শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা -র দিকে নজর রাখা প্রত্যেক বাবা-মায়ের কর্তব্য। প্রতিটি বাবা-মা ই চায় তাদের শিশু সন্তানকে আগলে রাখত। প্রত্যেক বাবা-মা চিন্তিত থাকেন তার সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে। প্রতিটি শিশুর পিতামাতা চান তার শিশুটি যেন সু-স্বাস্থ্যবান ও বলবান হয়ে ওঠে।
Read more: ১০ টি গাজরের উপকারিতা
Table of Contents
Table of Contents
বর্তমান সময়ে শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে একটি শিশু সঠিক-পুষ্টি দ্বারা স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবে সেটাই এখন বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক পুষ্টি না পেলে শিশু ঠিকমতো বেড়ে উঠবে না। সুখাদ্য ও সঠিক পুষ্টিই পারে একটি শিশুর জীবন সুন্দরময় করে তুলতে।
Read more: ৪ টি মুখরোচক স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট রেসিপি
শিশু স্বাস্থ্য সেবা বলতে কী বোঝায়
শিশু স্বাস্থ্য সেবা বলতে বোঝায় গর্ভধারণ থেকে শুরু করে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর যত্ন নেওয়াকে শিশু স্বাস্থ্য সেবা বলে। শিশুর যত্ন সেবা চলতে থাকে পর্যায়ক্রমিক ভাবে–যেমন জন্মের পর থেকে আঠাশ দিন পর্যন্ত সদ্যেজাতর যত্ন নেত্তয়া হয়, এক মাস থেকে বারো মাস পর্যন্ত শিশুর যত্ন নেওয়া হয়, এক বছর থেকে দু’বছর পর্যন্ত শিশু হাঁটতে শেখার যত্ন নেওয়া হয়, দুবছর থেকে পাঁচ বছর অবধি প্রাক-স্কুল শিশুর যত্ন নেওয়া হয়। এই ভাবে পর্যায়ক্রমিক ভাবে শিশু স্বাস্থ্য সেবা করা হয়।
Read more: শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এ কী কী রাখা জরুরী
শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা-র ৪ টি উপায়ঃ
রাস্তার অতিরিক্ত তেলে ভাজা, ফাস্ট ফুড, আইসক্রিম , ধুলো বালি পড়া খাবার ইত্যাদি থেকে শিশুদের দূরে রাখুন, কারণ এই সমস্ত খাবারের প্রতি শিশুদের আগ্রহ সব থেকে বেশী থাকে। অনেক সময় শিশুদের জেদের কাছে বাবা-মায়েরা হার মেনে যায়। যার ফলে শিশুরা এই সব খাবারে স্বাদে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, যার দরুণ বাচ্চারা স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়টি ছোট বেলায় তৈরি করে দিতে হয় শিশুদের মাঝে। তাই ছোটোবেলা থেকে খেলার ছলে ব্যায়ম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করে তুলুন।
Read more: স্বাস্থ্যের পক্ষে অ্যালোভেরার উপকারিতা
পুষ্টিকর যুক্ত খাবার খাওয়ানোর আভ্যাস গড়ে তুলুন
ছোটোবেলা থেকে শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। যে খাবার গুলো শিশুর বুদ্ধি বিকাশ ঘটে, মস্তিকের বিকাশ ঘটায়, শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে, ওজন বৃদ্ধি ঘটায় (যেমন- টাটকা ফল-সব্জি, প্রোটিনযুক্ত খাবার, দুধ, ডিম, মাছ ইত্যাদি)।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অভ্যাস ছোটোবেলা থেকে করলে, পরবর্তিতে তারা সেই সমস্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই পছন্দ করবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর সাথে সাথে তাদের স্বাস্থ্যকর খাবারে এর উপকারিতা জানিয়ে রাখুন আর অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর খাবারের ক্ষতিকর দিকগুলো জানিয়ে রাখুন। তাহলে শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা ধারণাটি তাদের আয়ত্তে আসবে।
প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুরা খেলাধুলো বিষয়টি খুব পছন্দ করে। তাই আপনাকে খেলার ছলে তাদের প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার অভ্যাসটি গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত দৌড়-ঝাঁপ,খেলাধুলোর মাধ্যমে শিশুর শরীর সুস্থ থাকে ও সবল থাকে, শিশুর শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়। তাদের ব্যায়ামের উপকারিতা গুলো বুঝিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখবেন তারা যেন নিয়মিত ব্যায়াম করে। এইভাবে তাদের শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়ে উঠবে।
Read more: ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে শেখান
নিয়মিত সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করা, নখ কাটা, চুল আঁচড়ানো ,পরিস্কার থাকাটা শিশুদের পক্ষে খুব জরুরী। এই অভ্যাস গুলো খুব ছোটোবেলা থেকে শিশুদের শেখানো উচিত। যাতে তাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ধারনাটি ছোটোবেলা থেকেই আয়ত্তে আসে। অপরিচ্ছন্ন থাকলে রোগ-ব্যাধি প্রবনতা বাড়ে। তাই শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা মধ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আপনার শিশুকে দূরে রাখুন
আপনার শিশুকে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে রাখুন, কারন অস্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শিশুর শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। রাস্তায় ফাস্ট ফুড, রং মেশানো খাবার,তেলে ভাজা শিশুর শরীরকে বিপদের মুখে ফেলতে পরে। তাই বাচ্চাদের জেদ বশত এই খাবার গুলি কিনে দেওয়া একদমই ঠিক না। বাচ্চারা এই খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যকর খাবার তাদের মুখে রুচবে না।
Read more: বাদাম কত প্রকার ও তার গুণাগুণ
এই সমস্ত বিষয়গুলি সম্পর্ক সচেতন হতে পারলে, আপনার শিশুর জীবনটি আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ
Q. শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা বলতে কি বোঝায়?
A. শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা বলতে শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়াকে বোঝায়।
Q. শিশুদের কীভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন?
A. শিশুদের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। বাইরের খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন, নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন এবং ভালো অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন।