মেলবোর্ন শহরে করোনাভাইরাস খুব বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা ঠিক করেছেন মঙ্গলবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার দুটি জনবহুল রাজ্যের মধ্যবর্তী সীমান্ত বন্ধ করে দেবেন। ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যবর্তী সীমান্ত সোমবারের ঘোষণার ফলে বন্ধ হয়ে যাবে। এটি ১০০ বছরে প্রথমবার হছে। এর আগে ১৯১৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লু এর কারণে এই দুই রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
আরো পড়ুন। বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাছে
করনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নে, ফলে কর্তৃপক্ষ ঐ অঞ্চলের ৩০ টি শহরে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ জানিয়েছে এবং নয়টি হাউজিং টাওয়ারকে সম্পূর্ণ লকডাউনে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একদিনে রাজ্যটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৭ জন, যেটা বলা হচ্ছে জে মহামারী শুরু হবার পর থেকে এটি সবচেয়ে বৃহত্তম সংখ্যা।
আরো পড়ুন। জাপানে রহস্যজনকভাবে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর হার কম
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে এটি প্রথম খারাপ সময় হবে কারণ প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথমবার তাদের বাজার মন্দায় পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের সাথে ভিক্টোরিয়ার একমাত্র অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সীমানা। এনএসডব্লিউ (NSW) প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেছেন, সীমানা পুনরায় চালু করার জন্য সময়সূচী নেই, অবৈধ পারাপার রোধে সেনা কর্তৃক টহল দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন। ১১ কোটি ছাড়িয়ে গেল বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
রাজ্য রেখাটি অত্যন্ত ছিদ্রযুক্ত, 55 টি রাস্তা, প্রান্তর উদ্যান এবং নদী সহ। কয়েক্তি ব্যবসার কারণে উভয় রাজ্য বিভক্ত হয়ে ওঠে সাথে কয়েকজন শ্রমিক প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
আরো পড়ুন। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে গেল মেক্সিকো
বেরেজিক্লিয়ান বলেছেন, লোকেরা সীমান্ত পেরোনোর জন্য প্রতিদিনের পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবে, তবে পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় তিন দিনের সময় লাগতে পারে। ফুলার সিডনিতে সাংবাদিকদের বলেন, “সীমান্তে দিনরাত বিমান এবং অন্যান্য নজরদারি থাকবে।”