প্রাইমারী শেয়ার বাজারঃ প্রাইমারী বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

প্রাইমারী শেয়ার বাজার

সূত্র:- cdn.wallstreetmojo . com

প্রাইমারী শেয়ার বাজার নিউ ইস্যু মার্কেট নামে পরিচিত। যেখানে নতুন সিকিউরিটিজ জারি করা হয়। এই বাজারকে মূলধন বাজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কোনও কোম্পানি বা সংস্থা যদি শেয়ার বাজারে প্রথম প্রবেশ করে তাহলে তাকে প্রাইমারি বাজারের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। পূর্ববর্তী শেয়ার বাজার নিবন্ধে প্রাইমারী বাজারের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছিল। এই নিবন্ধে আমরা প্রাইমারী শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রাইমারী শেয়ার বাজার কি এবং তার বিস্তারিত সম্পর্ক।

প্রাইমারী শেয়ার বাজার 

প্রাইমারী শেয়ার বাজার কি

সূত্র:- encrypted-tbn0.gstatic . com

যে বাজারে কোম্পানি ইক্যুইটি বা ঋণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ জারি করে মূলধন বৃদ্ধি করে, সেই বাজারকে প্রাইমারি শেয়ার বাজার বলা হয়।

প্রাইমারী বাজারে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি ইস্যুকারী থেকে সিকিউরিটিজ ক্রয় করতে পারে। এটি কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।

প্রাইমারী বাজারের বৈশিষ্ট্যঃ

প্রাইমারী বাজারের বৈশিষ্ট্যঃ

সূত্র:- assignmentpoint . com

• কোম্পানি বা সংস্থা দীর্ঘমেয়াদী মূলধনের জন্য নতুন ইস্যু জারি করে থাকে।
• প্রাইমারী শেয়ার বাজার এর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য, মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ ইস্যু করে।
• কোম্পানি অর্থ পাওয়ার পরই বিনিয়োগকারীদের সার্টিফিকেট ইস্যু করে। কোম্পানি এই অর্থ উন্নতির জন্য ব্যবহার করে।

প্রাইমারী বাজারের সুবিধাঃ

প্রাইমারী বাজারের সুবিধাঃ

সূত্র:- accountlearning . com

1. নতুন উদ্যোগ শুরু করার সুযোগ প্রদান

প্রাইমারী শেয়ার বাজার নতুন বিনিয়োগকারীদের নতুন উদ্যোগ শুরু করার সুযোগ প্রদান করে।

2. কম খরচঃ

এই বাজারে কোম্পানি কম খরচে বেশি মূলধন পেতে পারে।

3. সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রিঃ

প্রাইমারী বাজারে যে সিকিউরিটিজগুলি ইস্যু করা হয় সেগুলি দ্রুত সেকেন্ডারি মার্কেট বিক্রি করা যায়।

4. কম ঝুঁকিঃ

সেকেন্ডারি বাজারের তুলনায় প্রাইমারী বাজারের ঝুঁকি কম।

5. দালাল অনুপস্থিতঃ

প্রাইমারী বাজার যেহেতু সরাসরি বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ ইস্যু করে তাই কোনও দালাল থাকে না। যার জন্য বিনিয়োগকারীকে দালালের জন্য অতিরিক্ত লেনদেন ফিস বা স্ট্যাম্পের খরচ বহন করতে হয় না।

6. ট্রেজারি বন্ড বিক্রিঃ

ট্রেজারি বন্ড বিক্রির মাধ্যমে মূলধন বাড়ানো সম্ভব।

7. অস্থিরতা নেইঃ

প্রাইমারী বাজারে অন্য কোনও বাজারের অস্থিরতা নেই।

প্রাইমারি শেয়ার মার্কেট এবং সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটের পার্থক্যঃ

প্রাইমারি শেয়ার মার্কেট এবং সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটের পার্থক্যঃ

সূত্র:- cdn.educba . com

প্রথমত, একটি প্রাইমারী মার্কেটে ফ্রেশ শেয়ার ইস্যু করা হয় এবং একটি সেকেন্ডারি মার্কেটে বিদ্যমান শেয়ার ট্রেড করা হয়।

দ্বিতীয়ত, ইস্যু করা শেয়ার থেকে প্রাপ্ত অর্থ প্রাইমারী শেয়ার মার্কেটের কাছে যায়। অন্যদিকে, সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটে ক্রেতা শেয়ার ক্রয় করে এবং বিক্রেতারা অর্থ উপার্জন করে। সেকেন্ডারি মার্কেটে কোম্পানি কোন অর্থ পায় না।

তৃতীয়ত, প্রাথমিক বাজারে একই দামে সিকিউরিটিজ জারি করা হয় এবং সেকেন্ডারি মার্কেটে বাজার দরে সিকিউরিটিজগুলি বিনিময় করা হয়।

প্রাইমারী বাজারে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

প্রাইমারী বাজারে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

সূত্র:- c.asstatic . com

প্রাইমারী শেয়ার বাজারে প্রবেশ কারার জন্য আপনার যেসমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রয়োজন হবে সেগুলি হলে-

1. প্যান কার্ডের নাম্বার
2. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
3. ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট

প্রাইমারী বাজারে কীভাবে বিনিয়োগ করব?

প্রাইমারী বাজারে কীভাবে বিনিয়োগ করব

সূত্র:- i.ytimg . com

যদি আপনি প্রাইমারি বাজারে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনি যেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন সেই কোম্পানি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যাচাই করুন। যেমন- বাজারের আর্থিক অবস্থা, প্রি-রেশিও, বুক ভ্যালু ইত্যাদি। অথবা আপনি ব্রোকারের মাধ্যমেও কোম্পানির সমস্ত তথ্য যাচাই করতে পারেন এবং তারপর বিনিয়োগ করতে পারেন।

আশা করি, প্রাইমারী শেয়ার বাজার নিবন্ধটি থেকে প্রাইমারী বাজার সম্পর্কে আপনাদের ছোট ধারনা হবে। আরও ভালো ভালো তথ্য পেতে আমাদের অন্যান্য পেজগুলি লক্ষ্য করুন।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here