আর্থ্রাইটিস কি, রোগের লক্ষণ এবং ব্যথা কমানোর চিকিৎসা

আর্থ্রাইটিস আজকাল খুব কমন একটি নাম। আমরা আশেপাশে প্রায়ই এই রোগের কথা শুনে থাকি। এটি নির্দিষ্ট রোগ না হলেও এটি রোগ বলে ধরা হয়। এর কবলে এখন আর শুধু বয়স্করাই নয় বরং কিশোর কিশোরীরাও। এটি এমন একটি রোগ যা হয়তো কোনদিন পুরোপুরি ভাবে সারে না। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসার চালানোর মাধ্যমে আমরা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে পারি এবং নিজেদের জীবন মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।

Read more:  সাইনাসের লক্ষণ কি এবং তার কারণ

আর্থ্রাইটিস

সাধারণত অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের প্রদাহকেই আর্থ্রাইটিস বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই ব্যথা হাঁটুতে বেশি হয় পাশাপাশি কাঁধ ও হাত ফুলে যাওয়া এবং তীব্র বেদনা হয়। এটি এমন একটি ব্যথা যা এখন অল্প বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং মহিলাদের মধ্যে এই আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। সঠিক সময়ে এর লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা না করালে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

আজকের এই নিবন্ধে আমরা আর্থ্রাইটিস সম্পর্কে নানা ধরণের তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব। এছাড়াও এখানে রইল আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ এবং ঘরোয়া ভাবে ব্যথা কমানোর চিকিৎসা।

Read more: মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

আর্থ্রাইটিস কি (What is arthritis)

আর্থ্রাইটিস কি

আর্থ্রাইটিস জয়েন্টের প্রদাহকে বলা হয়। এটি এক অথবা বিভিন্ন জয়েন্টকে এফেক্ট করতে পারে। ১০০ র বেশি আর্থ্রাইটিস রয়েছে এবং তাদের লক্ষণ এবং চিকিৎসার পদ্ধতিও ভিন্ন ধরণের। তবে সাধারণত দুই ধরণের আর্থ্রাইটিস খুব পরিচিত। অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। এই দুটি সাধারণত বেশি দেখা যায় মানুষের মধ্যে।

এই ধরণের সমস্যাগুলি দেখা যায় যখন কোন ব্যক্তির জয়েন্টে সমস্যা হয়। জয়েন্ট এমন একটি জায়গা যেখানে দুটি হাড় মিলিত হয়। যেমন কনুই বা হাঁটু। কিছু আর্থ্রাইটিস রয়েছে যেগুলো এই জয়েন্টের ক্ষতি করে দেয়। আর্থ্রাইটিস লক্ষণ সাধারণত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ হয়, তবে তা হঠাৎ দেখা যেতে পারে। এটি সাধারণত ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের দেখা যায়, তবে এটি শিশু, কিশোর এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও বিকাশ হতে পারে।

Key point

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আর্থ্রাইটিস সমস্যা বেশি দেখা যায়।

আর্থ্রাইটিস কেন হয় (Why arthritis occurs) 

আর্থ্রাইটিস কেন হয়

কার্টিলেজ জয়েন্টগুলি একটি নরম এবং নমনীয় টিস্যু। যখন কোন ব্যক্তি হাঁটে অথবা দৌড়ায় তখন জয়ন্টে চাপ পড়ে তা জয়েন্টেগুলো সংরক্ষণ করে যা জয়েন্টগুলিকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এই কার্টিলেজ টিস্যুগুলি সামান্য পরিমাণ হ্রাসের কারণই হল আর্থ্রাইটিস।

সামান্য চোট অস্টিও আর্থ্রাইটিস কারণ হতে পারে এটি আর্থ্রাইটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ বলে মানা হয়। জয়েন্টে সংক্রামণ অথবা চোটের কারণে কার্টিলেজ টিস্যুর স্বাভাবিক পরিমাণ কম হতে পারে।

এটা পরিবারের কারো যদি থাকে তাহলে অনেক সময় এটা ভবিষ্যতে অন্য কারো হওয়ার সম্ভবনা থেকে যেতে পারে।

