ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট আপনার জেনে রাখা উচিত

ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট

সূত্র :- i.ytimg . com

ড্রাগন ফল পিতায়া নামে পরিচিত। এই পিতায়া ফলটি খুব সুস্বাদু ফল এবং মধ্যে আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া অঞ্চলে জনপ্রিয়। এই ভিনদেশী ফলটির স্বাদ হালকা মিষ্টি। এটি বিভিন্ন ধরণের পুষ্টির ভালো উৎস যেমন- ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট, ফাইবার, পলিফেলন ইত্যাদি। তাই ড্রাগন ফলে ভিন্ন ধরণের সুবিধা রয়েছে। ড্রাগন ফলে হজমজনিত সমস্যা থেকে হার্টের অসুখ কম করার ভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। তবে এই ফলের স্বাস্থ্য সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ আমারা আগেই জেনেছি। এই আর্টিকেলে ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট সম্পর্কে আপনাদের জানাব যা আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।

ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট :

ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট
সূত্রঃ- https://www.instagram.com/p/BzgIjwhANc_/

আমরা সবাই জানি সবকিছুর সুবিধা এবং অসুবিধা দুটো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঠিক তেমনি ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন খাওয়া উপকার তেমনি প্রচুর পরিমাণে এই ফল খেলে তার কয়েকটি সাইড এফেক্ট দেখা যায়। আজকের এই নিবন্ধে আমরা কিছু বিশেষ ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট আপনাদেরকে জানাব।

অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি হতে পারেঃ

অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি হতে পারেঃ

সূত্র :- fastnewsfeed . com

ড্রাগন ফল ভিটামিন, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট, পলিফেলন এবং ফাইবারের ভালো উৎস। এই যৌগগুলি আমাদের উপস্থিতি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। আমরা এই ফলটি আমাদের খাবারের তালিকায় যোগ করে আমরা স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য সুবিধা উপভোগ করতে পারি।

তবে অনেকেই আবার এই ফলটি খাবারে যোগ করে সুবিধা ভোগ করতে পারে না। কারণ কারও এই ফলটি অতিরিক্ত খাওয়া ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায়। আপনার যদি ড্রাগন ফলে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে এই ফলটি আপনার না খাওয়াই শ্রেষ্ঠ কাজ হবে কারণ এই ফল খেলে ঠোঁটে, জিভে এবং গলায় জ্বালা সৃষ্টি করে যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া।

অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারেঃ

অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারেঃ

নিয়মিত অল্প পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া আমাদের পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারি এবং আমাদের পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। ড্রাগন ফলে ফাইবার উপাদান থাকায় এই সুবিধা পাওয়া যায়। এই ফলটি আমাদের পাচক সিস্টেম ভালো রাখে এবং পেটে ব্যথা, অন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্ত দেয়। তবে অতিরিক্ত ফাইবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য আবার ক্ষতিকারক। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেয়ে আমরা এই ফল অতিরিক্ত গ্রহণ করি তাহলে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

ড্রাগন ফলে হাইপোটেনশন (নিম্ন রক্তচাপ) হতে পারেঃ

ড্রাগন ফলে হাইপোটেনশন (নিম্ন রক্তচাপ) হতে পারেঃ

নিয়মিত অল্প সঠিক পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ অথবা হাই ব্লাড প্রেসারের জন্য বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার সমস্যাগুলি যেমন হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, অনিয়ন্ত্রিত হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি সমস্যা হয়। ড্রাগন ফলের মাধ্যমে আমারা এই ধরণের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারি কারণ ড্রাগন ফলে পটাসিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে। পটাসিয়াম একটি অপরিহার্য খনিজ যা আমাদের রক্তবাহী পদার্থকে শিথিল করে, রক্ত ​​সঞ্চালনকে উন্নত করে এবং আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ড্রাগন ফল আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও আমাদের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণ পটাশিয়াম আমাদের শরীরের প্রবেশ করলে আমাদের ব্লাড প্রেসার কম লেভেল হয়ে যেতে পারে যা হাইপোটেনশন বলা হয়। হাইপোটেনশন ফলে আমাদের ব্লাড প্রেসার ওঠা নামা করতে পারে যার ফলে মাথা ঘোরা, বমিভাব, ডিপ্রেশন, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হবে।

গুরুত্বপূর্ণ নোটসঃ

আপনি যদি ইতিমধ্যেই হাইপারটেনশন ভুগছেন এবং ঔষধ গ্রহণ করছেন তাহলে অবশ্যই কম পরিমাণে খান। কারণ এটি ঔষধের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

এই কয়েকটি সমস্যা ছাড়াও অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অনেকে বলে থাকেন হার্টের রোগ, হাঁপানি রোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আশা করব ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট জেনে গেলেন। তাই নিজে সুস্থ থাকতে ড্রাগন ফল খান তবে অতিরিক্ত নন। আর অ্যালার্জি সমস্যা যাদের তারা এর থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।

সারকথাঃ

অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে ওজন বাড়ার সম্ভবনা থাকে।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here