শসা একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি সালাড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রুপ সৌন্দর্যতার কাজে শসা ব্যবহারের গুণাগুণ আমরা তো সবাই জানি। কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে শসার উপকারিতা অনেকেই হয়তো জানি না। স্বাস্থ্য ভালো রাখার চাবিকাঠি শসা। শসা প্রাচীনের চাষযোগ্য ফসল। ভারতের উপমহাদেশে উৎপত্তি হলে এটি সব দেশেই পাওয়া যায়। শসায় ভিটামিন “এ”, “বি ১”, “বি ৬”, “সি”, “ডি”, “পটাশিয়াম”, “ফসফরাস”, “লোহা” ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজিটি ৯৫ শতাংশ জল ধারণ করে, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। শরীর একটিভ রাখতে এর বিকল্প নেই। এটি ওজন কমানোর জন্য একটি শক্তিশালী অস্ত্র। এছাড়াও স্বাস্থ্য রোগমুক্ত রাখতে শসার উপকারিতা অনেক। তাহলে চলুন জেনে নিই সুস্বাস্থ্য জীবন পেতে শসার গুণাগুণ –
Table of Contents
স্বাস্থ্যের জন্য শসার উপকারিতা
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে শসার উপকারিতা
বর্তমানে এই প্রাণহানি রোগটি বেশি বাসা বাঁধছে মানুষের জীবনে। ক্যান্সারের আক্রান্ত সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। পুরোপুরি ভাবে একে হয়তো আটকানো সম্ভব নয় । কিন্তু নিয়মিত শসার খাওয়ার থেকে ক্যান্সার ঝুঁকি কম করতে পারি । শসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাছাড়া এটি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকর।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপনি কি ওজন কমাতে চান ? তাহলে আপনার জন্য শসা ভালো বিকল্প হতে পারে। কারণ শসাতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং ক্যালরি কম থাকে। তাই ওজন হ্রাস জন্য শসার উপকারিতা অতুলনীয়। যখনই খিদে পাবে তখন শসা খাওয়া একটি ভালো উপায় হতে পারে। শসায় উপস্থিত ফাইবার হজমে বৃদ্ধিতে সহায়ক।
চোখের জ্বালাভাব কমাতে সহায়তা করে
অনেক সময় ফেস প্যাক লাগানোর পর চোখে জ্বালাভাব অনুভব হয়। এই জ্বালা ভাব কমানোর জন্য শসা স্লাইসের মতো কেটে চোখের ঢাকনার উপর রেখে দিন । এতে চোখে ঠাণ্ডা অনুভব হবে এবং জ্বালাও কমবে। ফেস প্যাক প্রয়োগ করার পরই যে এটা ব্যবহার করতে হবে তা নয়। চোখে যখনই জ্বালা ভাব হবে এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
মুখের বাজে গন্ধ দূর করে
যদি আপনি কথা বলার সময় বা শ্বাস নেওয়ার সময় মুখের বাজে গন্ধের জন্য অস্বস্তি বোধ করেন। তাহলে এখুনি একটি শসা স্লাইস কেটে নিন এবং এক মিনিট শসার টুকরোটি মুখের উপরে ধরে রাখুন। এতে শসা থেকে ফাইটোকেমিক্যাল মুখের গন্ধ নির্মূল করে।
হজম শক্তি বাড়ায়
শসা ৯৫ শতাংশ জল এবং ৫ শতাংশ ফাইবার ধারণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লতা, বুকে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে নিয়মিত শসার রস পান করুন।
মস্তিষ্কের উন্নতিঃ
শসায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করে। মস্তিষ্কের বিকাশ উন্নত করে পাশাপাশি নার্ভের কোষগুলিকে সুরক্ষিত করে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে শসার উপকারিতা
ব্ল্যাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনতে শসা খাওয়া মাস্ট। নিয়মিত শসা খাওয়ায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। যার ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ।
চুল এবং ত্বকের যত্নঃ
শসায় রয়েছে সিলিকন এবং সালফার, যা চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি যদি ভাল ফলাফল পেতে চান, তাহলে গাজর এবং শসার রস মিশ্রিত করে খেতে পারেন । শসা রোদে পোড়া ত্বককে রক্ষা করে। শসায় উপস্থিত অ্যাসকর্বিক এসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড, যা ত্বকে জলের অভাব পূর্ণ করে।
বাতের ব্যথা কমাতে
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিশিয়া রয়েছে। যা জয়েন্ট শক্তিশালী করে এবং টিস্যুগুলি পরস্পর মজবুত হয়। গাজর ও শসার রস মিশিয়ে খেলে বাতের ব্যথা কম হয়। এছাড়াও এটি ইউরিক অ্যাসিড মাত্রা হ্রাস।
সারকথাঃ
প্রতিদিন ডায়েটে যদি শসা রাখা হয়, তাহলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়।