বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব এর অবদান

বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব

চলচ্চিত্র কথার অর্থ হল চলমান চিত্র। ইংরেজি ভাষায় এটি ফ্লিম বা মুভি হিসাবে আভিহিত। চলচ্চিত্রের প্রধান লক্ষ্য মানুষকে বিনোদিত করা। ১৮৮৫ সালে বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রকৌশলগত দিক থেকে চলচ্চিত্র শিল্প অভাবনীয় সাফল্য লাভ করছে। এই চলচ্চিত্র শিল্প বহু জুগ ধরে কর্মক্লান্ত মানুষকে বিনোদিত করে আসছে। এর দানে ঘরে বসেই মানুষ বিভিন্ন রাষ্ট্রনীতি, সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক, সভ্যতা, সংস্কৃতির সংবাদ পেয়ে থাকে। নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার একমাত্র মাধ্যম হল চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র মাধ্যমে এক দেশের তথ্য অন্য দেশে প্রদর্শন করা যায়।

এ যুগে তরুণ প্রজন্ম চলচ্চিত্রের উপর ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট। প্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রী ফ্যাশন, হেয়ার স্টাইল, চাল – চালন, কথাবার্তা অনুকরণের পিছনে ব্যস্ত এ যুগের তরুণ প্রজন্ম।

মানব জীবনে একাকীত্ববোধ দূরীকরণে চলচ্চিত্রের অবদান অপরিসীম। ছোট থেকে বড়ো সবাই চলচ্চিত্রের প্রতি ব্যকুল। যুগের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পথে চলচ্চিত্রে আনা হয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। প্রযুক্তির কল্যাণের দানে চলচ্চিত্রে এসেছে বৈচিত্রময়।

অন্যান্য বিশ্বের মতো বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব বাংলার ঐতিহ্য। বাংলার চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা সর্বোচ্চ শিখরে। রাজ্য সরকার তরফ থেকে জাঁকজমক করে পালন করা হয়ে থাকে বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ চেক করুন :- 

বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব

বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব

ওয়েস্ট বেঙ্গলে মধ্যে কলকাতায় বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। আট থেকে আশি উপচে পড়া ভিড় থাকে এই উৎসবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম চত্বরে। আট দিন ব্যাপী এই উৎসব চলে কলকাতায়। যার ট্যাগ লাইন ‘ ক্যার্নিভাল অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড।

এই উৎসবের জন্য জমা পড়ে হাজার হাজার ছবির আবেদন। এই উৎসবের জন্য বাছা হয় ৭০ টি দেশের কিছু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিল্ম। উৎসবের দিন এই সমস্ত ফিল্মগুলি দেখানো হয় ১৬ টি প্রেক্ষাগৃহে।

উপস্থিত থাকেন বলি ও টলি সিনেমা জগতের প্রচুর তারকারা। এমনকি দেশের বিগ বি অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের মতো স্টাররাও এই উৎসবে সামিল হন। আর অব্যশই বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত থাকেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরেও তার কিছু ব্যতিক্রম ছিল না।

এবছর ১০ ই নভেম্বর বাংলার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পালিত হয়েছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। মানুষ ও তারকাদের ভিড়ে জমজমাট ছিল বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব। এবছরের মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাংলা ছবিকে বিশ্বের আঙিনায় পৌঁছে দেওয়া। এবারের ফোকাস ছিল কান্ট্রি অস্ট্রেলিয়া।

বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব

ওই দিন বিকেল ৪ টে উৎসব উদ্বোধন করেন আমিতাভ বচন। ২৪ তম আন্তর্জাতিক উৎসব উপলক্ষে রাখা হয়েছিল বিশেষ বিভাগ। ১১ থেকে ১৭ ই নভেম্বর পর্যন্ত ছিল বাংলা ছায়াছবির উপর বিশেষ প্রদর্শনীয় আয়োজন। জলসাঘরের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় বাংলার বিখ্যাত গায়ক, গীতকার সুরকারদের। বাংলা ছবির গান নিয়ে বিশেষ অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়েছে।

পরের বছর সম্ভবত বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব সল্টলেক স্টেডিয়ামে। পাশাপাশি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসবও পালন করা হয় কলকাতায়।

সারকথাঃ
বর্তমানে বংলার একটি সংস্কৃতিক উৎসব হল বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব। এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রভাব মানব জীবনে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে পড়তে পারে।ওয়েস্টার্ন, কমেডি, রোম্যান্টিক সিনেমা নানা ধরনের মানুষকে বিনোদিত করে চলেছে।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here