সূত্র :- thesplendorofthechurch . com
২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের শুভ জন্মদিন হিসাবে পালন করা হয়। এটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। খ্রিস্টানধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ নিয়েছিলেন।
শুভেচ্ছা ১
এই উৎসবটিতে তোমার জীবন আরও ভালোভাবে শুরু হোক। মেরি ক্রিসমাস।
বড়দিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অন্যান্য শহরের মতো কলকাতার পার্ক স্ট্রিট সেজে ওঠে আলোকসজ্জায়। রাত যত বাড়ে পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় ভীড় তত জমে।
শুভেচ্ছা ২
এই উৎসবে সকলে মিলে অতীত ভুলে নতুন করে শুরু করি। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুক। শুভ বড়দিন।
আরও পড়ুনঃ বড়দিনের পোশাকঃ মহিলাদের জন্য সাজসজ্জায় বড়দিনের পোশাক
২৫ ডিসেম্বর কেন পালন করা হয়?
সূত্র :- christmas . 365greetings . com
যিশুখ্রিষ্টের জন্ম তারিখটা স্মরণীয় রাখার জন্য প্রত্যেকবছর এই দিনটি পালন করা হয়। ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথেলহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যদিও এই তারিখটি প্রকৃত জন্মের তারিখ কিনা সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তাছাড়াও বাইবেলে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের কোন নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা নেই।
শুভেচ্ছা ৩
আশাকরি এই বড়দিনে জীবনের সেরা উপহার পান এবং জীবনের সমস্ত কিছু প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। শুভ বড়দিন।
প্রাচীনযুগে খ্রিস্টানদের মতে এই তারিখটির ঠিক ৯ মাস আগে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেছিলেন যিশু। এই হিসাব অনুযায়ী সম্ভবত ২৫ শে ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্ম তারিখ ধরা হয়।
সারকথাঃ
বড়দিন যার ইংরেজি অর্থ মেরি ক্রিসমাস।
বড়দিনের শুভেচ্ছাঃবিশ্বব্যাপী শুভ বড়দিন উদযাপন
সূত্র :- encrypted-tbn0 . gstatic . com
বিশ্বব্যাপী শুভ বড়দিন জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। খ্রিস্টানরা এই দিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, চার্চে গিয়ে যোগদান করে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এই দিনটি পালন করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ সান্টাক্লজের গল্পঃঅজানা কিছু রহস্য
শুভেচ্ছা ৪
সান্টাক্লজের কাছে তোমার জন্য সুখ এবং শান্তি চাইব, শুধু এই ক্রিসমাসের জন্য নয় বরং পুরো বছরের জন্য। মেরি ক্রিসমাস।
কেউ কেউ আবার সান্টা ক্লজ সেজে শিশুদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জন্য মিষ্টি, কেক এবং নানা ধরনের উপহার বিতরণ করে থাকে। এই দিনে সবচেয়ে মূল আকর্ষণ হল ক্রিসমাস- ট্রি ( রঙিন বল দিয়ে গাছটি সজ্জিত হয়)। খ্রিস্টানরা তাদের বাড়ি বিভিন্ন রঙের ইলেকট্রিক ল্যাম্প ও ক্রিসমাস- ট্রি দিয়ে সাজান। অনেকে ছাদে বা বারান্দায় বিশাল আকৃতির তারা ঝোলায়।
শুভেচ্ছা ৫
আশা করি এই বড়দিন আপনার পরিবারে আনন্দ এবং ভালোবাসায় ভরে উঠুক। তোমাকে একটি আনন্দময় বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই।
আরও পড়ুনঃ ক্রিসমাস উপলক্ষে ১০ টি বড়দিনের উপহার
যিশুর জন্মদিন উপলক্ষে নানা ধরনের কেকের ব্যবস্থা করা হয়। অনেক বাড়িতে আবার ক্রিসমাস কেক বানানো হয়ে থাকে।
শুভেচ্ছা ৬
এই ক্রিসমাসে আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল। শুভ বড়দিন এবং শুভ নববর্ষ!
তিলত্তমা কলকাতায় শুভ বড়দিন উদযাপন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বড়দিনের শুভেচ্ছায় মেতে ওঠে তিলত্তমা কলকাতাও। পার্ক স্ট্রিটে আলোকসজ্জাই হোক বা নগরীর রাজপথ থেকে অলিগলি জমজমাট উৎসবে মাতোয়ারা সকল কলকাতাবাসী।
কলকাতার বাঙালিরাও প্রতি বছর এই দিনটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করে থাকে। আলোকসজ্জার থিমগুলি শুরু হয় সেন্ট জেভিয়াস কলেজ থেকে জওহরলাল নেহরু রোড পর্যন্ত।
শুভেচ্ছা ৭
ক্রিসমাস ট্রি উপর উজ্জ্বল তারা,
ইঙ্গিত দেয় আমাদের গাইড করার জন্য সর্বদা আলো থাকবে।
আশা করি প্রিয় মানুষদের সঙ্গে একটি দুর্দান্ত বড়দিন উদযাপন করবেন।
মেরি ক্রিসমাস অ্যান্ড হ্যাপি নিউ ইয়ার।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব জুড়ে চলছে ২০১৮ বড়দিন উদযাপন প্রস্তুতি
পড়ার দোকান থেকে শপিং মল,নিউ মার্কেটের কেকের দোকান, নাইট ক্লাব, পার্ক স্ট্রিটের সান্টা ক্লজ,ছোট থেকে বড়ো লাল রঙের সান্তার টুপিতে কমবয়সী তরুণ- তরুণীর সাজগোজ, ক্রিসমাস কার্নিভ্যালে জমজমাট কলকাতা।
শুভেচ্ছা ৮
এই বড়দিন হৃদয় দিয়ে উদযাপন করুন।
সুখ, উল্লাস এবং ভালবাসায় ভরে উঠুক,
একে অপরকে আশীর্বাদ ভাগ করে নিন।
শুভ বড়দিন।
কলকাতার মতো ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল আর অন্য কোথাও দেখা যায় না। শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায় নয়, শহরের প্রতিটি ব্যক্তি নিজের উৎসবের মতো ক্রিসমাস উদযাপন করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ বড়দিনের ইতিহাস এর পিছনে অজানা গল্প জেনে নিন
শুভেচ্ছা ৯
এই ক্রিসমাস আপনার পরিবারকে আগামীকাল আরও ভাল করার প্রতিশ্রুতি আনুক এবং ভালোবাসা, আশা ভরিয়ে তুলুক। মেরি ক্রিসমাস বন্ধু।
পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে খাবার দোকান ও স্টল, লাইভ মিউজিক, বিনোদন, এবং দর্শকদের ভিড় – সব মিলিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে গোটা রাজ্যবাসী।
শুভেচ্ছা ১০
সুখের উপহারটি খুলুন এবং এই ক্রিসমাসটি ভালবাসুন। এবং অন্যদের সাথে ভাগ করে নিন একটি নতুন আনন্দ এবং শুভ বড়দিন।
আরও পড়ুনঃ বড়দিন উদযাপনঃ বিশ্বব্যাপী বড়দিন উদযাপন
শহরের চার্চগুলো সেজে ওঠে আলোকরশ্মিতে। কোনো চার্চে সাজানো হয় যিশুর মূর্তি। আবার কোথাও যিশুর জীবন চিত্র তুলে ধরে। সন্ধ্যে হলে চার্চগুলিতে মানুষের ঢল নামে।
সারকথাঃ
বড়দিন বলতে দিনটি আসলে বড় নয়। দিনটি সবার আনন্দ ও ভালোবাসার ক্ষেত্রে অনেকটাই বড়।