10 টি যোগাসন ছবি ও ভিডিও সহ শিখে ফিট থাকুন

বডি ফিট রাখতে কে না চায়? একটি ফিট এবং সুস্থ বডি আপনার শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে পারে। ফিট থাকার জন্য সবাই অনেক কিছু করে। জিমে যায়, ডায়েট মেনে চলে। তবে ফিট থাকার মূল অস্ত্র কিন্তু রয়েছে যোগাসন অনুশীলনের মধ্যে। আপনি কি জানেন সেলিব্রেটিদের ফিট থাকার সিক্রেট যোগাসন।

যোগাসন

নিয়মিত যোগাসন অনুশীলন করলে দেহের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি দেহের ওজন সঠিকভাবে বজায় রেখে আমরা নিজেদের ফিট রাখতে পারি। আজকের দিনে নিজেকে ফিট রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মোকাবিলা করে সাফল্য পাওয়ার চাবিকাঠি রয়েছে আপনারই হাতে। তাহলে নিয়মিত কোন যোগাসন করলে আপনি ফিট থাকতে পারবেন জেনে নিন আজকের এই নিবন্ধ থেকে।

আরও পড়ুন| ভুজঙ্গাসন কীভাবে করবেন এবং এর উপকারিতা

শরীর সুস্থ ও ফিট রাখার জন্য যোগাসন (Yoga to keep the body healthy and fit)

যোগাসন

সুস্থ খাবারের পাশাপাশি এই যোগাসন আপনার জীবনে প্রচুর সমস্যার সমাধান করতে পারে। শরীর সুস্থ ও ফিটের পাশাপাশি আপনার মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করবে।

1. বীরভদ্রাসন – Virabhadrasana

এই আসন তাদের জন্য খুব উপকারী যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করে। বসে কাজ করার ফলে আমাদের নিজেদের শরীর ফিট রাখতে পারি না। এক্ষেত্রে কিন্তু এই যোগাসন খুব কার্যকারী। এটি তলপেটের মেদ কমাতে আপনাকে সহায়তা করবে পাশাপাশি মেরুদণ্ডের হাড় মজবুত হয়। এবং ক্লান্তি দূর হয়।

বীরভদ্রের  নামানুসারে এর যোগাসন নামকরণ করা হয়েছে।  এই যোগাসন গ্রহণের মাধ্যমে আপনি রোগ থেকে দূরে থাকতে পারেন এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারবেন। তাহলে এই ভিডিও দেখে শিখে নিন বীরভদ্রাসন করার নিয়ম।

বীরভদ্রাসন

Steps:

  1. mountain ভঙ্গিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার পা 3 থেকে 4 ফুট দূরে রাখুন।
  2. আপনার উভয় বাহু মেঝেতে সমান্তরাল করুন এবং আপনার মাথা বাম দিকে ঘোরান।
  3. এবার আপনার বাম হাঁটু বাঁকান এবং 90° কোণ করুন।
  4. মাথা বাম দিকে সোজা রাখুন এবং সামনের দিকে তাকান।
  5. কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই ভঙ্গি ধরে রাখুন। তারপর বিপরীত দিকে পুনরাবৃত্তি করুন।

বীরভদ্রাসন-এর উপকারিতা (Benefits )

  1. পিঠের ব্যথা উপশম করে।
  2. মানসিক চাপ উপশম করে।
  3. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
  4. মনকে শান্ত করে।
  5. স্ট্যামিনা বাড়ায়।
  6. কাঁধ, হাঁটু, উরু এবং বাহুকে শক্তিশালী করে।

সতর্কতা (precautions)

  • আপনার রক্তচাপ বেশি থাকলে বীরভদ্রাসন অনুশীলন করবেন না।
  • মেরুদণ্ডের সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে চলুন।
  • ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে এই আসন করার দরকার নেই।
  • গুরুতর ঘাড় ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, কাঁধে ব্যথা বা হার্টের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এই আসন অনুশীলন না করাই ভালো।
  • খুব বেশি সময় ধরে অনুশীলন করবেন না অন্যথায় আপনার স্ট্রেন বা আঘাত হতে পারে।

