পশ্চিমবাংলায় ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান

সূত্র :- pbs.twimg . com

২০১২ সাল থেকে চালু করা হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান। সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কম খরচে ঔষধ ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বহু বছর ধরে। রোগীদের সাহায্য করার একটি উপায় হচ্ছে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা, যার ব্যয় সরকারের দ্বারা আচ্ছাদিত। অনেক সময় ডাক্তারের ফিস, হাসপাতালের খরচ দিতে গিয়ে ঔষধ কিনতে মানুষ অক্ষম হয়ে পড়ে। তাই দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ঔষধের খরচ কমাতে ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান খোলা হয়েছে। এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান খোলার পর থেকেই মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে। ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানগুলিতে কি ন্যায্য মূল্যের ঔষধ পাওয়া সম্ভব হবে এবং সঠিক ঔষধ পাওয়া কি সম্ভব। তবে, এখন এই পরিকল্পনায় হাজার হাজার মানুষ সুবিধা লাভ করছে।

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান

সূত্র :- business.medicaldialogues . in

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানগুলি সারা রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অবস্থিত। এই পরিকল্পনায় ১২১ টি দোকান প্রস্তাব করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৯৩ টি দোকানে প্রারম্ভিক কাজ শুরু হয়ে গেছে, যা সর্বাধিক খুচরা মূল্যের উপর ৪৭ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ভিত্তিতে ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সমস্ত গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা প্রদান করা হবে। এছাড়াও সমস্ত হাসপাতালের রোগীদেরও এই সুবিধা প্রদান করা হবে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৩৫ টি ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান এর জন্য ৪১৪ কোটি টাকার মতো ঔষধ বিক্রি হয়েছে এবং ছাড়ের পরিমাণ ছিল ২৫০ কোটি টাকা। যা ৮৫ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে।

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান ঔষধ ছাড়

ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান ঔষধ ছাড়

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেণায় ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি পশ্চিমবঙ্গের সরকারী হাসপাতালে অন্তর্গত। দুঃস্থ পরিবারের লোকজনদের চিকিৎসার পকেট খরচে কিছুটা সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তাই এই পরিকল্পনা। এই সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান কম দামে ঔষধ সরবার করা হবে রোগীদের জন্য। কিছু কিছু ঔষধের দোকানে ৫০-৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

বলা যায়, ৯৯ টি ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানগুলি ৪ বছরে ৭৭.২ শতাংশ হারে ঔষধ সরবরাহ করে। এখনো ১৫৭ লক্ষ রোগীকে ৪৪০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ঔষধ ছাড় দেওয়া হয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়াও, সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজিটাল এক্স-রে, ডায়ালাইসিস, সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই সরবরাহের জন্য মাত্র 4 বছরে 58 টি ন্যায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন উত্তরঃ

প্রঃ ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান থেকে কি ন্যায্য মূল্যের ঔষধ পাওয়া যাবে?

উঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান খোলা হয়েছে। যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে দুঃস্থ গরীব রোগীরা কম দামে ঔষধ পাবেন।

প্রঃ ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান কোথায় হয়েছে?

উঃ ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানগুলি সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে গড়ে তোলা হয়েছে।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here