দুঃসংবাদ, প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিউক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হেলেনা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার হেলনার মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে লেখেন, ‘অদ্ভুত লাগছে। মিশ্র আবেগ। কেন এরকম হচ্ছে, কোনো ধারণাই নেই’। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, অমিতাভ বচ্চনের ১৯৮৫ সালের সিনেমা মর্দ-এ অভিনয় করেছিলেন হেলনা। মিঠুন চক্রবর্তীর বিয়ে পাকা হয়ে যায় মমতা শঙ্করের সাথে। তবে সেই বিয়ে আর হয়নি। পরে ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মমতা শঙ্কর চন্দ্রদয় ঘোষকে বিয়ে করেন। তার ঠিক এক বছর পর মিঠুন আর হেলেনার বিয়ে। কিন্তু সেই সালেই হেলেনার সাথে ডিভোর্স হয় মিঠুনের। এবং ওই একই সালে মিঠুন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন।
হিন্দুস্তান টাইম বাংলার তরফ থেকে জানা যাচ্ছে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে নাকি মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ৪ মাসের বিয়ে নিয়ে নাকি মুখ খুলেছিলেন হেলেনা। ওই সাক্ষাৎকারে হেলেনা জানিয়েছিলেন, ‘আমার শুধু মনে হয়, এটা যদি না হত! তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি আমার ব্রেনওয়াশ করেছিলেন যে, তিনি আমার জন্য আদর্শ মানুষ। আর দুর্ভাগ্যের কথা তিনি সেটা আমাকে বোঝাতে সক্ষমও হন। আমি তাঁর কাছে কখনো ফিরে যাব না, যদি সে আশেপাশের সবচেয়ে ধনী মানুষ হন তা-ও। আমি খোরপোশও চাইনি। ওটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল, আর তা শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি সত্যিই তাঁকে বিশ্বাস করেছিলাম, যখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি আমাকে ভালোবাসেন। কিন্তু যখন আমি তাঁকে ভালো করে চিনতে পারলাম, তখন বুঝলাম তিনি নিজেকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসে না। তিনি অত্যন্ত অপরিণত ছিলেন, এবং যদিও আমি তাঁর থেকে বয়সে কয়েক বছর ছোট ছিলাম, আমি অনেক বেশি ম্যাচিওর ছিলাম। খুব অধিকারবোধ ছিল ওর। এবং আমার প্রাক্তন প্রেমিক জাভেদকে নিয়ে আমাকে নানা কথা বলত। আমি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম যে আমি তা করিনি, কিন্তু তার গভীর শিকড়যুক্ত সন্দেহ করার প্রবৃত্তিকে নির্মূল করতে সফল হতে পারিনি।”