ক্লাস টুতে-এ মারা যান মা, দশম শ্রেণিতে বাবার মৃত্যু! বাবা-মা হারা মেয়ে রাখতে না চাওয়ায় ছোট বয়সে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন আত্মীয়স্বজনেরা, নিজের পরিশ্রমে আজ টেলিভিশনের সেরা নায়িকা ‘পর্ণা’ পল্লবী শর্মা

অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা

বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের প্রথম সারির নায়িকা হলেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা। যাকে আপনারা নিয়মিত ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে পর্ণা চরিত্রে দেখতে পারছেন। তার অভিনীত ধারাবাহিক টিভির পর্দায় এখন সেরা। যদিও এর ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের হাত ধরেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন এই অভিনেত্রী।

তবে জানেন কি পর্ণা অর্থাৎ অভিনেত্রী পল্লবী শর্মার এই জনপ্রিয়তা এত সহজে আসেনি। ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ হয়েছেন তিনি। পর্ণা মাত্র ক্লাস টুতে মাকে হারায়। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন ছিলেন তার মা। মাকে বাঁচানোর জন্য অতটুকু ছোট মেয়েকে পিসির কাছে রেখে তার বাবা আর দাদা  চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লিতে নিয়ে যেত কিন্তু মাকে বাঁচানো যায়নি। যদিও পিসি মায়ের ভালোবাসতেন পল্লবীকে। তখন থেকেই পিসির কাছেই মানুষ হয়েছেন অভিনেত্রী। মায়ের অভাব কখনো বুঝতে দেননি তিনি।

অভিনেত্রী যখন দশম শ্রেণীতে আইসিএসসি পরীক্ষা প্রথম দিনই বাবাকে হারান পল্লবী। সেই শোকের যন্ত্রণা চেপেই দশম শ্রেণীতে আইসিএসসি পরীক্ষা দেন শুধু মনের জোরে এবং ভালো নম্বর পেয়েও পাশ করেছিলেন। পরীক্ষা দিয়ে এসে বাবার সৎকার করতে যেতে হয়েছিল। পরীক্ষার সময় টিফিনে অন্যান্য সহপাঠীদের বাবা-মায়েরা তাদের জন্য ডাবের জল, টিফিন নিয়ে যেতেন। সেই সময় অভিনেত্রী টিফিনে নিয়ে যেতেন হবিষ্যি।

পিসির ভালোবাসা পেলেও বাকি আত্মীয়স্বজনরা চেয়েছিলেন পল্লবীর বিয়ে দিয়ে দিতে। কারণ বাবা-মা মরা মেয়েকে কেন কেউ বাড়িতে রাখতে চাইবে? তবে পল্লবী বিয়ে করতে একেবারেই রাজী ছিলেন না। পিসির বাড়ি থেকেই পড়াশুনো শেষ করেন।

কলেজের পড়ার সময় অভিনয়ের প্রতি একটা টান ছিল তার। পিসির সাথেই স্টুডিও পাড়ায় আসতেন। অডিশন দিয়ে সিরিয়ালে সুযোগ পেয়ে যান। অনেক স্ট্রাগল করেই এই জায়গায় পৌঁছাতে হয়েছে তাকে।