গায়ের রং শ্যামবর্ণ হোক বা ফর্সা, তাতে কিছু আসে যায় না কারণ সেটি ভগবানের দান। আর সবচেয়ে বড় কথা রুপ নয় মানুষের গুণটাই আসল। কিন্তু হঠাৎ কাউকে শ্যামবর্ণ থেকে ফর্সা হতে দেখলে যেন সকলের মনে প্রশ্ন জেগেই থাক কীভাবে? ঠিক তেমনি একজন হলেন বলিউডের কাজল।
শ্যামবর্ণা রং, ধূসর চোখের চাহনিতে অভিনেত্রী কাজলের উপর ফিদা ছিল দর্শক। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। ১৯৯৮ সালে যখন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সেই কাজল কোথায়? পুরোপুরি ভোলবদল।
যত দিন যাচ্ছে তাঁর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বলেন সেলিব্রেটি বলে কথা হয়তো সার্জারি করিয়েছেন অভিনেত্রী। অস্ত্রপ্রচার করিয়ে নাকি শ্যামবর্ণ থেকে ভোলবদলে ফর্সা হয়ে গিয়েছেন এই বলি সুন্দরী।
শুধু আপনি নন এই প্রশ্নটা সবার মনের মধ্যে কীভাবে এত ফর্সা হলেন কাজল? তাঁর অনুরাগীরাও মাঝেমধ্যে অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেই সিক্রেট ফাঁস করলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এই বলিউড অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। এই ছবিতে কাজলের পুরো মুখ কালো মাস্কে ঢাকা। চোখে কালো সানগ্লাস। ছবিটি পোস্ট করে কাজল লেখেন, “এটা তাদের জন্য যারা আমাকে রোজ জিজ্ঞেস করে কীভাবে এত ফর্সা হলাম। এইভাবে”।
ছবিটির মাধ্যমে অভিনেত্রী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি সূর্যের আলো একেবারেই তাঁর মুখে পড়তে দেন না। আর এই ভাবেই তিনি ফর্সা হয়েছেন। আগে তিনি রোদে রোদে ঘুরে বেরাতেন তাই তাঁর গায়ে কালো হয়ে গিয়েছিল।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেছিলেন, “আমাকে প্রায়ই স্কিন টোন নিয়ে কথা শুনতে হয়। আমি কীভাবে এত ফর্সা হয়ে গেলাম। বিশ্বাস করুণ আমি কোনও সার্জারি করায় নি গায়ের রং পরিবর্তন করার জন্য। আগে রোদে শুট করতাম, তাই ট্যানড হয়ে যেতাম। অনেক দিন হল রোদ লাগাই না। তাই রং ফিরে এসেছে। এর বাইরে কিছুই নয়”।