মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাবঃ মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক

মোবাইল মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। যেটা ছাড়া মানুষ ( বিশেষ করে কম বয়সী ছেলে মেয়েরা ) একদমই থাকতে পারে না। মোবাইল ফোন সমাজের একটি প্রধান অংশ। এটি বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করে তোলে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলা, চ্যাটিং, গেমস খেলা, ম্যাসেজ করা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। সুবিধার পাশাপাশি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব বিদ্যমান।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট টেকনোলজি আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা থাকেলও এই আধুনিক টেকনোলোজি ধ্বংসত্বক প্রভাব ফেলছে আমদের জীবনে। জেনে নিন মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব কি কি হতে পারে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব

1. দুর্ঘটনার প্রবণতাঃ

ড্রাইভিং করার সময় ফোনে কথা বলা, টেক্সট করায় দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়ে যায়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় কম বয়সী ছেলে মেয়েরা কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে রাস্তা বা রেল লাইন পার হয়।
সমীক্ষায় প্রমাণিত, ৭০ শতাংশ ট্র্যাফিক ক্র্যাশগুলি মৃত্যুর প্রধান কারণ।

2. শ্রবণ শক্তি কমে যায়ঃ

মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করলে বা হেডফোনে বেশি সাউন্ড দিয়ে গান শুনলে শ্রবণ শক্তি হারানোর সম্ভবনা আছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরাই। ২-৩ ঘণ্টার একটানা ফোনে কথা বললে শ্রবণ ক্ষমতা কমে যায়।

নিদ্রার ব্যাঘাতঃ

3. নিদ্রার ব্যাঘাতঃ

বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরা কল ও টেক্সট করার জন্য রাতে মোবাইল ফোন কাছে নিয়ে ঘুমান। ফলে নিদ্রা ভঙ্গ হয়।
অতিরিক্ত মাত্রায় মোবাইল ব্যবহার করলে বা রাতে শুয়ে চ্যাটিং করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে শরীরে নানা রকমের রোগের সৃষ্টি হয়।

4. ব্রেইন ক্যান্সারঃ

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোন থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় রশ্মি আমদের মস্তিষ্কের কোষগুলিতে ধীরে ধীরে শোষিত হয়। এর থেকে ব্রেইন টিউমার হতে পারে।
ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সেল ফোনের সৃষ্ট বেতার তরঙ্গকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে গণ্য করেছে। মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে ব্রেইন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। ঘুমানো সময় মোবাইল দূরে রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

চোখের সমস্যাঃ

5. চোখের সমস্যাঃ

বেশিক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের সমস্যা হতে বাধ্য। সারাক্ষণ মোবাইলের স্ক্রিনে দিকে তাকিয়ে কাজ করলে মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা লাগা এবং চোখে জ্বালাপোড়া করা সমস্যায় ভুগতে পারেন।
ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন চোখের কিছুটা দূরে রেখে মোবাইল ব্যবহার করার।

সারকথাঃ
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব মধ্যে চোখের ক্ষতির প্রভাব প্রবল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ চেক করুন :- 

6. হার্টের সমস্যাঃ

গবেষণায় প্রমাণিত, মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকারক রশ্মি হার্টের রোগ সৃষ্টি করে। এই রশ্মি হার্টের স্বাভাবিক কর্মকান্ডকে বিপর্যস্ত করে। রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিন আলাদা হয়ে যেতে থাকে। ফলে হার্টের পাশাপাশি শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। তাই ডাক্তাররা হার্টের রোগীদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়ঃ

7. মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়ঃ

বর্তমানে কিশোর কিশোরীরা পড়াশুনো বা অন্যান্য কাজ কর্ম বাদ দিয়ে গোটা দিনটা সেল ফোনে কল, ফেসবুকে চ্যাটিং, বার্তা প্রদান করে সময় কাটায়।
স্টাডিজে প্রমাণিত কিশোর কিশোরীরা তাদের সেল ফোনের সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাতানর ফলে মানসিক তীব্র চাপ ও ক্লান্তিতে ভোগে। যার ফলে মানসিক ব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে।

8. অমনোযোগীঃ

কিশোরদের পাশাপাশি বাচ্চাদের কাছেও মোবাইল ফোন খুব প্রিয়। ৬০ শতাংশ বাচ্চারা দিনের অধিকাংশ সময়টা ফোনে গেম খেলে কাটিয়ে দেয় যার ফলে তারা খেলাধুলো ও পড়াশুনো অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।

9. গর্ভবস্থায় সমস্যাঃ

গর্ভবস্থায় মহিলাদের মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যহত হয়।

স্নায়বিক ঝুঁকিঃ

10. স্নায়বিক ঝুঁকিঃ

মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রশ্মি আমাদের মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মস্তিষ্কের কোষের ডি.এন.এ ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্নায়বিক সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

সারকথাঃ
মোবাইল ফোন পুরোপুরি এড়িয়ে চলা যেহেতু আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই একটু সচেতনত হলে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব এড়িয়ে চলা সম্ভব।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here