ঠান্ডা লড়াইয়ের জের, দূতাবাসে নামিয়ে দেওয়া হল মার্কিন পতাকা

ঠান্ডা লড়াইয়ের জের

করোনা আবহে একেতেই শীতল যুদ্ধ চলছে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে । এবার যুদ্ধ পরিস্থিতির মতোই চেংদুর মার্কিন দূতাবাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হল আমেরিকার জাতীয় পতাকা । বেশ কয়েকদিন আগেই বেজিং –এর তরফে আমেরিকার ওই দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । তা সত্বেও ওই দূতাবাসে কাজ চলছিল বলে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি । এরপর সোমবার দেখা যায় ওই দূতাবাস থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ একটাই দাঁড়ায় । আমেরিকার সঙ্গে এবার সরাসরি সংঘাতের পথে যেতে চাইছে জিপিং-এর সরকার ।

আরও পড়ুন : যুক্তরাজ্যের এই প্রথম এক গৃহপালিত বিড়ালের পরীক্ষা ইতিবাচক ফল

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন । এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও চিনের সমালোচনা করে দাবি করেন, গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল হিউস্টনের চিনা দূতাবাসটি ।

পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও ওই চিনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলে কটাক্ষ করেছেন । তাঁর দাবি ছিল, হিউস্টনের চিনা কনসুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে,এমনকি প্রভাবও খাটায় ।

আরও পড়ুন : এক্সপার্ট বলছে, উহান অফিসিয়ালরা কোভিড-১৯ তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে

হিউস্টনের চিনা দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ায় পালটা পদক্ষেপ হিসেবে বেজিংও আমেরিকাকে চেংদুর মার্কিন দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দেয় । নির্দেশিকা জারি করে বেজিং জানায়, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে । সেখানে আর কোনওরকম কাজ চালানো যাবে না। একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধ করেছে আমেরিকা । মার্কিন মুলুকের একতরফা সিদ্ধান্তের জেরেই আইন মেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

আরও পড়ুন : বার্সেলোনা এবং পুরো কাতালোনিয়া সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে

এরপরই সোমবার দেখা যায় চেংদুর ওই দুতাবাসটির মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত । চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,”চিন আমেরিকাকে ওই দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে । আমেরিকার কন্যুলেট জেনারেলের উচিত এখনই ওই দূতাবাসের সব কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া ।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশগলগত দিক থেকে চেংদুর দূতাবাসটি আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল । সম্ভবত সেকারণেই এই দূতাবাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণদিত হয়ে বন্ধ করার পথে হাঁটল জিপিং প্রশাসন ।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here