চা এবং কফি আমাদের জীবনে নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছি। আমরা আগে এগুলি পান করতাম শরীর রিফ্রেশ বা স্বাদের জন্য। তবে এখন সবাই কিন্তু শরীরের উপকারিতার জন্য চা অথবা কফি খেয়ে থাকে। আমরা শরীর সুস্থ রাখতে গ্রিন চা খেয়ে থাকি। তবে সেই স্বাস্থ্যের সুবিধার জন্য গ্রিন কফি যুক্ত হয়েছে। সবুজ কফি বীজ সাধারণ কফির বীজের চেয়ে আলাদা।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে গ্রিন কফি খুব উপকারী। এছাড়াও গ্রিন কফি বীজে অনেক স্বাস্থ্যসম্মত সুবিধা রয়েছে। সেই সুবিধার কথা আমরা আজকের এই নিবন্ধে আমরা আপনাদের জানাব। চলুন তাহলে জেনে নিই সবুজ কফি বীজ এর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতাগুলি।
সবুজ কফি বীজের উপকারিতাঃ
-
২ টাইপ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে –
ডায়াবেটিসের রোগীরা গ্রিন কফি খেতে পারেন। এটি পান করার ফলে রক্তে বেড়ে যাওয়া চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। একই সাথে ওজনও হ্রাস পেতে শুরু করে এবং ২ টাইপ ডায়াবেটিস রোধ করতে রক্তে সুগারের মাত্রা কম করা ও ওজন কমানো এই দুটি জিনিসই প্রয়োজনীয়।
-
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে –
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন পরিমাণ অনুযায়ী সবুজ কফি খাওয়া যেতে পারে। খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে এটি একটি ভাল উৎস। যদি শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তবে ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুখের মতো অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
-
হৃদরোগ কম করতে সবুজ কফি বীজ –
সবুজ কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এটি গ্রহণ রক্তনালীগুলিতে ভালো প্রভাব ফেলে এবং হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। এছাড়াও, গ্রিন কফি পান করা গ্লুকোজ বিপাকের উন্নতি করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি যারা ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য দারুণ কার্যকর।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে –
আপনি যদি আপনার অতিরক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং নিজের ডায়েট চার্ট সঠিকভাবে অনুশীলন করতে পারছেন না তাহলে আপনি নিয়মিত গ্রিন কফি পান করার মাধ্যমে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেন। সবুজ কফি বীজ শরীরের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে দেয় না এবং ক্যালরি হ্রাস করতে সহায়তা করে। ওজন হ্রাস করার জন্য গ্রিন কফি একটি ভালো বিকল্প।
-
মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন –
গ্রিন কফি যদি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি মাথা ব্যথা থেকে মুক্তিও দিতে পারে। এটি কেবল মাথাব্যথা কম করতেই পারে না, এটি মুক্তিও দিতে পারে। গ্রিন কফিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি এই কাজে সহায়তা করে।
-
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে –
গ্রিন কফিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্যগুলি যে কোনও ধরণের ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়াল আক্রমণ থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য গ্রিন কফি প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।
-
স্কিন ময়েশ্চারাইজার করতে সহায়তা করে –
গ্রিন কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির পাশাপাশি ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং আম্ল অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার সরবরাহ করে। এটি ত্বককে শুষ্ক ও নিস্তেজ হতে বাধা দেয়। ত্বকে বয়সের বৃদ্ধির ছাপ রোধ করে। এছাড়াও, ত্বকে কোনও দাগছোপ কমায়।
-
চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে –
আমাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ হল অ্যান্টি– অক্সিডেন্ট এর অভাব থাকায়। আর আমরা সবাই জানি সবুজ কফি বীজ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট স্মৃদ্ধ। যা চুল পড়া আটকাতে সহায়তা করে। তাহলে চুল পড়ার হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত গ্রিন কফি পাব করুন।
তাহলে দেখলেন তো সাধারণ সবুজ চা যেমন আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারি। ঠিক তেমনি সবুজ কফি বীজ কিছু কম উপকারি নয়। তাহলে আশা করি নিয়মিত স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দিনে একবার সবুজ কফি পান করবেন।