সূত্রঃ- eisamay . indiatimes . com
রবিবার ‘জনতা কারফিউ’ চলছিল দেশজুড়ে। তারইমধ্যে সরকার থেকে ঘোষণা করা হল কলকাতায় লকডাউন। পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাজ্য জুড়ে লকডাউনের সিধান্ত গ্রহণ। ১৬ জেলার সমস্ত মিউনিসিপালটি এলাকা জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে। বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিদের জন্যই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্য জুড়ে। ভাইরাসের মোকাবিলা করার একমাত্র পথ লকডাউন এমনটাই ভাবছেন কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আজ থেকে কলকাতা শহর জুড়ে ২৭ শে মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের সিধান্ত নিল রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার।
হাওড়া, হুগলী, বীরভূম, মালদা, পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ সমস্ত মিউনিসিপাল শহর সহ সমস্ত জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হল। আন্তর্জাতিক বিমান থেকে রেল পরিষেবা সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন । করোনায় আক্রান্ত বাংলার তৃতীয় মহিলার রিপোর্ট পজেটিভ
লকডাউনে বন্ধ থাকবে সরকারি- বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মেট্রো, রেল, বিমান, শপিং মল, দোকান, সমস্ত পরিবহণ। তবে লকডাউনের আয়ত্তে যেসমস্ত জিনিসগুলি পরবে না সেগুলি হল স্বাস্থ্য দপ্তর, হাসপাতাল, মুদি দোকান, বাজার, ফুড ডেলিভারি অনলাইন সংস্থা, এলপিজি, পুলিশ। মিডিয়া, স্বাস্থ্য, জল, বিদ্যুৎ, রেশন, মুদি দোকান সমস্ত জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে আগামী পাঁচদিন কোন বাস, ট্যাক্সি, অটো, ট্রেন পরিষেবা চলবে না। ৭ জনের বেশি কোন স্থানে জমায়েত চলবে না। নির্দেশ না মানলে কোঠর শাস্তিও হতে পারে। তবে অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য ঔষধ, মুদি বাজার, জলের ব্যবস্থা খোলা থাকবে। এইকদিন বাড়িতে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরের না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হছে।
আরও পড়ুন । পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি, পজেটিভ রিপোর্ট
রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে ৭ জন দাঁড়িয়েছে। বালিগঞ্জের তরুণেরে বাবা ও মায়ের শরীরেরও মিলেছে এই ভাইরাস। ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই মারন ভাইরাসকে মোকাবিলা করতেই লকডাউনের সিধান্ত গ্রহণ।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তা এবং গৃহহীন মানুষদের জন্য মিউনিসিপালটি ও সম্ভবত স্কুলে রাখা হবে। রেশন দেওয়া হবে বিনামূল্যে।
আরও পড়ুন । কলকাতায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, পজিটিভ রিপোর্ট
[“সূত্রঃ- timesofindia.indiatimes.com“]