক উপায়ে কি দাঁতে ব্যথা কমানো যায়?
A. দাঁতে ব্যথা যদি সাধারণ হয় তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে কমানো সম্ভব। তবে যদি গুরুত্বর হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।