2. উৎকটাসন – Utkatasana

ফিট থাকার জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বরং উৎকটাসন গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ফিট আর সুস্থ থাকতে পারবেন। এই যোগাসন চেয়ার পোজের মতো। এটি নিয়মিত অনুশীলন করলে দেহের গঠন সুন্দর হয়। এছাড়াও হাতের পেশি সক্রিয় হয়।

 যোগাসন

Steps:

  1. পায়ের পাতা দুটি ৭/৮ ইঞ্চি ফাঁক রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
  2. হাত সামনের দিকে প্রসারিত করুন এবং সেগুলিকে মাটির সমান্তরাল রাখুন এবং হাতের তালু নীচের দিকে রাখুন।
  3. এবার চেয়ারে বসার ভঙ্গিমায় মতো করুন।
  4. এই ভঙ্গিটি 30-40 সেকেন্ডের জন্য রাখুন এবং আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান।
  5. এইভাবে ৪-৫ বার পুনরাবৃত্তি করতে হবে।

উৎকটাসন-এর উপকারিতা

  1. পেটের পেশী শক্তিশালী করে।
  2. শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখে।
  3. আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।
  4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  5. হাতের পেশী সক্রিয় হয়।

সতর্কতা (precautions)

  • আপনার আর্থ্রাইটিস থাকলে এটি করা এড়িয়ে চলুন।
  • রক্তচাপ কম থাকলে চেয়ার পোজ অনুশীলন করবেন না।
  • যদি ঘন ঘন অনিদ্রা বা মাথাব্যথায় ভোগেন তাহলে এটি এড়িয়ে যান।
  • জয়েন্ট বা হাঁটু সম্পর্কিত সমস্যা থাকলে এই আসন করা উচিত নয়।

Notes

যাদের হাঁটুর ব্যথা বা রক্তচাপজনিত রোগ রয়েছে তাদের উৎকটাসন করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন|  হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত হার্টে ভালো রাখার ব্যায়াম

  1. তাদাসনা – Tadasana 


ফিট থাকার জন্য এই যোগসন খুব উপকারী। তাদাসনা যোগ করার অনেক সুবিধাও রয়েছে। এটি শরীরের ভালো দৈর্ঘ্যের জন্য খুব কার্যকর। এটি একটি সহজ যোগব্যায়াম যা আপনার উরু, হাঁটু, গোড়ালি শক্তিশালী করে এবং এটি আপনার পায়েও উপকারী। এই আসনটির সুবিধা পেতে নিয়মিত ২০-৩০ সেকেন্ডের জন্য অনুশীলন করতে হবে এবং কীভাবে করবেন তা ভিডিও ক্লিক করে শিখে নিন।

তাদাসনা

Steps:

  1. সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং আপনার পা কিছু দূরত্বে, সমতল পৃষ্ঠে রাখুন।
  2. স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। হাত আপনার শরীরের পাশাপাশি ঝুলিয়ে রাখুন এবং আপনার শরীর সোজা রাখুন। সামনের দিকে তাকান।
  3. এখন একটি গভীর শ্বাস নিন আর পায়ের আঙ্গুলগুলো তুলুন এবং আপনার শরীরকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে প্রসারিত করুন এবং গোড়ালির উপর ভারসাম্য বজায় রাখুন।
  4. 10 থেকে 30 সেকেন্ড বা যতক্ষণ আপনি পারেন এই অবস্থানে থাকুন।
  5. শ্বাস ছাড়ুন এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।

তাদাসনা-এর উপকারিতা

  1. উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দুর্দান্ত।
  2. হজম এবং শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমের কার্যকারিতা উন্নত করে।
  3. গোড়ালি এবং হাঁটু শক্তিশালী করে তোলে।

সতর্কতা (precautions)

  • আপনি যদি অনিদ্রায় ভোগেন তবে এটি অনুশীলন করবেন না।
  • যাদের মাথাব্যথার সমস্যা রয়েছে তাদের এই আসন অনুশীলন করা উচিত নয়।
  • আপনার রক্তচাপ কম থাকলে এটি করবেন না।
  • গর্ভবতী মহিলাদের তাদাসনা করা উচিত নয়।
  1. বৃক্ষাসন – Vrikshasana

শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বৃক্ষাসন খুব উপযোগী। এই আসন আপনার পায়ের পেশী শক্তিশালী করে। এছাড়াও হাঁটু বাতের উপশম করে। বৃক্ষ কথার অর্থ হল গাছ। এই আসনটি গাছের ভঙ্গিমায় অবস্থায় দাঁড়াতে হয়। এটি গাছের অনুরূপ পরিস্থিতি। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে বৃক্ষাসন।

বৃক্ষাসন

Steps:

  1. মাউন্টেন ভঙ্গিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার পাশে আপনার বাহু রাখুন।
  2. বাম পায়ে আপনার ওজন ভারসাম্য রাখুন। আপনার ডান পা ভাঁজ করুন।
  3. ডান পায়ের পা আপনার বাম উরুর পাশে রাখুন।
  4. এবার হাত দুটো উপরে তুলুন এবং নমস্কার ভঙ্গিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
  5. 15-20 সেকেন্ডের জন্য এইভাবে অভ্যাস করুন।

বৃক্ষাসন-এর উপকারিতা

  1. পা এবং শরীরের ভারসাম্য উন্নত করে।
  2. পায়ের হাড় মজবুত করে।
  3. পায়ের লিগামেন্ট শক্তিশালী করে।
  4. কাঁধ প্রসারিত করে।

সতর্কতা (precautions)

  • অনিদ্রা ভুগলে এই আসন করবেন না।
  • রক্তচাপ বেশি থাকে তাহলে আপনার হাত উপরের দিকে তুলবেন না।
  • পা বা উরুর আঘাত লাগলে বৃক্ষাসন এড়ানো উচিত।
  • খাওয়ার পর কোনো যোগাসন অনুশীলন করবেন না।
  • রক্তচাপ কম থাকলে এবং মাথাব্যথা থাকলে ট্রি পোজ করবেন না।

আরও পড়ুন|  যোগ ব্যায়ামের সুবিধাঃ নিয়মিত যোগাসনের সুবিধা কি কি

  1. ধনুরাসন – Dhanurasana

এটি পেটের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে বডি ফিট রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এই যোগাসন কিন্তু কিডনি, লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পেটের পেশী শক্তিশালী করে। এছাড়াও এই আসনটি আপনি নিয়মিত করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

ধনুরাসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

ধনুরাসন-এর উপকারিতা

  1. বডি ফিট রাখে।
  2. সারা শরীর প্রসারিত করে।
  3. পিঠের নীচের অংশ, পেটের পেশী শক্তিশালী করে।
  4. এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
  5. পিঠের ব্যথা নিরাময় করে।
  6. ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা করে।

সতর্কতা (precautions)

  • আরামদায়ক না লাগলে চেষ্টা করবেন না।
  • যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ধনুরাসন করা উচিত নয়।
  • যদি খুব বেশি ব্যথা অনুভব করেন তবে এটি করা বন্ধ করে দিন।
  • উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অনুশীলন করবেন না।
  • খালি পেটে বা খাবারের কমপক্ষে 3 ঘন্টা পরে করা উচিত।
  1. পশ্চিমোত্তানাসন – Pachimotanasana

পশ্চিমোত্তানাসন এই যোগসন নামটি উচ্চারণ করা যতটা কঠিন ঠিক আসনটি অনুশীলন করা ততটাই সহজ। খুব সহজ পদ্ধতিতে এই আসনটি শিখে করে নিতে পারবেন।

এই যোগসনটি  আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত, রক্ত ​​সরবরাহকে বাড়াতে এবং আপনার মনকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই আসনটি নিয়মিত করলে ওজন কমিয়ে বডিকে একদিকে যেমন ফিট রাখবে অন্যদিকে রোগমুক্ত করবে। তাই নীরোগ জীবন পেতে নিয়মিত ২০-৬০ সেকেন্ডের জন্য এই আসনটি করুন।

