সূত্রঃ- cdn-w . medlife . com
আমরা আগে ডেঙ্গু সম্পর্কিত তথ্য আপনাদের জানিয়েছিলাম। তবে আজ আরও বিস্তারিত ভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার এবং আরও ডেঙ্গু সম্পর্কে অন্য তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। যত দিন যাচ্ছে মানুষ এই ভাইরাসটি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছে। কারণ এর মধ্যেই অগণিত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই মারাত্মক প্রাণহানি ভাইরাসে। তবে বর্তমানে একটু সাবধান হলে এবং সময় মতো চিকিৎসা করলে আমরা খুব দ্রুত এই ভাইরাসের হাত থেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারি। আর এর জন্যই আমাদের সকলের ডেঙ্গুর সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
আজকের এই নিবন্ধে আপনারা ডেঙ্গুর বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। ডেঙ্গু কখন ও কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, কত রকমের এই ডেঙ্গু রয়েছে, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা লক্ষণই বা কি? ডেঙ্গুর পরীক্ষা, প্লেটলেট এবং প্রতিকার জানতে আজকের নিবন্ধটিতে চোখ রাখুন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃএই লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর
Dengue Symptoms And Remedy (ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার) In Bengal
সূত্রঃ- cdn-prod . medicalnewstoday . com
ডেঙ্গু ভাইরাস দিনের পর দিন আরও ক্রমবর্ধমান হচ্ছে। তাই উচিত প্রত্যেকের সতর্ক হওয়া। ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার জানার আগে আমাদের আরও কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার। তাই এখানে আপনাদের জন্য ডেঙ্গু সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য রইল-
ডেঙ্গু কখন এবং কীভাবে হয় ( How And When Dengue Occurs)
সূত্রঃ- cdn2 . momjunction . com
আমরা আগের ডেঙ্গু নিবন্ধে আপনাদের বলেছিলাম এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়েই ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই মশা চেনার উপায় এদের গায়ে চিতার মতো ডোরা দাগ রয়েছে। এই মশা দিনের বেলায় আক্রমণ করে, বিশেষত দিনের বেলায়। বর্ষকাল এবং এর ঠিক পরে জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। তবে এডিস ইজিপ্টাই নামক এই মশা খুব উঁচুতে উড়তে পারে না।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার উপায়
কীভাবে ছড়িয়ে যায় ডেঙ্গু (How To Spread Dengue)
সূত্রঃ- www . instagram . com/p/B58QYxMpa44/
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে ডেঙ্গু ভাইরাস অতিরিক্ত পরিমাণে উপস্থিত থাকে। যখন একটি এডিস মশা একটি ডেঙ্গু রোগীকে কামড়ায়, তখন সেই রোগীর রক্ত চুষে ফেলে। ডেঙ্গু ভাইরাস রক্তের সাথে মশার দেহেও যায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সাথে সেই মশা যখন অন্য একজনকে কামড়ায়, তখন ভাইরাসটি মানুষের দেহে পৌঁছে, যার ফলে সেই ব্যক্তিটিও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
কত ধরণের ডেঙ্গু রয়েছে (What kind of dengue is there)
সূত্রঃ- www . practostatic . com
সাধারণত তিন ধরণের ডেঙ্গু দেখা যায়-
- সাধারণ ডেঙ্গু বা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর।
- ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু রক্তক্ষরণ জ্বর (DHF)।
- ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS)।
সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর নিজে থেকে নিরাময় হয় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে না তবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধরণের ডেঙ্গু সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই রোগীর সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা না হলে ব্যক্তি মারাও যেতে পারে। এরজন্যই ডেঙ্গু সাধারণ না ডিএইচএফ বা ডিএসএস তা সনাক্ত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ নিপা ভাইরাস কি, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায়
ডেঙ্গুর জ্বর কখন দেখা যায় (When Is Dengue Fever Seen)
সূত্রঃ- s3 . amazonaws . com
মশা কামড়ের প্রায় ৩-৫ দিন পরে রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। বর্তমানে শরীরে এই রোগের সময়কাল ৩ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত দেখা যাছে।
ডেঙ্গুর লক্ষণ কি ( What Are The Symptoms Of Dengue)
সূত্রঃ- www.instagram.com/p/BHcS4bEBvVS/
যেহেতু সাধারণত তিন ধরণের- সাধারণ ডেঙ্গু, ডেঙ্গু রক্তক্ষরণ জ্বর এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বেশি দেখা যায় তাই এখানে আলাদা আলাদা ভাবে এই তিন ধরণের ভাইরাসের লক্ষণ দেওয়া হল-
সাধারণ ডেঙ্গু বা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃ
- ঠাণ্ডা লাগার পর হঠাৎ তীব্র জ্বর।
- মাথা, মাংসপেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা।
- চোখের পিছনে ব্যথা।
- অত্যধিক দুর্বলতা, ক্ষুধা এবং বমি বমি ভাব এবং মুখে স্বাদ পরিবর্তন।
- হালকা গলায় ব্যথা।
- মুখ, ঘাড় এবং বুকে র্যাশ।
সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরণের ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু রক্তক্ষরণ জ্বরঃ
সাধারণ ডেঙ্গুর জ্বরের লক্ষণগুলির পাশাপাশি যদি নীচের এই লক্ষণগুলি দেখা যায় তবে এটি ডিএইচএফ ডেঙ্গু হতে পারে। এটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।
- নাক এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ।
- মলত্যাগ বা বমি বমি ভাব।
- ত্বকে গাঢ় নীল-কালো বর্ণের ছোট বা বড় দাগ।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোমঃ
ডিএইচএফ লক্ষণগুলি পাশাপাশি নীচের এই লক্ষণগুলি দেখলে বুঝতে হবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS) লক্ষণ।
- রোগী খুব অস্থির হয়ে ওঠে এবং উচ্চ জ্বর সত্ত্বেও, তার ত্বক শীতল অনুভূত হয়।
- রোগী ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাতে থাকে।
- রক্তচাপ একদম কমে যায়।
- রোগীর স্পন্দন কখনো দ্রুত আবার কখনো ধীরে ধীরে চলতে থাকে।
সারকথাঃ
ডেঙ্গু কখনও কখনও মাল্টি অর্গান ব্যর্থতার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ টাইফয়েড কি, টাইফয়েডের লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার
ডেঙ্গুর প্রতিকার (Dengue Remedy)
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার থেকে তো আমরা লক্ষণ সম্পর্কে আশাকরি ধারণা পেয়ে গেছি। তাহলে চলুন এবার চোখ রাখি ডেঙ্গুর প্রতিকারের পয়েন্টে।
সাধারণ ডেঙ্গু হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে সাধারণ ডেঙ্গুতে সম্ভবত ঘরে বসে চিকিৎসা এবং যত্ন নেওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শের পরে প্যারাসিটামল নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর সঠিক সময়ে খাওয়া, বিশ্রাম এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।
নোটসঃ
অ্যাসপিরিন নেবেন না। এগুলি প্লেটলেটগুলি হ্রাস করতে পারে।
