সুচিত্রা সেন শৈশব, ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন

suchitra'

সূত্রঃ- media2 . intoday . in

Biography
নামসুচিত্রা সেন
আসল নামরমা দাশগুপ্ত
পেশাঅভিনেত্রী
জন্মতারিখ৬ এপ্রিল, ১৯৩১
জন্মস্থানবাংলাদেশের পাবনা জেলায়
জাতীয়indian
শহরকলকাতা
ডেবিউশেষ কোথায় (প্রকাশিত হয়নি), সাড়ে চুয়াত্তর
পরিবার ও আত্মীয়স্বজন
পিতাকরুণাময় দাশগুপ্ত
মাইন্দিরা দেবী
উচ্চতা, ওজন এবং শারীরিক পরিমাপ
উচ্চতা৫’৩
ওজন৬৮ কেজি
শারীরিক পরিমাপNot Know
চোখের রঙNot Know
চুলের রঙNot Know
অ্যাফেয়ার্স এবং বৈবাহিক অবস্থা
স্বামীদিবানাথ সেন
কন্যামুনমুন সেন
মৃত্যু তারিখ১৭ জানুয়ারি , ২০১৪
মৃত্যু স্থানকলকাতার বেল ভিউ হাসপাতাল
অন্যান্য
আয়Not available
টুইটারNot available
ফেসবুকNot available
ইন্সটাগ্রামNot available

suchitra sen

সূত্রঃ- www . thehindubusinessline . com

সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের একজন ভারতীয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী। তিনি শুধু বাংলাই নয় বরং হিন্দি ছবিতে খ্যাতি অর্জন করেছেন। জন্মের সময় তার নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। তিনি তার জীবনে বেশিরভাগ সময় মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তখনকার দিনে উত্তম-সুচিত্রার জুটিকে সিলভার জুটি বলা হত। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের জায়গা করে নেয়। তার অভিনয়ের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন হন।

আরও পড়ুনঃ মহানায়ক উত্তম কুমার শৈশব, ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন

সুচিত্রা সেনের শৈশব জীবন শিক্ষা (Suchitra Sen’s childhood life and Education life):

suchitra 1

সূত্রঃ- i . pinimg . com

সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। তার পিতা ছিলেন করুণাময় দাশগুপ্ত এবং মা ইন্দিরা দেবী। তার বাবা স্থানীয় এলাকায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি তার বাবা মায়ের পঞ্চম সন্তান ছিলেন। তিনি পাবনা শহরেই পড়াশুনো করেন।

আরও পড়ুনঃ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জীবনী,শৈশব,ক্যারিয়ার,ব্যক্তিগত জীবন

সুচিত্রা সেনের ক্যারিয়ার জীবন (Suchitra Sen’s Career life):

suchitrasenসূত্রঃ-  pmcvariety . files . wordpress . com

সুচিত্রা সেন তার বিবাহের পর সিনেমা জগতে পা রাখেন। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হলেও ছবিটি প্রকাশ পায়নি। পরের বছর নির্মল দের পরিচালিত সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে সুচিত্রা সেন মহানায়ক উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন। এবং ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে ৬৫ সপ্তাহ ধরে চলে। এটি বক্স অফিসে একটি সুপারহিট সিনেমা ছিল। এবং সুচিত্রা সেন তার অভিনয়ের জন্য প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন। এই ছবির মাধমের বাংলা ইন্ডাস্ট্রি সেরা জুটি উত্তম- সুচিত্রাকে পেয়েছিলেন। তারা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে সেরা আইকন হয়ে উঠেছিল। তিনি বাংলা জগতের বিখ্যাত একজন অভিনেত্রী ছিলেন।

তার দুর্দান্ত অভিনয় হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য পথ খুলে দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটির নাম ছিল দেবদাস। এই চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার লাভ করেছিলেন। বিশেষত উত্তম কুমারের সাথে তাঁর বাঙালি সুর ও রোম্যান্স তাকে সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী হিসাবে গড়ে তুলেছিল।