পশ্চিমোত্তানাসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

পশ্চিমোত্তানাসন-এর উপকারিতা

  1. হজমে উপকারী।
  2. চাপমুক্ত করে।
  3. মাথাব্যথা জন্য উপকারী।
  4. ওজন কমাতে সাহায্যে করে।

সতর্কতা (precautions)

  • গর্ভবতী মহিলাদের এই আসন করা উচিত নয়।
  • ওজন কম থাকলে এটি এড়ানো উচিত।
  • পিঠে সমস্যা হলে এবং মেরুদণ্ডের হাড়ে সমস্যা হলে যোগাসন করা উচিত নয়।
  • যারা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের পশ্চিমোত্তানাসন করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন| নিয়মিত হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন

  1. সুখাসন – Sukhasana 

সুখা কথার অর্থ স্বস্তি। অর্থাৎ এই আসনের মাধ্যমে আপনি মনের দিক থেকে স্বস্তি, আনন্দ এবং শান্তি পাবেন। এটি ক্রস-লেগড আসন দিয়ে শুরু হয়। এই আসন আপনার মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসতে বাধা দেয়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এই আসন খুব উপকারী।

 যোগাসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

সুখাসন-এর উপকারিতা

  1. এটি আপনার মেরুদণ্ডকে প্রসারিত করে এবং লম্বা করে।
  2. চাপ, উদ্বেগ, মানসিক ক্লান্তি দূর করে মন শান্ত করে।
  3. গোড়ালি এবং হাঁটু প্রসারিত করে।

সতর্কতা (precautions)

  • হাঁটুর আঘাতের ক্ষেত্রে এটি অনুশীলন করা উচিত নয়।
  • অসুস্থতায় অনুশীলন করা উচিত নয়।
  1. শলভাসনSalabhasana

শলভ কথার আক্ষরিক অর্থ হল পতঙ্গ। তাই এই আসনটি পতঙ্গের মতো দেখায়। এই যোগসন বডি ফিট রাখে নানা উপায়ে। এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এটি পেশীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তলপেটে মেদ কমাতে সহায়তা করে।

শলভাসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

শলভাসন-এর উপকারিতা

  1. মেরুদণ্ড নমনীয় হয়।
  2. পেটের চর্বি কমায়।
  3. হজমে উপকারী।
  4. ইতিবাচক চিন্তা বাড়াতে।
  5. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি।
  6. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

সতর্কতা (precautions)

  • এই আসনটি সবসময় খালি পেটে করা উচিত।
  • পা বা উরুতে কোনো গুরুতর সমস্যা থাকলে এই যোগব্যায়াম করা উচিত নয়।
  • গর্ভবতী মহিলাদের এই যোগব্যায়াম করা উচিত নয়।
  • আপনার ক্ষমতার চেয়ে বেশি এই আসনটি করার চেষ্টা করবেন না।
  • হৃদরোগ থাকলে এই আসনটি করবেন না।
  • আলসার এবং হার্নিয়ার মতো রোগ থাকলে এই আসনটি করবেন না।

Notes

ঘাড়ে বা মাথার ব্যথা যাদের আছে তাদের শলভাসন এড়িয়ে চলা উচিত।

আরও পড়ুন|  জেনে নিন ঘরে বসে ওজন কমানোর ব্যায়াম

  1. বকাসন – Bakasana

শরীরের সঠিক আকৃতি আনতে এই যোগাসন বেশ সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত। এটি পেটের চর্বি কমিয়ে পেট ও বুক উভয়ের পেশী সবল রাখে।

বকাসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

বকাসন-এর উপকারিতা

  1. কব্জি মজবুত করতে সাহায্য করে।
  2. সমন্বয় উন্নত করে।
  3. মেরুদণ্ডের নমনীয়তা উন্নত করুন।

সতর্কতা (precautions)

  • হার্টের সমস্যা, কব্জি বা কাঁধে আঘাতের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এই আসন করবেন না।
  1. সেতুবন্ধন আসন – setu bandhasana

