ডক্টর লি মেং ইয়ান হংকংয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিপদ সব জেনে চিন তা গোপন করেছিল।
আরো পড়ুন। প্রতিদিনের বিশ্বব্যাপী ক্ষেত্রে ভারতে করোনাভাইরাস ১২ শতাংশে পৌঁছেছে
হংকং-এর ভাইরোলজিস্টের অভিযোগ চিন এই সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই জানত। কিন্তু তা প্রকাশ করেনি। এমনকি যারা জানত তাদের মুখ খুলতে দেওয়া হয়নি। আর তাতেই ডঃ ইয়ান নিজের প্রান বাঁচাতে চলে আসেন আমেরিকাতে। ডঃ ইয়ান বলেন কোভিড নিয়ে গবেষণা করা তিনি বিশ্বের প্রথম বিজ্ঞানী।
আরো পড়ুন। করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
২০১৯৬ সালের চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। তিনি আরও বলেন, “চীন সরকার হংকংয়ের বিদেশী বিশেষজ্ঞদের চীনে গবেষণার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।”
আরো পড়ুন। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জন্য নভেম্বরে মানব পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ড
ইয়ান বলেন করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা কাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন তার উপরমহলের মানুষরা। কিন্তু পরবর্তী কালে তার গবেষণা এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঐ গবেষণা থেকে বহু মানুষের জীবন বাঁচানো যেত বলে মনে করেন ইয়ান।
আরো পড়ুন। বাতাসে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস দাবি বিজ্ঞানীদের
ডঃ ইয়ান সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি জানতে পারেন ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরেই করোনাভাইরাস মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু চিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই ভাইরাস সম্পর্ক তথ্য তখন দেয়নি বরং অনেক পরে দেয়। এমনকি যখন হু-কে করোনার কথা বলা হয় তখনও এর ভয়াবহতার কথা জানানো হয়নি। সবাটাই গোপন করে যায় চিন। ইয়ানের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা প্রফেসর মালিক পেইরিসও এই ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু তিনিও এ নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করেননি।