এই রোমান্টিক জুটির আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা একটি মানদণ্ড তৈরি করেছে যা আজ অবধি অপরিবর্তিত রয়েছে। পরবর্তী দশকগুলিতে বাংলা সিনেমায় আর কোনও রোমান্টিক জুটি সুচিত্রা সেন এবং উত্তম কুমারের তৈরি ম্যাজিকের সাথে মেলে ধরতে পারেনি।

suchitra 5

সূত্রঃ- anilcm . files . wordpress . com

 ১৯৭৪ সালে অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন অভিনীত হিন্দি ছবি ‘অন্ধি’ যা ইন্দিরা গান্ধীর জীবন অবলম্বনে নির্মিত। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে মনোনয়ন।

১৯৫৯ সালে দ্বীপ জ্বেলে যাই তার সেরা অভিনয় হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানে তিনি একজন নার্সের চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৬৩ সালে সুচিত্রা সেনের আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে। তার ‘সাত পাকে বাঁধা’ চলচ্চিত্রের জন্য মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হয়েছিলেন।

এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দুর্দান্ত ছবি দর্শকের উপাহার দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে চলচ্চিত্র জগত থেকে থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তবে তার কারণ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় নি।

২০১২ সালে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পুরস্কার বঙ্গ বিভূষণে ভূষিত হন। এছাড়াও ২০০৫ সালে হিন্দি চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন করা হয়। তবে তিনি তা গ্রহণ করতে আপত্তি জানান।

আরও পড়ুনঃ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী জেনে নিন

সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিগত জীবন (Suchitra Sen’s Personal life):

suchitra 3

সূত্রঃ- images . news18 . com

১৯৭৪ সাল একজন বাঙালি শিল্পপতি দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তার একটি কন্যা ছিল মুনমুন সেন। মুনমুন সেন একজন খ্যাতনামা।

আরও পড়ুনঃ শবনম বুবলি শৈশব, ব্যক্তিজীবন, ক্যারিয়ার জীবন

মহাপ্রয়াণঃ

suchitra 4

সূত্রঃ- im . rediff . com

২০১৪ সালে ১৭ জানুয়ারি ৮২ বছর বয়সে সুচিত্রা সেন কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর তিন সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ সুপারস্টার দেব এর জীবন কাহিনী জেনে নিন

পুরস্কারঃ

১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উত্সব সেরা অভিনেত্রী।
১৯৬৩ সালে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড সেরা অভিনেত্রী (মনোনীত)।
১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী।
১৯৭৬ সালে ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার সেরা অভিনেত্রী (মনোনীত)
২০১২ সালে বঙ্গ বিভূষণ।

আরও পড়ুনঃ নুসরাত জাহান শৈশব, ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবন

সারকথাঃ

সুচিত্রা সেন আমাদের বাঙালীর গর্ব।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ 

প্রঃ অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন ১৯৩১ সালে ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।

প্রঃ অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

প্রঃ সুচিত্রা সেনের বাবার নাম কি?

উঃ করুণাময় দাশগুপ্ত।

প্রঃ সুচিত্রা সেনের মায়ের নাম কি?

উঃ ইন্দিরা দেবী।

প্রঃ সুচিত্রা সেনের প্রথম সিনেমা কি?

উঃ শেষ কোথায় চলচ্চিত্র সিনেমা করেন তবে তা প্রকাশ পায়নি। পরে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে।

প্রঃ সুচিত্রা সেনে কবে পদ্মশ্রী পান?

উঃ ১৯৭২ সালে সুচিত্রা সেন পদ্মশ্রী পান।

প্রঃ সুচিত্রা সেনে কবে মারা যান?

উঃ ২০১৪ সালে ১৭ জানুয়ারি সুচিত্রা সেন মারা যান।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here