করোনার আবহে নয়া রেকর্ড গড়ল ভারত-বাংলাদেশ

Indo bangladesh train 1

একদিকে মারণ ভাইরাসের ভয়ে কাঁটা গোটা দেশ । অন্যদিকে সেই ভাইরাসের ভয়কে তোয়াক্কা না করে দু দেশের মধ্যে সুদৃঢ় হয়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ।

চলতি বছরের জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করেছে ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে । দুই দেশের রেলওয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পণ্যবাহি ট্রেনগুলো চালানো হয় ।

পণ্য পরিবহনের এই বিরাট পরিমাণ সাফল্য দেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতের মধ্যে পার্সেল ট্রেন পরিষেবা শুরুর অনুমতি দেয় ।

আরও পড়ুন : ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

করোনা সংক্রমণের জেরে যেখানে বাড়ি থেকে বের হওয়াই দুস্কর । আর সেখানেই জুন মাসে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পণ্যবাহী চলাচল করেছে বলে জানা যায় ।

গত এক মাসে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেনে করে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, ভুট্টা, হলুদ, ধানের বীজ, চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে ।

আরও পড়ুন : করোনা ভ্যাকসিনের টিকা আসতে চলেছে ১৫ আগস্টের মধ্যে

করোনা মহামারী ও লকডাউনের আবহ গঙ্গা ও পদ্মার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনও ছেদ ফেলতে পারেনি । উলটে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে ।

গত এক মাসে বিপুল পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করতে দেখে ভারতের উপরে আরও ভরসা বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের । তাই বাংলাদেশ প্রশাসন ভারতে পার্সেল (Parcel) ট্রেন পরিষেবা চালু করারও অনুমতি দিয়েছে ।

কী এই পার্সেল ট্রেন পরিষেবা?

এটিও একপ্রকার পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা । যার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ শহরে দ্রুতগতিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হয় । ফলে করোনা আবহে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবায় যাতে কোনও বাঁধা পড়বে না ।

দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা শুরু করা হয় । পার্সেল ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে আপাতত ২৩৮ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করা হবে ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ।

আরও পড়ুন :Covid19-হিউম্যান ট্রায়ালে ছাড়পত্র পেল আরেক দেশীয় সংস্থা

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ একাধিক ভিডিও কনফারেন্সে রেল মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুই দেশের মধ্যে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের সহজীকরণের ব্যাপারে অনুরোধ করেন ।

দীর্ঘ আলোচনার পরে বর্তমানে এনবিআর ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে কন্টেনার ট্রেন পরিষেবা সহজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন । ভবিষ্যতে দুই দেশের অন্দরে এই পরিষেবাকে আরও উন্নত করা হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশের রেলমন্ত্রক ।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here