স্বাস্থ্য বীমা সাধারণত লাইফ ইনস্যুরেন্স নামে পরিচিত। স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা হল এমন এক ধরনের পরিকল্পনা যা স্বাস্থ্যের অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি হ্রাস করে। স্বাস্থ্য বীমা শারীরিক অসুস্থতার বিরুদ্ধে আর্থিক সাহায্য প্রদান করে আপনাকে রক্ষা করে। আপনার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য বীমা কোম্পানি খরচ বহন করে থাকবে।
স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা কী ?
স্বাস্থ্য বীমা একটি বীমা পণ্য। যা একটি বীমাকৃত ব্যক্তির চিকিৎসা ও সার্জারি সংক্রান্ত খরচ বহন করে। এটি অসুস্থতা বা আঘাতজনিত কারণে বিমাকারীর ব্যয় বহন করে এবং বীমাকৃত ব্যক্তির স্বাস্থ্যের যত্নের ভার প্রদান করে।
আরও পড়ুনঃ বীমা কি এবং কত ধরণের বীমা রয়েছে
স্বাস্থ্য বীমা কেন প্রয়োজন ?
মেডিক্যাল বা চিকিৎসার খরচ দিনের পর দিন ক্রমবর্ধমান। প্রকৃতপক্ষে, মেডিকেয়ার মুদ্রাস্ফীতি খাদ্য ও পোশাকের মুদ্রাস্ফীতির থেকে বেশি। খাদ্য ও পোশাকে মুদ্রাস্ফীতি যদি একগুণ বাড়ে, মেডিকেয়ার খরচগুলি তার দিগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই রোগের ক্রমবর্ধমান অবস্থার জন্য স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে যেমন পারিবারিক স্বাস্থ্য বীমা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বীমা, অসুস্থতা বীমা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ কারবার বা ব্যবসার ক্ষেত্রে বীমার প্রয়োজনীয়তা
স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা
ভারতে একটি ভালো স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা নির্বাচন করার সময় বিবেচনা করার জন্য অনেকগুলি কভারেজ আছে। কিছু নিম্নে তালিকায় দেওয়া হল –
- প্রিমিয়াম
- কো- পেমেন্ট
- মেডিক্যাল অবস্থার জন্য অপেক্ষার মেয়াদ
- নির্দিষ্ট রোগের জন্য অপেক্ষার সময়কাল
- সর্বাধিক বয়স সময়কাল
- হাসপাতাল নেটওয়ার্ক
- জটিল অসুস্থতা রাইডার্স
নীচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য বীমার কভারেজ সম্পর্কে আলোচনা করা হল –
আরও পড়ুন: দাঁতের বীমাঃ দাঁতের স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা
1. প্রিমিয়াম –
প্রতি মাসে আপনি স্বাস্থ্য বীমায় যে অর্থ প্রদান করে। আপনার প্রিমিয়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য অন্যান্য খরচ দিতে হবে। যদি আপনার মার্কেট প্লেস স্বাস্থ্য পরিকল্পনা থাকে, তাহলে প্রিমিয়াম ট্যাক্স ক্রেডিট দিয়ে আপনার খরচ কম করতে সক্ষম হতে পারেন।
যদি স্বাস্থ্য বীমা কেনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে সর্বনিম্ন মাসিক প্রিমিয়ামের পরিকল্পনাটি বাছাই না করাই ভালো। আপনার যদি স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য বেশি প্রিমিয়াম প্রকল্পটি চয়েস করা সেরা হবে।
কোন স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনায় নথিভুক্ত হওয়ার পর, স্বাস্থ্য বীমা বাজারে মাধ্যমে না গিয়ে আপনাকে সরাসরি বীমা কোম্পানির কাছে প্রথম প্রিমিয়াম প্রদান করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ সাধারন বীমা কি এবং এর শ্রেণীবিভাগ
2. কো-পেমেন্ট –
আপনি যদি কো- পে কভারেজ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন। তাহলে চিকিৎসার ব্যয়ের অংশটি আপনার পকেট থেকে দিতে সম্মত হবেন এবং বাকিটা বীমা কোম্পানি কভার করে দেবে।
আরও পড়ুনঃ জীবন বীমা পরিকল্পনা সুবিধা কী ও বীমা পলিসির ধরন
3. লাইফটাইম পলিসি –
স্বাস্থ্য বীমা লাইফটাইম পলিসি পুরো জীবনের জন্য অর্থ প্রদান করবে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক লাইফটাইম আলাদা আলাদা পলিসি রয়েছে।
Key point
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
4. এন্ডোভমেন্ট প্ল্যান –
যদি কোনও ব্যক্তি এন্ডোভমেন্ট পলিসিটি নেয় তবে তাকে দুই ধরনের লাভের সুযোগ হতে পারে প্রথম বীমা এবং দ্বিতীয় বিনিয়োগের। এই পলিসিটি আপনার দ্বারা পূরণ করা হয় প্রিমিয়ামের টাকা দুই নিশ্চিত অংশে ভাগ করে দেওয়া হয় এবং একটি অংশ আগে থেকে নিশ্চিত করা যায়। তাই সেখানেই অবশিষ্ট অংশে এ্যাসেটে বাজারে বিনিয়োগ করা হয় যেমন ইক্যুইটি এবং ডেবট ফান্ড।
আরও পড়ুনঃ ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ
Q. স্বাস্থ্য বীমা কেন করা দরকার?
A. যেকোনো ব্যক্তির চিকিৎসা ও সার্জারি সংক্রান্ত খরচের ঝুঁকি হ্রাস করতে স্বাস্থ্য বীমা করা প্রয়োজন।
Q. স্বাস্থ্য বীমায় এন্ডোভমেন্ট পলিসিটি কি?
A. এন্ডোভমেন্ট পলিসিটিতে দুই ধরনের সুযোগ রয়েছে। একটি বীমা এবং অন্যটি বিনিয়োগের। এই পলিসিটি প্রিমিয়ামের টাকা দুই নিশ্চিত অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়।