ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প রচনা

বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প রচনা

আজকের বিষয়বস্তু ” বাংলাদেশ পর্যাটন শিল্পের রচনা ‘। রচনার তালিকায় বাংলাদেশের পর্যাটন শিল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার জন্য এই রচনাটি সুন্দর এবং সহজ ভাষায় বর্ণনা করা হল, আশাকরি ছাত্রছাত্রীদের ভালো লাগবে।

ভূমিকাঃ

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর দেশ। এখানে নদী, পাহাড়, সমুদ্র এবং সবুজ মাঠে ঘেরা। এই দেশের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ সব আকর্ষণ। তাই বলাই যায়, বাংলাদেশ পর্যাটন শিল্পের দেশ। পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব;

সামাজিক আর অর্থনৈতিক দিক থেকে পর্যাটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি দেশের পরিচয় বাড়ায়, পাশাপাশি বহিরাগতদের কাছে আমাদের সংস্কৃতির পরিচয় করায়।  সারা পৃথিবীতে পর্যাটন শিল্পের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। এর ফলে দেশের মনোমুগ্ধকর স্থানগুলো পর্যটন শিল্পে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।

মানুষের জীবনে পর্যাটনের অবদানঃ

কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে পর্যাটন মানুষকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে তরতাজা করে। নতুন জায়গা আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়, ইতিহাস আর সংস্কৃতির বিষয়ে ধারণা দেয়। পর্যাটন মানুষকে শেখায় ভিন্ন জীবনধারা আর ভাবনাকে গ্রহণ করা।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মধুর ও শান্তিময়। সবুজ শ্যামল গ্রাম, নদীর কলকল ধ্বনি পাখির মধুর সুর সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃতি এক মনোমুগ্ধকর চিত্র তৈরি করেছে। এই সৌন্দর্য প্রত্যেক পর্যটকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এ অপার রূপই পর্যটন শিল্পকে করেছে সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত।

বাংলাদেশের পর্যটনঃ

বাংলাদেশ এক অসাধারণ সৌন্দর্যের দেশ। দেশটিতে অনেক পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে – কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, “সমুদ্রের কন্যা” নামে পরিচিত কুয়াকাটা, যেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায়। এছাড়াও রয়েছে সুন্দরবন, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল।

রাঙ্গামাটি আর চা বাগান প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর। এই দেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলি দেশী-বিদেশী উভয় দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে।

পর্যটকদের প্রতি মনোভাব:

বাংলাদেশের মানুষ তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। তারা পর্যটকদের খোলা হৃদয় এবং উষ্ণ হাসি দিয়ে স্বাগত জানাতে জানে। স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় দর্শনার্থীই সাধারণত এখানে ভ্রমণের সময় নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

বাংলাদেশের পর্যাটনের চাহিদাঃ

আন্তর্জাতিক পর্যাটকদের কাছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ স্থান পাচ্ছে। বাংলাদেশের কিছু জায়গা যেমন কক্সবাজার, সুন্দরবন-এর চাহিদা আছে। তবে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা প্রচুর তাই মান উন্নয়নের দরকার। বাংলাদেশের পর্যটন প্যাকেজ, সুবিধা ও নিরাপত্তা বাড়ালে আন্তর্জাতিক চাহিদা আরও বাড়বে। এইভাবেই বৈদেশিক মুদ্রা আনা সহজ হবে।

উপসংহার

বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক পর্যাটন শিল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অর্জন করতে পারে। এ শিল্পের ভবিষ্যৎ অনেক সম্ভাবনাময়, প্রয়োজন শুধু সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ। আশা রাখা যায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যাটন শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।

Read more: 

200+ শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা । সহজ বাক্য গঠন । Make Sentence

ছোটোদের জন্য সহজ ভাষায় গরুর রচনা

বর্ষাকাল রচনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায়