সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
Biography | |
---|---|
নাম | পন্ডিত রবি শঙ্কর |
ডাক নাম | রবি |
পেশা | সংগীতজ্ঞ |
জন্মতারিখ | ৭ ই এপ্রিল, ১৯২০ |
জন্মস্থান | বারাণসী |
জাতীয় | |
রাশিচক্র | মেষরাশি |
পরিবার ও আত্মীয়স্বজন | |
পিতা | শ্যাম শঙ্কর চৌধুরী |
মা | হেমাঙ্গিনী দেবী |
ভাই | উদয় শঙ্কর |
স্ত্রী | অন্নপূর্ণা দেবী,সুকন্যা কৈতান |
পুত্র | শুভেন্দ্র শঙ্কর |
কন্যা | নোরা জোন্স, অনুশকা শংকর |
মৃত্যুর তারিখ | ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ |
মৃত্যুর স্থান | আমেরিকা |
অন্যান্য | |
আয় | Not available |
টুইটার | Not available |
ফেসবুক | Not available |
ইন্সটাগ্রাম | Not available |
পন্ডিত রবি শঙ্কর ছিলেন একজন বিংশ শতাব্দীর এক অন্যতম প্রশংসনীয় এবং প্রভাবশালী ভারতীয় বাঙালি সংগীতজ্ঞ। যিনি সেতারবাদনের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।তিনি একটি সংগীত জাদুকর হিসাবে শিরোনাম হয়েছিল যিনি তার অনন্য স্টাইল এবং রচনাগুলির নিখুঁত উজ্জ্বলতার মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের মনমুগ্ধ করেছিলেন। তিনি তার সময়ে সেরা সংগীত মাস্টারদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সংগীতের সবচেয়ে প্রভাবশালী বার্তাবাহক।
আরও পড়ুনঃ পঙ্কজ মল্লিক শৈশব এবং ক্যারিয়ার জীবন
পন্ডিত রবি শঙ্করের প্রাথমিক জীবনঃ
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
১৯২০ সালে ৭ ই এপ্রিল বারাণসীর একটি বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পন্ডিত রবি শঙ্কর । তিনি তার সাত ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন পন্ডিত রবি শঙ্কর শৈশব থেকেই বাদ্যযন্ত্রের পরিবেশে বেড়ে ওঠেন এবং তিনি বিভিন্ন ধরণের বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আগ্রহী ছিলেন।
প্রথমদিকে, পন্ডিত রবি শঙ্কর নাচের মাধ্যমে শিল্পের জগতে প্রবেশ করেছিলেন, যেখানে তাঁর ভাই উদয় শঙ্কর তাকে প্রচুর সহায়তা করেছিলেন। আঠারো বছর বয়সে তিনি নাচ ছেড়ে দিয়ে সেতার শিখতে শুরু করেন যার জন্য তিনি তার মাস্টার আলাউদ্দিন খানের কাছ থেকে দীক্ষা নেন।
আরও পড়ুনঃ সিস্টার নিবেদিতা প্রাথমিক জীবন এবং কর্মজীবন
পন্ডিত রবি শঙ্করের পারিবারিক জীবনঃ
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
তার বাবা শ্যাম শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ। রবি শঙ্করের পারিবারিক ও বৈবাহিক জীবন ছিল বিতর্কিত। একুশ বছর বয়েসে পন্ডিত রবি শঙ্কর তার গুরু আলাউদ্দিন খানের কন্যা অন্নপূর্ণা দেবীকে বিয়ে করেন এবং শুভেন্দ্র শঙ্করের জন্ম হয়। কিন্তু এই অন্নপূর্ণা দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এবং এই দশকের শেষে কমলা শাস্ত্রী নামে নৃত্যশিল্পীর সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
আশি দশকের সময় আমেরিকান কনসার্ট উদ্যোক্তা স্যু জোন্স এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এবং তারা ১৯৮৯ সালে নোরা জোন্স নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। নোরা জোন্স আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গায়ক। পরবর্তীকালে তার অনুরক্তা সুকন্যা কৈতানকে তিনি বিয়ে করেন। এবং তার দ্বিতীয় কন্যা অনুশকা শংকরের জন্ম হয়। অনুশকা শংকরের সেতার বাজিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলে।
আরও পড়ুনঃ অরবিন্দ ঘোষ শৈশব, শিক্ষা, পরিবার এবং কর্মজীবন
পন্ডিত রবি শঙ্করের অবদানঃ
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
সংগীত শিল্পে শীর্ষস্থানে থাকার জন্য পন্ডিত রবি শঙ্কর সর্বাধিক পরিচিত, পশ্চিমে ভারতীয় সংগীতকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে তার অবদান প্রচুর। ১৯৬৬ সালে যখন তিনি বিটলস দলের সদস্য জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই সময় রক সঙ্গীতের প্রচলন ছিল। পন্ডিত রবি শঙ্কর এই তরুণদের মধ্যে গিয়ে তার সংগীতজ্ঞের যাদুতে তাদের মনোমুগ্ধ করেছিলেন। তিনি জর্জ হ্যারিসন, জন কাল্টারেন, জিমি হেন্ডরিক্সের মতো নামী সংগীতের প্রতিনিধিদের সাথে একাধিক শো দিয়েছিলেন। তিনি পশ্চিম এবং প্রাচ্যের সঙ্গীত ঐতিহ্যের সংমিশ্রনের মাধ্যমে জনগণের সামনে ফিউশন মিউজিক আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলাম।
আরও পড়ুনঃ উদয় শঙ্কর শৈশব, শিক্ষা, ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন
সিনেমায় রবি শঙ্করের অবদানঃ
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
পন্ডিত রবি শঙ্কর হিন্দি সিনেমাতেও সংগীত এবং বহু শিল্পী ধাঁচের সংগীত দেওয়ার জন্য সফল হয়েছেন। প্রথমে তিনি ‘নীচা নগর’ এবং ধরতি কা লাল ফিল্মে সংগীত দিয়েছিলেন কিন্তু পরে তিনি হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘অনুরাধা’, ত্রিলোক জেটলি পরিচালিত ‘গোদন’ এবং গুলজারের ‘মীরা’ সংগীতও রচনা করেছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রাইয়ের তিনটি চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ (১৯৫৫), ‘অপরাজিতা’ এবং ‘অপুর সংসার’ তার সংগীত দিয়েছিলেন। রিচার্ড অ্যাটেনবারোর কিংবদন্তি চলচ্চিত্র গান্ধীর জন্য সংগীত পরিচালনার জন্য অস্কারের জন্যও মনোনীত হন তিনি। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি আকাশবাণীতে সংগীত পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ মাদার টেরেসা শৈশব, প্রাথমিক এবং কর্মজীবন
মহাপ্রয়াণঃ
সূত্রঃ- encrypted-tbn0 . gstatic . com
ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন পুরষ্কার প্রাপ্ত পন্ডিত রবি শঙ্কর ২০১২ সালের ১১ ই ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টের কারণে আমেরিকার স্যান দিয়েগোতে এক হাসপাতালে মারা যান। আজও, লোকেরা এই দুর্দান্ত ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে তার অবদান প্রচুর।
আরও পড়ুনঃ সত্যেন্দ্রনাথ বসু শৈশব, কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন