ব্রিটিশ টেলিকম এবং ভোডাফোনের মতে, ইউনাইটেড কিংডমে ৫ জি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে চিনা সংস্থা হুয়াইয়ের সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৩ বছর বা তার চেয়ে কম হলে সিগন্যাল ব্ল্যাকআউটের মুখে পড়বে ইউরোপীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক।
নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী সংস্থার তরফে ইউকের সাংসদদের জানানো হয়েছে, এই ধরণের জাতীয় আদেশ জারি হলে সেক্ষেত্রে তাদের কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বছর সময় যেন দেওয়া হয় । সরকার আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চীনা ফার্মের কিটটি ব্যবহারের বিষয়ে নতুন নয়া নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে । এমনটাই আশা করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : ওয়ানপ্লাস ব্যবহারকারীরাও পাবেন ফোর্টনাইটে ভাঙড়া বুগি ইমোট
যদিও চিনা সংস্থা হুয়াই সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আরো সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ।হুয়াইয়ের ইউনাইটেড কিংডমের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরেমি থম্পসন বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া নিষেধাজ্ঞাগুলি সংস্থায় কী ধরণের প্রভাব ফেলবে তা শীঘ্রই নির্ধারণ করা হবে ।” চীন সরকারের পক্ষ থেকে এমনটি করার কথা বলা হলেও সংস্থাটি তাদের ক্লায়েন্টদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করবে এমন দাবিও অস্বীকার করেছে ।
ইউনাইটেড কিংডমের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের সামনে সংস্থাগুলি তাদের মামলা করার শেষ সুযোগ পাবে।চলতি বছরের জানুয়ারিতে, সরকার হুয়াইয়ের ৫জি বাজারের শেয়ারকে বাজেয়াপ্ত করেছিল । সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চীনা ফার্মকে দেশের টেলিকম যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার অনুমতি দিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ।
আরও পড়ুন : বেলগ্রেডের বিক্ষোভকারীদের ওপর কারফিউ জারিতে উত্তাল সার্বিয়ার সংসদ
তারপরেও, ওয়াশিংটন সংস্থাটির নিজস্ব চিপস উৎপাদন করার ক্ষেত্রে নতুনভাবে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে । ফলস্বরূপ, হুয়াই তার সরঞ্জামগুলিতে ব্যবহারের জন্য অন্যান্য সংস্থার চিপগুলিতে বাড়তি উৎসাহ দেখাচ্ছিল ।
আরও পড়ুন : নতুন করে শটডাউন শুরু অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্নে
জিসিএইচকিউর জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কেন্দ্রটি দেশের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম এবং ক্রীড়া বিভাগকে জানিয়েছে, যে এর অর্থ এটি আর হুয়াইয়ের পণ্যগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না । যদিও এখন দেশের একাংশের মতে, সরকার কোনও প্রকারের নিষেধাজ্ঞার পথ বেছে নেবে । তবে প্রশ্নটি হল কখন কার্যকর হবে।আর যদি হয় তাহলে ইউনাইড কিংডমের মোবাইল নেটওয়ার্কে যে বিপদ ঘনিয়ে আসছে তা কতটা সামাল দিতে পারবে সরকার ।