সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছিলেন রানু মন্ডল, বাদাম কাকু ভুবন বাদ্যকর। জনপ্রিয় মিলতেই হয়ে উঠেছিলেন অহংকারী। যদিও সেই জনপ্রিয়তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কথায় আছে, অহংকার পত্তনের মূল। এই মুহূর্তে বাদাম কাকু এবং রানু মন্ডল দুজনের বর্তমান অবস্থা শোচনীয়। আর তাদের সঙ্গেই এবার নেটিজেন মিল পাচ্ছেন আরও এক সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে জনপ্রিয় হওয়া মানুষের। যদিও তিনি সেলিব্রেটি নয়, তবে সেলিব্রেটি বললেও ভুল হবে না। কারণ তার এখন ভীষণ চাহিদা।
আশাকরি বুঝতে পারছেন, এখানে কার বিষয় আলোচনা করছি। ভাতের হোটেল জনপ্রিয় স্মার্ট দিদি নন্দিনীর। ইদানীং তার ভাইরাল হওয়ায় ভিডিও দেখে দর্শক ছিঃ ছিঃ দিচ্ছেন। এমনকি নেটিজেনরা তার নতুন নাম দিয়েছেন ‘অহংকারী দিদি”। ঠিক কি হয়েছে?
ঘটনাটি ঘটছে নন্দিনীর দোকানকে কেন্দ্র করে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দোকানের নতুন কোন এক অসহায় কর্মচারীর কাজ ভুল করায় তাকে যা না তাই ভাবে অপমান করছেন নন্দিনী। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে তিনি গরীব মানুষকে মানুষ বলেই গণ্য করছেন না। এমনকি নিজের বাবাকেও অভিশাপ দিতে দেখা যায়।
বাবার উপর চিৎকার করে নন্দিনী বলেন, একটা গাধার বাচ্চাকে রেখেছো আগুনের সামনে। আমার দোকান বন্ধ করিয়ে দেবে।” এমনকি তার বাবা তাকে বকাবকি করলে দেখা যায় নন্দিনী কেঁদে কেঁদে তার বাবাকে জানায়, “জানোয়ার লোক… তোমার কপালে দুঃখ আছে গো বাবা। আমাকে অপমান করো।”
এই ভিডিও দেখার পর নেটিজেনরা ছিঃ ছি” করছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, “ছিঃ অভদ্র!”। আবার একজন লিখেছেন, “জনপ্রিয়তা একটু আসতেই অহংকারী হয়ে গেছে। এর রানু মন্ডলের মতো অবস্থা হবে”। তো আবার কেউ বলছেন, “বাবাকে জানোয়ার বলছে। কী অবস্থা”। এই অবস্থা ফাঁস হতেই রেগে লাল নেটিজেনরা।