ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় দুর্গাপূজা রচনা

দুর্গাপূজা রচনা

আজকের আর্টিকেলে আমরা প্রবন্ধ রচনা নিয়ে হাজির। দুর্গাপূজা রচনা একটি কমন জিনিস, যা প্রায়শই পড়াশুনোর ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজন হয়। তাদের কথা ভেবে খুব সহজ সরল ভাষায় এখানে রচনাটি শেয়ার করা হল –

দুর্গাপূজা রচনা (১০০ শব্দ) 

  1. দুর্গাপূজা বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব।
  2. সারা ভারতবর্ষে কম-বেশি এই পুজো পালন করা হয়ে থাকে।
  3. প্রতি বছর আশ্বিন মাসে দুর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে।
  4. দেবী দুর্গা শক্তির প্রতীক হিসাবে পূজিত হয়।
  5. মহালয়া থেকে শুরু হয়ে যায় মায়ের আগমনীর বার্তা।
  6. ষষ্ঠী থেকে দশমী, পাঁচদিন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
  7. শহর থেকে গ্রামে সর্বত্র প্যান্ডেল ও আলোক সজ্জায় সেজে ওঠে।
  8. পুজোর দিনগুলি মানুষ সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন।
  9. নতুন জামাকাপড় পড়ে মানুষ মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন করেন।
  10. দশমীর দিন প্রতিমা বিসার্জনে মধ্যে দিয়ে এই পুজোর সমাপ্তি ঘটে।

দুর্গাপূজা রচনা (২০০-৫০০ শব্দের)

বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব হল দুর্গাপুজা। দুর্গাপূজা বাঙালিদের জাতীয় উৎসব। শরৎকালে আশ্বিন মাসে এই পূজা পালিত হয়ে থাকে। শরৎকালে আকাশে বাতাসে বেজে ওঠে আনন্দময়ী দুর্গার আগমনী বার্তা।  মহালয়ার পর থেকেই দুর্গাপূজার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যায়। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী এই পাঁচদিন সব ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে দুঃখ-কষ্ট ভুলে মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন।  ষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্যে দিয়ে পূজা আরম্ভ হয় এবং দশমীতে প্রতিমা বিসার্জনের মধ্যে দিয়ে পূজা সমাপ্তি ঘটে।

দেবী দুর্গার দশটি হাত থাকে। দুর্গার ডান দিকে থাকে লক্ষী ও গণেশ আর বামদিকে রয়েছে সরস্বতী ও কার্তিক। এইদিনগুলো আলোক সজ্জায় সেজে ওঠে চারিদিক। মানুষ নতুন জামা কাপড় পড়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ান। প্যান্ডেলের চারপাশে নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজানো থাকে। ঢাকের বাদ্য বাতাসে বাতাসে মুখরিত হয়।  ষষ্ঠী থেকে নবমী দেবী দুর্গাকে ঘিরে আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকেন মানুষ। দশমী এলেই বিষাদের সুর বাজে সকলের মনে। বাঙালি মহিলারা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। চলে একে অপরকে আলিঙ্গন, মিষ্টি মুখ। ‘আসছে বছর আবার হবে’ এই আশা নিয়েই দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হয়।

দুর্গাপূজা রচনা (৫০০-১০০০ শব্দের)

ভূমিকাঃ

বাঙালিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল দুর্গাপূজা। আশ্বিন মাসে শরতের মেঘে ও কাশফুল জানান দেয় আগমনীর বার্তা। বাঙালির দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। মহালয়া থেকে মা-দুর্গার আগমনে আনন্দে মেতে ওঠে আপামর বাঙালি।

ইতিহাসঃ

প্রাচীনকালে অয্যোধ্যার রামচন্দ্র লঙ্কার রাজা রাবণকে বধ করার জন্য শরৎকালে অকালবোধন করে মা দুর্গার পুজো করেছিল। সেই থেকে হিন্দুরা শরৎকালে দুর্গাপূজা পালন করে।

দেবী বর্ণনাঃ

মা দুর্গা বাহন সিংহ। দেবী দশভুজা। দশ হাতে দশটি অস্ত্র থাকে। দুর্গার ডান দিকে থাকে লক্ষী ও গণেশ আর বামদিকে রয়েছে বীণাপাণি সরস্বতী ও কার্তিক। গণেশের পাশে কলাবউ মৃত্তিকা।

সময়কালঃ

সাধারণ শরৎকালের আশ্বিন মাসে এই পূজা হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপূজার এই পাঁচদিন যথাক্রমে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী।

পূজার বিবরণঃ

সাধারণত আশ্বিন মাসে দেবীর পূজা হয়। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে দেবীর পূজা হয়। দেবীর সামনে নৈবদ্য দিয়ে মন্ত্রপাঠ হয়, এরপর আরতি হয়। দশমীর দিন মাতৃ প্রতিমা বিসার্জন দেওয়া হয়। এরপরের দিন থেকে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনময় হয় ।

দুর্গাপূজা উদযাপন 

পূজা আসার অনেক আগেই শুরু হয়ে যায় কেনাকাটা। দোকানে দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। দুর্গাপুজোর এক মাস স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। গ্রাম থেকে শহরে মন্ডপ এবং আলোয় সেজে ওঠে চারিদিক। পুজোর দিনগুলো ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে দুঃখ কষ্ট ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। প্রতিমা দর্শনের জন্য মন্ডপে মন্ডপে ভিড় জমে।

উপসংহারঃ

বাঙালির মহোৎসব এই দুর্গাপূজা। একে শারদীয়া উৎসবও বলা হয়ে থাকে। পুজোর কয়েকদিন সকলে মিলে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। শারদীয়ার হাত ধরে মানুষের মধ্যে এক পবিত্র বন্ধ গড়ে ওঠে।

Read more:

200+ শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা । সহজ বাক্য গঠন । Make Sentence

ছোটোদের জন্য সহজ ভাষায় গরুর রচনা

বর্ষাকাল রচনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায়

গ্রীষ্মকাল রচনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায়

শরৎকাল রচনা ছোটদের জন্য সহজ ভাষায়

সহজ ভাষায় পরিবেশ দূষণ রচনা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা । ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় প্রবন্ধ 

রইল ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় শিক্ষক দিবসের রচনা

 ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দের রচনা

 ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় নারী শিক্ষার রচনা

শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ ভাষায় পরিবেশ দিবস এর রচনা

ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় স্বাধীনতা দিবস রচনা