বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুসারে করোনাভাইরাসের আক্রমণের জন্য রোগীদের সংখ্যা বাড়ার সুবিধার্থে হাওড়ার ডুমুরজালা ক্রীড়া স্টেডিয়ামকে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট কোয়ারানটাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছিল জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পৌরসভার উদ্যোগে।
”বেসরকারী হাসপাতাল এবং বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নবান্নে একটি সভা করার পরে মমতা বলেছিলেন, হাওড়ার ডুমুরজেলায় ক্রীড়া স্টেডিয়ামটি নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে, তবে এখন সেটি রোগীদের উদ্দেশ্যে কোয়ারানটাইন সেন্টারের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা এই মোকাবিলা অতিক্রম করার পর পুনরায় সেটি ফিরিয়ে দেব।
আরও পড়ুন । করোনাভাইরাসের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত
ডুমুরজালা স্টেডিয়ামটি বহুমাত্রিক ইনডোর স্টেডিয়াম। এই জেলার এটি একমাত্র নডোর স্টেডিয়াম, যা অন্দর খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রোগ্রামের তৈরি হয়েছিল। ১৯৮০ এর দশকে, স্টেডিয়ামটি হাওড়া ডেভলপমেন্ট ট্রাস্ট দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। পরিকল্পনাটি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের আদলে ছিল। তবে, নির্মাণকাজটি শেষ হওয়ার পরে এবং দুটি রাজ্য পর্যায়ের ইনডোর ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে গ্যালারীতে কিছু ত্রুতটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন । শিক্ষার্থীদের পড়াশুনোর জন্য স্কুল থেকে অনলাইনে ক্লাস
তবে দীর্ঘদিন ধরে ডুমুরজেলার এই স্টেডিয়ামটি অব্যবহৃতের জন্য অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যার জন্য ২০১৭ সালে আবার এই স্টেডিয়ামটিকে পরিবর্তনের জন্য সেট আপ হয়েছিল এবং, প্রশিক্ষণ কিছুটা শুরু হয়েছিল।
তবে এই মহামারীর সময় করোনা মোকাবিলায় মানুষের ক্রীড়া স্টেডিয়ামের চেয়ে কোয়ারানটাইন প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় রাতারাতি এই ক্রীড়া স্টেডিয়ামকে কোয়রান্টিন রূপান্তরিত করা হল।
আরও পড়ুন । ২৯শে মার্চের পরিবর্তে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ
[“সূত্রঃ- thebridge.in“]