ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা: জানুন কি করে ভালো থাকবেন

ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা

ঠান্ডায় সবচেয়ে বড় সম্যসা হল সর্দি লাগা। ঠান্ডা এলেই এটা বড় আকার ধারন করে। অনেকেই ভেবে থাকেন ঠান্ডায় ভিজলে বা ঠান্ডা খেলে, সর্দি-কাশি হয় ধারনাটা একদম ভুল। এই সমস্ত জিনিস গুলো সাধারণত ভাইরাস এর জন্য হয়ে থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রোগব্যাধিও বেড়ে যায়। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। সুতরাং ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা হওয়াটা খুব জরুরী।

ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা গুরুত্বঃ

ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা গুরুত্বঃ

ঠাণ্ডার মরসুম রীতিমতো শুরু হয় গেছে। এই ঠান্ডা-গরমে রোগ- ব্যাধি প্রকট বাড়ে। তাই এই সময় সাবধান থাকাটা অতন্ত্য জরুরী। এই ঠান্ডায় যদি সর্দি-কাশি লেগেই থাকে তাহলে পুরো নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাড়াবে। তাই এই ঠান্ডায় প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। ঠান্ডায় সবথেকে বেশি সম্যসা দেখা যায় বাচ্চাদের। কারন গরম থেকে ঠাণ্ডা ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে তাপামাত্রারও পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের শারীরক পরিবর্তন দেখা যায়, সেই পরিবর্তেনের সাথে সমন্বয় করতে পারে না। যার ফলে কিছু সমস্যা দেখা যায়।যেমন-নিউমেনিয়া, শ্বাসকষ্ট।

কিছু লক্ষণ আছে যা দেখলে রোগ নির্নয় করা যাবে, তার জন্য কোন পরীক্ষা করার দরকার পড়ে না। যেমন-সর্দি জ্বর এর লক্ষণ হল নাক দিয়ে জল পড়া, নাক ও গলায় অস্বস্তি হওয়া, হাঁচি, মাথা ব্যথা, জ্বর ভাব, এই সমস্ত উপসর্গ দেখলে বোঝা যায় যে সর্দি জ্বরের লক্ষণ । কোন কোন সময় চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। সর্দি জ্বরে এ বিশ্রাম নেওয়া ও ঠাণ্ডা না লাগানোই ভালো।
অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না কি সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত আর কি কি করা উচিত না। নীচের সতর্কতা মেনে চললে আশা করি আপনি সুস্থ থাকবেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ চেক করুন :- 

ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতার সতর্কতাঃ

ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতার সতর্কতাঃ

কিছু সতর্কতা মেনে চললে আনেকটা নিরাপদে থাকা যায়-

  • ঠান্ডা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো (যেমন- আইসক্রীম, কোল্ড ডিঙ্কস)। গরম জতীয় খাবার খেতে পারেন (যেমন-কফি, চা ইত্যাদি)।
    রাস্তার খাবার ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলবেন।
  • পুষ্টিকর যুক্ত খাবার খেলে রোগ-প্রতিরোধ এর ক্ষমতা বাড়ে। তাই বেশি করে পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন।
  • শাক-সব্জি মধ্যে থাকে অতিরিক্ত প্রোটিন-ক্যালসিয়াম, এর জন্য অতিরিক্ত ফল ও শাক সব্জি খাওয়া উচিত। টাটকা ফল (আপেল, আনারস, পেয়ারা, কলা, ন্যাসপাতি, তরমুজ) বেশি করে খান শরীর সতেজ থাকবে।
  • চর্বি যুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
  • প্রচুর পরিমাণে জল খাবেন।
  • কোন নির্দিষ্ট খাবারে এলার্জী থাকলে, তার থেকে এড়িয়ে চলুন।
  • ধূমপান শরীরের পক্ষে খুব খারাপ, তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
  • সময় মতো খাওয়া-দাওয়া ও প্রতিনিয়ত ব্যায়ম এর অভ্যাস করলে রোগ –প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে।
  • পরিস্কার জামা কাপড় পড়বেন।
  • ঠান্ডায় আদা, তুলসিপাতা, শিউলি পাতা রস খেলে সর্দি-জর হওয়া সম্ভবনা কম থাকে।
  • রোগীর ব্যবহার করা রুমাল, গামছা অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না।
  • শ্বাসকষ্ট ,হাঁপানি থেকে রেহাই পেতে ধূলো-বালি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
  • ঠান্ডায় শুরুতে ডায়রিয়া-আমাশয় প্রভাব বেশি দেখা যায়, সাধারণত শিশুদের এই সমস্ত রোগ বেশি দেখা যায়। তাই এই সময় বাচ্চাদের সব থেকে বেশি সাবধানে রাখতে হয়। বিশুদ্ধ জল ও খাবার বেশি করে খেতে হবে, যাতে দূষিত পানি সঙ্গে এই রোগ জীবানু মিশে না গিয়ে প্রবল আকার ধারন না করে।
  • বাচ্চাদের বেশি করে টাটকা ফল ও সব্জি খাওয়ান। খেয়াল রাখবেন বাচ্চাদের শরীরে জলের অভাব জন্য না দেখা যায়, তাহলে রোগ বেশি করে থাবা বসাবে।
  • প্রতিদিন হলকা গরম জলে স্নান করুন। নিজেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে রোগ মুক্ত থকবেন।

ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা

এই সময় ত্বকের প্রচন্ড ক্ষতি হয়। ত্বক ডি-হাইড্রেড হয়ে যায়। তখন ত্বকে টান ধরে , ত্বকে বলিরেখা দেখা যায়। ঠান্ডায় আপনার ত্বকে যেন ময়শ্চারাইজ- এর অভাব না দেখা যায় , ত্বক যাতে মসৃন থাকে তার জন্য তেল, লোশান ব্যবহার করুন।

সারকথাঃ

এই সময় হাত,পা, ঠোঁট ফাটে বেশি করে। বিশেষ করে হাত-পা, ঠোঁটের যত্ন নেবেন।যদি খুব জ্বর দেখা যায়, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যন্টিবায়োটিক খেতে পারেন।

এই সতর্কতা গুলি মেনে চললে আশা করি রোগ মুক্ত থাকবেন। নিজে সুস্থ থাকুন ও অন্যকে ও সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। সুতরাং, ঠান্ডায় স্বাস্থ্য সচেতনতা-র দিকে কড়া নজর রাখতে হবে আপনাদের নিজেদেরকেই।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here