আর্থ্রাইটিস আরেকটি রূপ হল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। এটি একধরণে অটোইমিউন অসুখ। যখন কোন ব্যক্তির শরীরের ইমিউন সিস্টেম তার বডির টিস্যুতে আক্রমণ করে তখন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সৃষ্টি হয়। এই রোগটি যেকোনো বয়সে হতে পারে সম্ভবত অল্প বয়স্কদের মধ্যে এর প্রভাব বেশি দেখা যায়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস তুলনামূলক ভাবে কষ্টদায়ক। এই আক্রমণ সিনোবিয়ামের উপর প্রভাব করে। সিনোবিয়াম হল আপনার জয়েন্টের একটি নরম টিস্যু।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সিনোবিয়ামের একটি অসুখ যা জয়েন্টে আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। এটি জয়েন্টের হাড় এবং কার্টিলেজ ড্যামেজ করে দিতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ব্যথা কখনো খুব বেশি বেড়ে যায় আবার কখনো এমনিতেই কমে যায়।

Key point

যদিও ইমিউন সিস্টেম আক্রমণের সঠিক খবর অজানা। তবে, বিজ্ঞানীরা মতে এই কারণে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি দশগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আর্থ্রাইটিসের কত প্রকারের হয়

  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid arthritis)

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস

এই ধরণের রোগটি অল্প বয়সী মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এটি একটি গুরুত্বর রূপ। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সময়ের সাথে চিকিৎসা করানো খুব প্রয়োজন নাহলে যদি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেড়ে যায় তাহলে একবছরের মধ্যে শরীরের জয়েন্টে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

  • অস্টিও আর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis) 

অস্টিও আর্থ্রাইটিস

এই ধরণের আর্থ্রাইটিস জেনেটিক কারণে হতে পারে। বয়সের সাথে সাথে এটি আকার প্রবল হয়। এটি কোমর, হাঁটু, পা প্রভাবিত করে।

  • সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস (psoriatic arthritis) 

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস

এই আর্থ্রাইটিস সোরিয়াসিসের সাথে সাথে বেড়ে ওঠে। সময়মতো এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে এই রোগটি খুব মারাত্মক হতে পারে।

  • পলিমায়ালজিয়া রিউমেটিকা আর্থ্রাইটিস (Polymyalgia rheumatoid arthritis)

পলিমায়ালজিয়া রিউমেটিকা আর্থ্রাইটিস

এই ধরণের আর্থ্রাইটিস ৫০ বছরের উপরে ব্যক্তিদের বেশি দেখা যায়। এই রোগে ঘাড়, কাঁধ এবং কোমরে অসহ্য ব্যথা হয় এবং সেই অঙ্গগুলি ঘোরাতে কষ্ট হয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করে ব্যথা কমানো সম্ভব। তবে হয়তো পুরোপুরিভাবে সারানো সম্ভব নয়।

Read more: অ্যানিমিয়া রোগের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ

  • এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing spondylitis) 

এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস

এই রোগ সাধারণত শরীরের নিচের অংশের জয়েন্টে হয়। ব্যথা অল্প তবে অনবরত হয়ে থাকে। এটা চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব তবে সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই।

  • সিস্টেমিক লুপাস আর্থ্রাইটিস (Systemic lupus arthritis)

সিস্টেমিক লুপাস আর্থ্রাইটিস

এটি একটি অটোইমিউন রোগ যা জয়েন্ট ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। এটা মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সে এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগটি মারাত্মক হলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

আর্থ্রাইটিস লক্ষণ (Symptoms of arthritis) 

আর্থ্রাইটিস লক্ষণ

নীচের এই লক্ষণগুলি সম্ভবত আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ। তাই এই লক্ষণগুলি অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। হয়তো এটি পুরোপুরিভাবে সারিয়ে তোলা না গেলে আমাদের বিরাট বড় ক্ষতি থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। এই রোগের লক্ষণগুলি হল –

  • প্রথমদিকে রোগীর ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
  • মাংসপেশীগুলিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
  • সবসময় ক্লান্তি অনুভব, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, খিদে হ্রাস পায় এবং ওজন হ্রাস পায়।
  • হাঁটু, গোড়ালি, পায়ের পাতা, হাতের আঙুল,কাঁধে ব্যথা।
  • জয়েন্টে চারপাশে লালচে ভাব, ফুসকুড়ি।
  • কখনো জয়েন্টে এমন ব্যথা হয় যে হেলাতে সমস্যা হয়।

অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কিছুটা আলাদা। অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ব্যথা কোমর, হাঁটু এবং হাতে হয়ে থাকে। অস্টিওআর্থ্রাইটিসের হাঁটুর জয়েন্টে বেশি ব্যথা হয়। আর রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অস্থিসন্ধিতে ব্যথা তুলনামূলকভাবে কম। তবে হাতের কবজিসহ শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথা বেশি দেখা যায়।

Read more: কিডনি রোগের প্রতিকার

আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর চিকিৎসা (Arthritis pain reduction treatment) 

আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর চিকিৎসা

আর্থ্রাইটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। বলা যায় লাইফটাইম রোগ। বলা হয়ে থাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ভয় থাকতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না আপনি যদি রোগ নির্ণয় করে সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা করান তাহলে ক্ষতির হাত বেঁচে যাবেন।

আর্থ্রাইটিস এমন একটি রোগ যা চিকিৎসা ছাড়া কোন গতি নেই। সঠিক চিকিৎসা করিয়ে এর ব্যথা কমানো যেতে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করা যেতে পারে।

প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আপনাকে জানতে হবে আপনার কোন ধরণের আর্থ্রাইটিস। তারপরই সাধারণত ডাক্তার আপনার চিকিৎসা শুরু করবে। এই রোগে ঔষধের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা চলে যেমন- এক্স রে, রক্ত পরীক্ষা, সেরোলজি পরীক্ষা ইত্যাদি। ঔষধ চলার পাশাপাশি ডাক্তার বিভিন্ন ধরণের ঘরোয়া ব্যায়াম করার নির্দেশ দেন। আর্থ্রাইটিস ব্যায়ামের মাধ্যমে এই রোগের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও ডাক্তার ব্যথা নিরাময়ের জন্য ফিজিওথেরাপি করার পরামর্শ দেয়। কারণ আর্থ্রাইটিস ব্যথা ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। তবে আপনি যাই করুন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে।

আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর জন্য যা যা করবেন –

  • আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বাড়াবেন না। কারণ হাঁটুতে চাপ পড়তে পারে।
  • নিয়মিত শরীরের অঙ্গগুলি নাড়াচাড়া করুন। কাজকর্মের মধ্যে থাকুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • সময়মতো ঔষধ নিন তাহলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • সময় সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জলে স্নান না করাই ভালো। উষ্ণ হালকা গরম জলে স্নান করুন।
  • নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান।

Read more: টিউমার চিকিৎসা

আর্থ্রাইটিস ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঘরোয়া টোটকা (Home Remedies for Arthritis Pain)

আর্থ্রাইটিস ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঘরোয়া টোটকাঃ

চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস রোগীর জন্য এই সমস্ত ঘরোয়া টোটকা লাভজনক হতে পারে।

  • জলপাইয়ের তেল দিয়ে মাসাজ করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানো যেতে পারে।
  • উষ্ণ গরম জলে স্নান এবং বডি মাসাজ আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য উপকার।
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিনেরও প্রয়োজন। হাড়ের জন্য প্রধানত ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন সি এবং ডি প্রয়োজন। তাই ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
  • শীতকালে কিছুটা সময় সূর্যালোকে বসা উচিত। কারণে সূর্যের আলো নেওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
  • আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য তামাক, ধূমপান, মদের নেশা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
  • নিয়মিত ৬ থেকে ৫০ গ্রাম আদা সেবন করা আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য উপকারি।
  • যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন এবং বেশি করে জল পান করুন।

Read more: ক্যান্সারের লক্ষণ

তাহলে আর্থ্রাইটিস কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিন। পাশাপাশি ব্যায়াম করুন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।

Key point

আর্থ্রাইটিস ব্যথা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি হয়।

সচারচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ

Q. ম্যাসাজ আর্থ্রাইটিস ব্যথার জন্য কি সত্যিই উপকারি?

A. হ্যাঁ, আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর জন্য মাসাজ ভালো টোটকা।

Q. আর্থ্রাইটিস ব্যথা কি পুরোপুরি ভাবে কমে না?

A. এটি এমন একটি রোগ নির্মূল হয় না তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা চালিয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রেখে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

Q. আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমানোর জন্য কি করতে হবে?

A. ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা করাতে হবে, সঠিক সময়ে ঔষধ খেতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে, এবং ডাক্তারের পরামর্শে ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ব্যথা কমানো যায়।

1 Comment

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here