চোখ রাখুন কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ এর চিকিৎসা করা যায়

ব্রণ এর চিকিৎসা

মুখের সৌন্দর্য ও ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। সাধারণত টিনেজার মেয়েরাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভুক্তভুগি। আমাদের ত্বকের তৈল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে গেলে তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসারণ হতে বাঁধা পায়। ত্বকে তৈল গ্রন্থি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে ভেতরে পুঁজ জমতে থাকে, তা ব্রণের আকারে ধারন করে। ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত মেয়েরাই ব্রণ সমস্যার সম্মুখীন হয়। টেনশন জনিত কারনে, জল কম খাওয়ায়, হরমোন জনিত কারনে, ঘুম না হয়ার জন্য ব্রণ সমস্যা হয়ে থাকে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ এর চিকিৎসা আছে যার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনই নেই।

জানুন কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ এর চিকিৎসা করা যায়

জানুন কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ এর চিকিৎসা করা যায়-

– ত্বকে অতিরিক্ত মাত্রায় তৈলাক্ত ভাবের ফলে ব্রণ হয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। এর থেকে মুশকিল আসান পেতে চান ব্যাবহার করুন মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। মুলতানি মাটি জলের সঙ্গে পেস্ট করে প্যাক হিসাবে ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন। ১০-১৫ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখটি ধুয়ে নেবেন।

-নিমপাতার ত্বকের পক্ষে কার্যকারী সেটা কম-বেশি সবাই জেনে থাকে। সেক্ষেত্রে মুখের ব্রণ কমাতে এর জুরি মেলা ভার। নিমপাতা কাঁচা হলুদের সঙ্গে বেটে, সেই পেস্টটি পুরো মুখে লাগিয়ে দশ থেকে পনেরো মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। ব্রণ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে, সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ব্যাবহার করে দেখুন।

-অপরিষ্কার ত্বকই ব্রণ হওয়ার একমাত্র লক্ষণ। ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে দুই –তিন বার স্ক্রাবিং করবেন। পরিমাণ মতো চালের গুড়ো, পাকা পেঁপে সঙ্গে এক চামচ পাতিলেবুর রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি নিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলবেন। ব্রণ দূর তো দুর করবেই সঙ্গে রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই মিলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ চেক করুন :-  

– তুলসী পাতা খুব উপকারী। এই পাতায় রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুণ। ব্রণ আক্রান্ত অংশে তুলসী পাতার রস ঘণ্টাখাণেক লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডাগরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

– প্রতিদিন বাইরের ধুলোবালি থেকে ত্বককে বাঁচাতে ফেস ওয়াশের পরিবর্তে শশার রস ব্যাবহার করেই দেখুন। ত্বকের পক্ষে শশার রসের গুণাগুণ প্রচুর। শশার রস ত্বককে তৈলাক্ত হতে দেয় না।

– গোলাপ জল টোনার এর কাজ করে। লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা জমতে পারে। টোনার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। নিয়মিত স্নানের পর তুলো মধ্যে গোলাপ জল নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন।

– ব্রণ এর চিকিৎসা র সহজ উপায় টুথপেষ্ট। নামটা শুনে অবাক হলেন নিশ্চয়ই কিন্তু জানেন কী ব্রণ দূর করতে টুথপেষ্টের জুড়ি নেই। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খানিকটা পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ করছে।

– ত্বকের পক্ষে বরফ উপকারী সেটা অধিকাংশ মানুষ জেনে থাকবেন কিন্তু জানেন কী ব্রণ কমানোর সবচেয়ে সহজলভ্য উপায় হল বরফ। এক টুকরো বরফ পরিষ্কার কাপড়ে মধ্যে নিয়ে ব্রণের উপর রাখুন। ফোলা ও লালচে ভাব থেকে রেহাই পাবেন।

ব্রণ এর চিকিৎসা কিছু টিপস

সূত্র :- verywellhealth . com

ব্রএর চিকিৎসা কিছু টিপস

  • প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাবেন।
  • সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন।
  • নিয়মিত সময় করে খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
  • সকালে ও রাতে খাবর খাওয়ার পর ফল খাবেন। ত্বক সতেজ থাকবে।
  • পুষ্টিযু্ক্ত খাবার খান। বেশি করে সবুজ শাক সবজী খাবেন।
  • ত্বক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন।
  • নখ দিয়ে ব্রণ খুঁটবেন না এতে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হবে এবং দাগ বসে যাবে।
  • রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করবেন। আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর ট্রাই করুন।

সারকথা 

মুখের ব্রণ নিয়ে চিন্তায় ভগেন অনেকেই। ব্রণ চলে গেলেও তার দাগ সহজে যেতে চায় না তাই কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহারের চাইতে ঘরোয়া পদ্ধিতে ব্রণর চিকিৎসা করাই উত্তম উপায়।

আশা করি ,ব্রণ এর চিকিৎসা কী করে করবেন জেনে গেলেন। তালে দেরী না করে নিয়মিত ব্যবহার করেই দেখুন। ব্রণ থেকে রেহাই পাবেন।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here