রোগী যদি ডিএসএস বা ডিএইচএফের কোনও লক্ষণ দেখতে পান তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডিএসএস এবং ডিএইচএফ জ্বরতে প্লেটলেটগুলিকে হ্রাস করে দেয়, যা শরীরের অন্য অংশে প্রভাবিত করতে পারে। তবে ডেঙ্গু জ্বরে প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তির যে প্লেটলেট প্রয়োজন হয় তা কিন্তু নয়, শুধুমাত্র হেমোরেজিক এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোম জ্বরের জন্য প্লেটলেটগুলি বাড়ানো প্রয়োজন। যদিও বর্তমানে সঠিক সময় ডিএসএস এবং ডিএইচএফ জ্বরের চিকিৎসা শুরু করা যায় তবে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্পূর্ণ সম্ভবনা থাকে।
- এলোপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
এলোপ্যাথিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঔষধগুলি ডেঙ্গুর লক্ষণগুলি দেখার পড়ে এবং রক্তের প্লেটলেটগুলিরপরীক্ষার পরে দেওয়া হয়। এলোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে এবং অন্যান্য তরল যেমন ডাবের জল, লেবু জল ইত্যাদি পান করুন যাতে রক্ত ঘন না হয়ে যায়। এছাড়াও রোগীর সম্পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন।
নোটসঃ
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরে জলের অভাব হতে দেওয়া যাবে না।
ডেঙ্গু জ্বর ডাক্তারের চিকিৎসা ছাড়া হয়তো প্রাকৃতিক উপায়ে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হতে পারবেন না। তাই অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা চালাতে হবে। তবে আপনি চিকিৎসার পাশাপাশি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এই প্রাকৃতিক এবং আয়ুর্বেদিকের হাত ধরে। নীচে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়ে ডেঙ্গুর চিকিৎসার উপদেশ রইল-
- ডেঙ্গুতে প্রথমত প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। কারণ শরীরে জলের অভাব হতে দেওয়া যাবে না। তাই রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়াতে হবে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য ডাবের জল, লেবুর জল, আপেলের জুস, হলুদ দুধ ইত্যাদি পান করাতে হবে।
- ডেঙ্গু জ্বরে একটি ভালো চিকিৎসা হল মেথির ভেজানো জল। দিনে অন্তত ২-৩ বার পান করাতে হবে।
- ডেঙ্গুর চিকিৎসা পেঁপে পাতার রস কার্যকর। দিনে ২-৩ বার এই পাতার রস খেলে রক্তের অভাব দূর হয়।
ডেঙ্গুর পরীক্ষা (Dengue Test):
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
জ্বরের যদি তীব্র হয় বা শরীরে ফুসকুড়ি হয় তবে প্রথম দিনেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা উচিত। যদি কোনও লক্ষণ না বুঝতে পারেন এবং শুধুমাত্র উচ্চ জ্বর থাকে তাহলে ২ দিন অপেক্ষা করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সন্দেহ হলে অবশ্যই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করাতে হবে।
প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য অ্যান্টিজেন রক্ত পরীক্ষা (এনএস 1) করা হয়। এই পরীক্ষায় ডেঙ্গু প্রাথমিকভাবে পজিটিভ হয়, তবে ৪-৫ দিন থেকে এটা নেগেটিভ হয়ে যায়। যদি তিন থেকে চার দিন পর পরীক্ষা হয় তবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাই ভালো। ডেঙ্গু পরীক্ষা করার সময় শ্বেত রক্ত কণিকার মোট কাউন্ট এবং আলাদা আলাদা কাউন্ট করা উচিত। এতে প্লেটলেটগুলির সংখ্যা জানা যায়।
বেশিরভাগ হাসপাতাল এবং ল্যাবগুলিতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। ভাল ল্যাবগুলিও দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে পেশ করে। এই পরীক্ষাগুলি খালি বা পূর্ণ পেটে করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ জন্ডিস কেন হয়, জন্ডিসের লক্ষণ এবং চিকিৎসা
ডেঙ্গুর প্লেটলেট (Platelets of Dengue):
সূত্রঃ- www . goodknight . in
সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে দেড় থেকে দুই লক্ষ প্লেটলেট থাকে। এই প্লেটলেটগুলি শরীরের রক্তপাত রোধের কাজ করে। প্লেটলেটগুলি যদি এক লক্ষেরও কম হয়, তবে এটি ডেঙ্গির কারণে হতে পারে।
প্লেটলেটগুলি এক লক্ষেরও কম হলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। যদি প্লেটলেটগুলি ২০ হাজার বা তারও কম হয়ে যায় তবে প্লেটলেটগুলি সরবরাহ করা দরকার। সম্ভবত ৪০-৫০ হাজার প্লেটলেট না হওয়া পর্যন্ত রক্তক্ষরণ ঘটে না।
ডেঙ্গু ভাইরাস সাধারণত প্লেটলেট হ্রাস করে, যার ফলে শরীরে রক্তক্ষরণ হয়। সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে যদি প্লেটলেট এক লক্ষ থেকে ৪০-৫০ হাজারে নেমে যায় তাহলে রাতের মধ্যে ২০ হাজারে নেমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই অবস্থায় এইরকম পরিস্থিতিতে, চিকিত্সকরা প্লেটলেটগুলি জোগাড় শুরু করেন যাতে প্রয়োজন মতো যখন রোগীকে প্লেটলেটগুলি দেওয়া যায়। প্লেটলেটগুলি সরাতে তিন-চার ঘন্টা সময় লাগে।
ডেঙ্গুর প্রতিরোধ (Dengue Prevention)
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
- ডেঙ্গু ভাইরাসগুলি কেবলমাত্র সকাল এবং সন্ধ্যা সর্বাধিক সক্রিয় থাকে, এ কারণেই এ সময় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত।
- বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমতে দেওয়া যাবে না।
- মশারা ডিম পাড়াতে পারে এমন কোনও স্থানে পরিষ্কার রাখুন।
- সঠিক সময়ে ঘরে সমস্ত আবর্জনা ফেলে দিন।
- সময়ে সময়ে, মশা মারার স্প্রে করুন।
- বাচ্চাদের ফুল হাতা জামা এবং ফুল প্যান্ট পরান।
- অসুস্থতা এড়াতে শারীরিকভাবে ফিট, মানসিকভাবে শক্ত থাকা দরকার।
- আট-দশটি তুলসী পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন।
- প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
- আদা চা খান।
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দুর্বল এবং তারা খোলামেলা জায়গায় বেশি থাকে, তাই তাদের সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আরও বেশি প্রয়োজন। বাবামাদের লক্ষ করা উচিত যাতে বাচ্চারা পুরো পোশাক পরে ঘরে বাইরে যায়। বাচ্চাদের যদি ডেঙ্গু হয় তবে তাদের কেবলমাত্র হাসপাতালে চিকিত্সা করা উচিত কারণ শিশুদের মধ্যে প্লেটলেটগুলি দ্রুত হ্রাস পায় এবং তাদের দ্রুত পানিশূন্যতা হয়।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সাইনাসের লক্ষণ কি এবং তার কারণ
ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিকার আশাকরি জেনে গেলেন। এবার ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন। ডেঙ্গু উপসর্গ বুঝতে পারলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করান এবং সুস্থ থাকুন।
সারকথাঃ
২-৩ দিন তীব্র জ্বর থাকলে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ
প্রঃ ডেঙ্গু জ্বর কত দিন পর্যন্ত থাকে?
উঃ ডেঙ্গু জ্বর ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
প্রঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কতদিনের মধ্যে পরীক্ষা করতে হবে?
উঃ ২-৩ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করা উচিত।
প্রঃ সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি চিকিৎসা করানো প্রয়োজন?
উঃ সাধারণ ডেঙ্গু হলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করতে হবে।
প্রঃ ডেঙ্গু জ্বরে কি পরীক্ষা করতে হবে?
উঃ অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতে হয়।
প্রঃ ডেঙ্গু জ্বরে পেঁপের রস দিনে কতবার পান করতে হবে?
উঃ ডেঙ্গু জ্বরে পেঁপের রস দিনে ২-৩ বার খেতে হবে।
প্রঃ ডেঙ্গু জ্বরে প্লেটলেট কত কমে যায়?
উঃ এক লক্ষ থেকে ৪০-৫০ হাজারে নেমে যায়।