ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি vitamin d একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করতে কাজ করে। Vitamin D benefits এই ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড়কে শক্তিশালী ও বিকাশ করে। কিন্তু ভিটামিন ডি শুধু হাড়কেই মজবুত করে না, এটি মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে তা স্বাভাবিকভাবেই চোখের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ভিটামিন ডি-তে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এর ডোজ চোখের শুষ্কতা, ছানি গঠন এবং রেটিনাল অবক্ষয়ের ঝুঁকি হ্রাস করে। তাই চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে শরীরে ভিটামিন ডি-এর সঠিক মাত্রা থাকাটা খুবই জরুরি বলা হয়। পাশাপাশি vitamin d foods গ্রহণ করাও দরকারি।
ভিটামিন ডি এর অভাব চোখের উপর খারাপ প্রভাব
শরীরে Vitamin D deficiency ঘাটতি থাকলে চোখের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি শুধুমাত্র গুরুতর কনজেক্টিভাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায় না, চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বাভাবিক মাত্রা ৩০। যে ব্যক্তির ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ১০-এর নিচে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এমন পরিস্থিতিতে কনজাংটিভাইটিসের ভাইরাস দ্রুত আক্রমণ করে।
কয়েক বছর আগে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষের ভিটামিন ডি-এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। এই ধরনের লোকেরা সহজেই চোখের ফ্লুতে আক্রান্ত হয় এবং এটি চোখের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, ভিটামিন ডি কম খাওয়ার কারণে চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের চোখের নিচে কালো দাগ এবং ফোলা বরফের অভিযোগ বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি-এর অভাবে চোখের অকাল ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তাই নয়, Vitamin D function এর ঘাটতির কারণে ব্যক্তির রেটিনাল ডিজেনারেশন হয় যার কারণে চোখের দুর্বলতা বেড়ে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই লক্ষণগুলো চোখে দেখা যায়
চোখ যদি বারবার শুষ্ক হয়ে উঠতে থাকে এবং জ্বালাপোড়া হতে থাকে তবে তা শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ। এর পাশাপাশি চোখের নিচে কালো দাগ এবং ফোলা চোখও ভিটামিন ডি-এর অভাব নির্দেশ করে। এর পাশাপাশি চোখে সারাক্ষণ ক্লান্তি বোধ করাও একটি উপসর্গ।