সূত্রঃ- www . instagram . com/p/BxLAyWpHQr-/
নামঃ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
ডাক নামঃ ঋতু
পেশাঃ অভিনেত্রী, মডেল, প্রযোজক
জন্মতারিখঃ ৭ই নভেম্বর, ১৯৭১
জন্মস্থানঃ কলকাতায়
জাতীয়তাঃ ভারতীয়
ডেবিউঃ বাংলা ধারাবাহিক সাদা পায়রা, বাংলা সিনেমা শ্বেতপাথরের থালা
বাঙালি চলচ্চিত্র জগতে বিগত দুই দশকের এক নম্বর অভিনেত্রীদের মধ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অন্যতম। তিনি শুধুমাত্র বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেই সিনেমা করেনি একাধিক বাংলাদেশী এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাই তার জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র ভারতেই সীমাবদ্ধ নয় তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশেও। একাধিক সুপারহিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তার অভিনয় এবং প্রতিভা জয় করেছে হাজার হাজার মানুষের মন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করতেও ভালোবাসেন। তিনি একজন অভিনয় চলচ্চিত্রে সফল অভিনেত্রী। তাই আজ এই মহান অভিনেত্রী জীবনের সম্পর্কে জেনে নেব। চলুন তাহলে দেখে নিই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জীবনী।
আরও পড়ুনঃ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী জেনে নিন
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জীবনী –শৈশব জীবনঃ
সূত্রঃ- www . instagram . com/p/BvlZPSKHAVG/
বাবার নামঃ প্রবীর সেনগুপ্ত
মায়ের নামঃ নন্দিতা সেনগুপ্ত
স্কুলঃ মাউন্ট কারমেল স্কুল
কলেজঃ লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ
শিক্ষাযোগ্যতাঃ স্নাতক ডিগ্রী
১৯৭১ সালে ৭ই নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেত্রী। তিনি মেধাবী ছাত্রীর পাশাপাশি অভিনয়, নৃত্য, অঙ্কন এবং হাতের কাজেও পটু। বাবা প্রবীর সেনগুপ্ত এবং মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। মাউন্ট কারমেল স্কুলে শিক্ষা অর্জন করেন এবং লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলাবিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও খুব অল্প বয়সে চিত্রাংশু নামে একটি শিল্পবিদ্যালয় থেকে নৃত্য, হাতের কাজ এবং অঙ্কন শেখেন। এবং স্নাতকোত্তর স্তর করার পর অভিনয়ের জন্য ক্যারিয়ার জীবনের পথ চলা শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ শবনম বুবলি শৈশব, ব্যক্তিজীবন, ক্যারিয়ার জীবন
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জীবনী –ক্যারিয়ার জীবনঃ
সূত্রঃ- www . instagram . com/p/BNrrh6ih7bi/
বাংলা ধারাবাহিকের মাধ্যমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করে। তার প্রথম বাংলা ধারাবাহিক সাদা পায়রা। এই ধারাবাহিকে তার অভিনয় সবার নজরে আসে এবং ১৯৯২ সালে প্রথম বাংলা সিনেমার অফার পান। ১৯৯২ সালে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মুক্তি প্রাপ্ত ছবি “শ্বেতপাথরের থালা”। ছবিটি ভালো সাফল্য অর্জন করে এবং তার অভিনয়ের জন্য তিনি প্রচুর প্রশংসা অর্জন করে। প্রভাত রায়ের প্রথম ছবির অভিনয় জন্য শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবির জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। এরপর থেকে তার ক্যারিয়ার জীবন তুঙ্গে ছিল। প্রথম ছবির পর থেকে তার ক্যারিয়ার জীবনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর থেকে একাধিক ছবির অফার পেয়েছেন অভিনেত্রী।ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সুজন সাথী, স্বামী কেন আসামী, মনের মানুষ, দহন, চাঁদের বাড়ি, চতুরঙ্গ, দৃষ্টিকোণ জনপ্রিয় সিনেমা করেছেন।
আরও পড়ুনঃ চঞ্চল চৌধুরী শৈশব, শিক্ষা, ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবন
সূত্রঃ- www . instagram . com/p/BMT2ySmBI6w/
এছাড়াও তিনি মুম্বাইয়ে হেমা মালিনীর সঙ্গে মোহিনী নামে একটি টেলিফিল্ম করেন। এবং তিসরা কৌন নামক একটি হিন্দি ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদা, চণ্ডালিকা, শ্যামা, মায়ার খেলা প্রভৃতি নৃত্যনাট্য খ্যাতিলাভ করেছে। তিনি কেবল কলকাতারই নন, বাংলাদেশী অভিনেত্রী যিনি গুণমান বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পের গৌরব ও উন্নতি করেছেন। বাংলাদেশের ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং বাংলাদেশে তার ভক্তের সংখ্যাও প্রচুর। বলাই যায় তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এক নম্বর অভিনেত্রী। তার অধিকাংশ সিনেমা অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এখনো পর্যন্ত তিনি বহু বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সুপারস্টার দেব এর জীবন কাহিনী জেনে নিন
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জীবনী –ব্যক্তিগত জীবনঃ
সূত্রঃ- www . instagram . com/p/BJfFYpkB6ZI/
স্বামীর নামঃ সঞ্জয় চক্রবর্তীর
পুত্রর নামঃ অঙ্কন
কন্যার নামঃ নীয়া
প্রিয় অভিনেতাঃ শাহরুখ খান, মিঠুন চক্রবর্তী
প্রিয় অভিনেত্রীঃ বিপাশা বসু
প্রিয় রঙঃ লাল, নীল
প্রিয় খাবারঃ মাছ, মিষ্টি দই, রসগোল্লা
শখঃ নাচ, ব্যাডমিন্টন খেলা
উচ্চতাঃ ৫.৫ ফুট
ওজনঃ ৬৫ কেজি
চুলের রঙঃ কালো
চোখের রঙঃ ডার্ক ব্রাউন
১৯৯৯ সালে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তার শৈশব প্রেমিক সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহ করেছেন এবং যার সাথে তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। তাদের বিবাহিত জীবন এখন সুখী; তাদের একটি ছেলের নাম অঙ্কন এবং নীয়া নামে একটি কন্যা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ টলিউড অভিনেতা জিৎ এর জীবন কাহিনী
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জীবনী – পুরস্কারঃ
সূত্রঃ- www . instagram . com/p/BNrsDA2h_j-/
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তার সৌন্দর্য এবং অভিনয়ের জন্য চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং জীবনে বিভিন্ন সময় প্রচুর পুরষ্কার অর্জন করেছেন যা তাকে দেশজুড়ে কিংবদন্তি অভিনেত্রী করে তুলেছে। ১৯৯৫ সালে ভারত নির্মাণ পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে কলাকার পুরস্কার এবং কাজী নজরুল ইসলাম জন্মশতবার্ষিকী পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে দহন ছবির জন্য ৪২তম ভারতীয় জাতীয় চলচ্চত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার, ২০০০ সালে দহন ছবির জন্য উজালা আনন্দলোক শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার এবং আত্মীয়স্বজন ছবির জন্য উজালা আনন্দলোক শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ২০০৬ সালে দ্বিতীয় বসন্ত ছবির জন্য
বিএফজেএ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ যশ দাশগুপ্ত উচ্চতা, ওজন, শৈশব, পরিবার, ক্যারিয়ার,জীবনী