কিছু বিজ্ঞানীদের মতে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে সংক্রামিত হতে পারে করোনাভাইরাস। ডাব্লুএইচও (WHO) জানিয়েছে, করোনাভাইরাস নাক ও মুখের ফাঁকা দিয়ে প্রবেশ করে। কাশি, হাঁচি বা কথা বলার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে বেরিয়ে আসে।
আরো পড়ুন। কোভিড আক্রান্তে রাশিয়াকে পিছিয়ে ভারত উঠে এল তৃতীয় স্থানে
সোমবার প্রকাশিত ক্লিনিকাল সংক্রামক রোগ জার্নালে প্রকাশিত জেনেভা ভিত্তিক সংস্থাকে একটি চিঠিতে ৩২ টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে, করোনাভাইরাস বায়ুর মাধ্যমে মানুশকে সংক্রামিত করতে পারে। শ্বাসকষ্ট রোগীর পক্ষে করোনা বায়ু বাহিত হলে সেটা খুব ভয়ঙ্কর। এই ছোট ছোট কণাগুলি বাতাসে দীর্ঘায়িত থাকতে পারে, তাই বিজ্ঞানীরা ডাব্লুএইচওকে তার দিকনির্দেশনা আপডেট করার জন্য অনুরোধ করছেন।
আরো পড়ুন। বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাছে
ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাসেরেভিচ সোমবার এক ইমেইলে জানিয়েছেন – “আমরা এই সম্পর্কে সচেতন এবং আমাদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সাথে এর বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করছি”।
আরো পড়ুন। COVID-19 রোগীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের একটি সংক্রামক রোগ পরামর্শদাতা প্রফেসর বাবাক জাভিদ বলেছেন, ভাইরাস থেকে বায়ুবাহিত রোগ সংক্রমণ সম্ভব তবে এটি কতক্ষণ বায়ুবাহিত থাকবে সেই সম্পর্কে প্রমানের অভাব রয়েছে। ডব্লিউএইচওর নির্দেশিকা ২৯ শে জুন তারিখে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বলেছে যে সারস-কোভ-২ প্রাথমিকভাবে শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন। COVID-19 ভ্যাকসিন পরীক্ষার সময়সীমা আটকেছে ভারতের গবেষণা সংস্থা
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (South Korea’s Centers for Disease Control) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভিড বায়ুবাহিত সংক্রমণের সম্ভাবনা সহ তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরও তদন্ত এবং প্রমাণ প্রয়োজন ছিল তারা জানিয়েছে।