শীতকালীন ফ্যাশনঃ জেনে নিন কীভাবে ঠাণ্ডায় নিজেকে ফ্যাশনেবেল রাখবেন

শীতকালীন ফ্যাশন

শীতের মৌসুম রীতিমত শুরু হয়ে গেছে। শীতের আমেজ চলছে । শীতে ঠাণ্ডা হাওয়ার দরুন আমাদের ফ্যাশনের চিন্তা ভুলে গরম পোশাক পরতে হয়। এটার ভাবার কোন প্রয়োজন নেই কারণ, শীতকালে গরম পোশাক পড়ার সাথে সাথে কয়েকটি উপায়ে আমরা ফ্যাশানেবেল থাকাতে পারি। এখন বাজারে অনেকরকম ফ্যাশানেবেল কাস্টম চলে এসেছে। আজকালকার  যুগের ছেলেমেয়েরা জামাকাপড় পড়ার সাথে সাথে ফ্যাশনটাকে ও মাথায় রেখে চলে। তাই আজ আমি আপনাদের সামনে কিছু শীতকালীন ফ্যাশন টিপস নিয়ে এসেছি।

আরও পড়ুন । বাজার অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য

ফ্যাশন বলতে কী বোঝায়

ফ্যাশান কথাটি হল একটি ল্যাটিন” শব্দ। ফ্যাশান কথাটির অর্থ বলতে বুঝি তৈরি করা।একটি নির্দিষ্ট সময়ে অথবা নির্দিষ্ট স্থানে প্রচলন, রেওয়াজ, কায়দাকে  অনুকরণ অনুসরণ করাটাই হল ফ্যাশন। পোষাকের মাধ্যমে কোন মানুষের চরিত্র, সংস্কৃতি, আচারন, ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। পোশাক একটি শিল্প যা ঠিক করে দেয় কোথায়, কোন জায়গায় কী ধরণের পোশাক পড়ব। তাই অবশ্যই পোশাক ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন ।  ব্রন দূর করার উপায়

শীতকালীন ফ্যাশন টিপস

শীতকালীন ফ্যাশন টিপস

  1. শীতের সময় তিনটি স্তরের পোশাক যেমন ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচায় আবার স্টাইল প্রকাশ করে তিনটি স্তরের পোশাক বলতে বুঝি বেস লেয়ার, মিডল লেয়ার, আউটার লেয়ার।
  2. বেস লেয়ারঃ  এই ধরণের পোশাক গুলি হয় সাধারণত টাইট ফিটিংস। এই পোশাক গুলি ত্বকের সাথে লেগে থাকে।
  3. মিডল লেয়ারঃ  উষ্ণ ও আরামদায়কের পাশাপাশি এই স্তরের পোশাক গুলি হয়া চাই সুন্দর ও মানানসই। মিডিল লেয়ারের ক্ষেত্রে সোয়েটার পড়া আদর্শ হবে।
  4. আউটার লেয়ারঃ  শীতকালীন ফ্যাশন এ সবচেয়ে উপরে এই ধরণের পোশাক পড়া যেতে পারে। যাতে সহজেই খুলে ফেলার উপযোগী হয়। ওয়াটারপ্রূফ পোশাক ও পড়া যেতে পারে আউটার লেয়ারে।
  5. কার্ডিগান ও জ্যাকেটঃ  কার্ডিগান ও জ্যাকেট শুধুমাত্র  শীত নিবারণের পোশাক নয় বরং ফ্যাশনেবল।বিশেষত মহিলাদের ক্ষেতে, শীতকালীন ফ্যাশানেবল পোশাক হিসাবে কার্ডিগান ও জ্যাকেটর প্রচলনটা বেশি। অনেক  পরিবর্তন এসেছে জ্যাকেট ও কার্ডিগানে। ডিজাইনে এবং রঙ এসেছে ভিন্নতা। ফ্যাশানেবেল  রাউন্ড কলার কিংবা ভি-শেপের কার্ডিগান ও জ্যাকেটের খুব চল এখন।
  6. শীতকালীন ফ্যাশানে চাদর বা শালঃ  এখন সেরকম ভাবে শীত পড়ে না। তাই কম শীতে আপনি রঙিন চাদর বা শাল পরতে পারেন। এটি শীতকালীন ফ্যাশান অনেকখানি সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  7. ঢিলেঢালা টাইট ফিটিংস পোষাকঃ  শীতে  গরম পোশাকের ক্ষেত্রে ঢিলাঢালা পোশাক পড়াই প্রয়োজন। ওপরের অংশে ঢিলেঢালা পোশাক নীচের  অংশে টাইট ফিটিংস পোশাক পরতে পারেন।
  8. টুপি ও স্কার্ফঃ শীতের হাত রক্ষা পেতে মাথা ও ঘাড় বাঁচাতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন টুপি ও স্কার্ফ। যা আপনাকে ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচাবে আর আপনার ফ্যাশনে এনে দেবে অন্য রকম লুকস। বাজারে এখন অনেক ডিজাইনের টুপি ও স্কার্ফ পাওয়া যায় যেটা শীতকালীন ফ্যাশন এর জন্য শ্রেষ্ঠ।
  9. মোজাঃ  শীতকালে শুধু শরীরে না পায়ে ঠাণ্ডা লাগতে পারে,তাই পায়ে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া খুব জরুরী। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে সেটা যেন ফ্যাশানেবেল হয়। সবচেয়ে এক্ষেতে  ভালো উলের মোজা। আর ঠাণ্ডা খুব বেশী হলে পায়ে লেয়ার পোশাক পড়া যেতে পারে। এই ধরণের পোশাকগুলি  ট্রাউজার বা জিন্সের ভেতরে থাকবে। এছাড়াও রঙিন লেগিন্সই বা লেগ ওয়ার্মার আপনার ফ্যাশানে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে।
  10. হাত মোজাঃ ঠাণ্ডায় হাতের সুরক্ষার জন্য সবথেকে বেশী কার্যকর হবে হাত মোজা। রঙিন হাত মোজা আপনার ফ্যাশানে বাড়তি দৃষ্টি আকর্ষন করবে।
  11. বুটঃ শীতের সময় আপনি পায়ে ফ্যাশানের জন্য বুট পরতে পারেন। এতে ঠাণ্ডা কম লাগবে আবার লুকসটা অন্যরকম দেখাবে। হিলযুক্ত বুট বা লম্বা ওয়ার্কিং বুট আপনার ফ্যাশানে বাড়তি মাত্রা এনে দেবে।

এই ধরণের পোশাকগুলি আপনাকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করবে এবং ঠাণ্ডায় ফ্যাশানেবেল রাখবে।

2 Comments

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here