বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে মার্কিন সরকার চিনের জিনজিয়াং থেকে আমদানি সম্পর্কে সতর্ক করল। তবে কেন এই সতর্কবার্তা? চীনের কোনও অজানা রহস্য কি রয়েছে? জানা যায় ১৩ টন মানব চুল পণ্য জব্দ করার পরই মার্কিন সরকার সতর্ক দেয় এই সংস্থাগুলিকে।
আরও পড়ুন । বন্যা-ভূমিধসের কবলে দক্ষিণ জাপান, মৃত্যুর আশঙ্কা ২০
যুক্তরাষ্ট্র কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন কর্তৃপক্ষ বুধবার চীন থেকে রপ্তানি করা পরচুলাসহ ১৩ টন চুলজাত সামগ্রী জব্দ করেছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করে চালানের উদ্ভব চীনের জিনজিয়াংয়ে হয়েছিল যার মূল্য প্রায় ৮ লাখ ডলারের সমান। চীনে নির্যাতিত ও বন্দি থাকা উইঘুর মুসলমানদের মাথার চুল জোর করে কাটা হয় এবং সেই কাটা চুল দিয়ে এইসমস্ত চুলের পণ্য রপ্তানি করা হয় চীন থেকে, দাবি করা হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থেকে। যা মানবধিকার লঙ্খনের পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন । করোনাভাইরাকে ঠেকাতে উপসাগরীয় স্থানগুলিতে চেকপয়েন্ট বসাতে উদ্যোগী মেক্সিকো
অনুমান করা হয় যে জিনজিয়াংয়ের প্রায় দশ লক্ষ উইঘুরকে আটক করা হয়েছে, এবং তাদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়। যাদের জোর করে অত্যাচার চালিয়ে চুল কাটানো হয় এবং এই চুলের পণ্যগুলি সম্ভবত রপ্তানি করছে মেক্সিন হেয়ার প্রোডাক্ট কোম্পানি লিমিটেড, যার শাখা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ।
আরও পড়ুন । মুম্বাইয়ে আজ অতি ভারী বৃষ্টি, জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট
সিবিপির নির্বাহী সহকারী কমিশনার ব্রেন্ডা স্মিথ বলেছিলেন, “এইসমস্ত পণ্য মারাত্মকভাবে মানবধিকার লঙ্খন করছে আর চীন এইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা চালাতে চাইচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অবৈধ ও অমানবিক আচরণ সহ্য করবে না”।
আরো পড়ুন। করোনা আবহে রেকর্ড গড়ল ভারত-বাংলাদেশ
জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত অবৈধ কারবারের চেইনগুলি বজায় রাখলে বেসরকারী সংস্থাগুলি মারাত্মক বিপদে পড়বে। তাই মার্কিন সরকার এইসমস্ত বেসরকারি সংস্থাগুলিকে চীনের পণ্য আমদানি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।
[Source:- abcnews.go.com“]