এই ভঙ্গিটি সেতুবন্ধের ভঙ্গি বা ব্রিজ পোজ হিসাবে পরিচিত। এই ভঙ্গিটি প্রাথমিকভাবে করা সহজ নাও হতে পারে।  এটি যে কোনও মানসিক অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বেশ সহায়ক। এটি হতাশা, উদ্বেগ বা স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি আমাদের শারীরিক গঠন সুন্দর করে তোলে।

সেতুবন্ধন আসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

সেতুবন্ধন-এর উপকারিতা

  1. শারীরিক গঠন সুন্দর করে।
  2. অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  3. থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
  4. হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।
  5. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
  6. মেটাবলিজম বাড়ায়।
  7. রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

সতর্কতা (precautions)

  • হাঁটুর ব্যথা থাকলে এই আসনটি করবেন না।
  • পিঠে ব্যথা থাকলে এই আসনটি অনুশীলন করা এড়িয়ে চলুন।
  • যাদের মারাত্মক মাইগ্রেন আছে তাদের এই ভঙ্গি এড়িয়ে চলা উচিত।
  • পেট বা অন্ত্র দুর্বল তাদের এই ভঙ্গি এড়ানো উচিত কারণ এই আসনটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির উপর সর্বাধিক চাপ দেয়।

আরও পড়ুন|  মেডিটেশন কি এবং কীভাবে করবেন

Notes

শরীর ফিট এবং সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগাসন অসাধারণ কাজ করে।

11. ত্রিকোণাসন

এই আসন করাকালীন আমাদের শরীরকে অনেকটা ত্রিভুজ ভঙ্গির মতো দেখায় বলে এই যোগাসনের নাম ত্রিকোণাসন। পেট ও কোমরের মেদবৃদ্ধি হ্রাস করতে অত্যন্ত উপকারি এই আসন। শুধু তাই নয়, হাঁটু,কব্জি ও পেশির ব্যাথা দূর করতেও এই আসন কার্যকরী।

ত্রিকোণাসন

Steps:

উপরে দেওয়া ভিডিওটি দেখে স্টেপ বাই স্টেপ অনুশীলন করুন।

ত্রিকোণাসন-এর উপকারিতা

  • হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
  • স্ট্রেস কমায়।
  • রক্তচাপ এবং উদ্বেগের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
  • ফুসফুসের কার্যক্ষমতার উন্নতিতে খুবই উপকারী এই আসন।
  • শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে, যা স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের জন্য খুবই উপকারি।

সতর্কতা (precautions)

  •  মাইগ্রেনের সমস্যা থাকজলে এই আসন করবেন না।
  • পিঠ, ঘাড়, পায়ে বা গোড়ালিতে ব্যাথা থাকলে এই আসন এড়িয়ে চলা উচিৎ।
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে এই আসন করা উচিৎ নয়।

নিয়মিত এই কয়েকটি যোগাসন অনুশীলন করলে আপনি খুব অল্পদিনের মধ্যে সুন্দর দেহের গঠন পাবেন। তাই নিজেকে ফিট রাখতে দেরি না করে এই আসনগুলি অভ্যাস করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ

Q. যোগাসনের সুবিধা কি?

A. যোগাসন করার মাধ্যমে আপনি শরীরের বিভিন্ন ধরণের রোগ কমাতে পারেন। যেমন- হাঁটু ব্যথা, পায়ের ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি। এছাড়াও যোগাসনের মাধ্যমে নিজের ওজন সঠিক রাখা যায় পাশাপাশি সুস্থ এবং ফিট বডি পাওয়া যায়।

Q. যোগাসন কি রোজ করতে হবে?

A. হ্যাঁ, নিয়মিত যোগাসন অনুশীলন করা উচিত।

Q. যোগাসন কখন করতে হয়?

A. সকালে ঘুম থেকে যোগসন করা শ্রেষ্ঠ। তবে আপনি বিকালেও করতে পারেন তবে খালি পেটে।

Q. যোগাসনে কোনও সাইড এফেক্ট আছে কি?

A. যোগা শিক্ষকের কাছে যদি শেখেন তাহলে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে শেখা যায় সেক্ষেত্রে যোগাসনের কোন সাইড এফেক্ট নেই।

1 Comment

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here