মার্কিন মুলুকে তেলের ভান্ডার গড়বে ভারত

মার্কিন মুলুকে তেলের ভান্ডার

প্রয়োজনের সময়ে অশোধিত তেলের মজুত ভান্ডারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে মরিয়া ভারত । তবে, সেই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে অনেক সময় লেগে যাবে, পাশাপাশি রয়েছে বড় অঙ্কের পুঁজির খরচও ।

বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার শুরু করেছে দিল্লি । যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহে সমস্যা না-হয় । বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ এক অফিসারের দাবি, এই ধরনের ব্যবস্থায় সুবিধার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ঝুঁকির দিকও রয়েছে ।

আরও পড়ুন : অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে ইইউ-এর বিশেষ প্যাকেজ

বর্তমানে ভারতের আপৎকালীন তেলের ভান্ডারের অশোধিত তেল ধারণের ক্ষমতা ৩.৮ কোটি ব্যারেল । যা আদতে এ দেশের সাড়ে ন’দিনের তেলের চাহিদার সমান । ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পরামর্শ, এই ভান্ডার অন্তত ৯০ দিনের চাহিদার সমতুল হওয়া উচিত ।

ঠিক সেই কারণেই মার্কিন মুলুকের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান । তাঁর দাবি, প্রাথমিক আলোচনা মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে । তা সফল হলে টেক্সাস ও লুইজ়িয়ানার ভান্ডারে তেল রাখবে ভারত । মার্কিন বেসরকারি সংস্থাগুলি এই ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করে। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া সেখানে তেল রাখতে শুরু করেছে ।

আরও পড়ুন : বাজি রেখে চার সপ্তাহে উচ্চতায় পৌঁছেছে গ্লোবাল শেয়ার মার্কেট

ওই সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য, প্রয়োজনের সময়ে ওই তেল ব্যবহারের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠানামাকে কাজে লাগিয়ে তেলের লেনদেনের সুবিধাও নিতে পারবে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি । যদিও পড়তি দামের বাজারে সেই সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয় ।

তবে এই ব্যবস্থায় কয়েকটি অসুবিধার দিকও রয়েছে । উদাহরণস্বরূপ :

আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামের সঙ্গেই পরিকাঠামোর ভাড়াও গুনতে হবে ভারতকে ।

তেল কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলিকে দিতে হবে আগাম দামও । যা তাদের পুঁজি আটকে রাখবে।

আরও পড়ুন : ইন্টেলের বিনিয়োগে ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাকিদের ছাপিয়ে গেল রিলায়েন্স

কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন দেশের লকডাউন। বিভিন্ন দেশে অর্থনীতি স্তব্ধ থাকলে বা সমুদ্রপথে কোনও সমস্যা তৈরি হলে, প্রয়োজন অনুযায়ী মজুত ওই তেল দেশে নিয়ে আসা দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে ।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here