আমরা যাকে টেকনোলজি বলি তার বাংলা ভাষা প্রযুক্তি। টেকনোলজি ‘ শব্দটি আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু এটি একটি বিচ্ছিন্ন শব্দ। এর সঙ্গে বিজ্ঞান শব্দটি জুড়ে না দিলে পুরোপুরি কথাটি অর্থপূর্ণ হয় না। নতুন প্রজন্মের টেকনোলজি বা প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান দুটি একে অপরের পরিপূরক। একটা ছাড়া আরেকটি অকেজো। নতুন প্রজন্মের টেকনোলজি মানব সভ্যতাকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিজ্ঞানও। সকালে ঘুম থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে বিজ্ঞান জড়িত।
সূত্র :- irishtimes . com
টেকনোলজি ও বিজ্ঞানের ব্যবহার
বিজ্ঞানের কাজ হল নতুন তথ্য আবিস্কার করা। আর এই তথ্য প্রয়োগ করে যন্ত্র উদ্ভাবন করে বাস্তব সমস্যা সমাধান করা প্রযুক্তির কাজ।
সূত্র :- rangtech . com
• নতুন প্রজন্মের টেকনোলজি ও বিজ্ঞান –
গবেষণা বা পরীক্ষা দ্বারা আহরিত বিদ্যা বা জ্ঞানকে আমরা বলি, বিজ্ঞান। অজানা বিষয়ে জানা ও বিশ্বের তাবৎ বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে তাকে জেনে নেওয়াই হল বিজ্ঞান। যেমন আইজাক নিউটন বাগানে চোখের সামনে গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়তে দেখে তার মনে কৌতূহলের বাসা বাঁধে। কেন আপেলটি আকাশে না গিয়ে মাটিতে এসে পড়ল। এই কৌতূহল বশত তিনি গবেষণা করলেন পৃথিবীর ম্যাধাকর্ষণ শক্তি।
এমনই ভাবে একের পর এক কৌতূহল দেখা যায় এবং বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে বসেন।পাখি কেমন করে আকাশে উড়ে চলে, টা জেনে ফেলেন। আবিস্কৃত হয় আকাশে উড়ে চলার তত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এই তত্ত্বটি আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব রুপায়ণ করে দেখিয়ে দেয় টেকনোলজি । শুরু হয় প্রযুক্তি জয়যাত্রা। প্রযুক্তি কল্যাণে আকাশে উড়তে শুরু করে বিমানও।
সম্পর্কিত নিবন্ধ চেক করুন :-
সূত্র :- blogs . asucollegeoflaw . com
• মানব সভ্যতা উন্নয়নে টেকনোলজি ও বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ-
মানব সভ্যতার যে অভাবিত উন্নয়ন ও অগ্রগতি, টেকনোলজি ছাড়া সম্ভব হত না। প্রযুক্তির দৌলতে নানা ধরণের যন্ত্রের আবিষ্কার হয়েছে। জলে – স্থলে – আকাশে সর্বত্রই মানুষের অভিযান সম্ভব টেকনোলজি জন্য।
আকাশে যে উড়োজাহাজ উড়ছে , তা টেকনোলজির দান। টেকনোলজির কল্যাণে পৃথিবী আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। টেকনোলজির ওপর ভর করে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে চলেছি আমরা। নানা ধরণের কৃত্রিম উপগ্রহে পাঠিয়ে মহাবিশ্বের খবর সংগ্রহ করে আনছি। টেকনোলোজি ছাড়া এত কিছু সম্ভব হত না।
বড়ো বড়ো জাহাজ করে সমুদ্র পথে যে দেশান্তরে পাড়ি দিচ্ছি, তা টেকনোলজির জন্যই। প্রথম পর্যায়ে কাঠের নৌকা ও পাল তোলা নৌকা আজ বিলুপ্ত। এখন জাহাজ চলে পেট্রোল– ডিজেলে। প্রযুক্তির বা টেকনোলজির বিদ্যার আণবিক শক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলছে মানব সভ্যতা।
বিশ্বের স্থল ভাগের ওপর দিয়ে চলছে ট্রেন , মোটর গাড়ি, বাস, মেট্রো ইত্যাদি যন্ত্র। টেকনোলোজি বিদ্যাই এসব আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
সূত্র :- theconversation . com
• নতুন প্রজন্মের টেকনোলজি ও বিজ্ঞানের নানা দিক-
বিজ্ঞানকে অবলম্বন করে প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করছেন প্রশস্ত রাস্তা- ঘাট,নতুন ধরনের নগর, নুতুন ডিজাইনের ঘর- বাড়ি, ভূগর্ভ বানানো হয়েছে রেল পথ- এই সবের মূলে রয়েছে প্রযুক্তি।
টেলিফোন টেলিগ্রাফ ইত্যাদি ছাড়িয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান ও টেকনোলোজি আমাদের হাতে নিয়ে এসেছে স্মার্ট ফোন। এসে গেছে কম্পিউটারও। এই কম্পিউটার যুগের দুনিয়ায় আমাদের জীবন আরও সহজ করে তুলছে টেকনোলোজি। এই টেকনোলজির মাধ্যমে আমরা মহাকাশেও বার্তা প্রেরন করতে পারি এবং মহাকাশ যানের প্রতিটি ইতিকর্তব্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। নতুন প্রজন্মের টেকনোলজি দুনিয়ায় এই সব অসাধ্য কাজ সাধ্য হয়েছে।
চিকিৎসা জগতেও বিপ্লব এনেছে এই সব টেকনোলোজি। এক্সরে দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল, এখন তাকে ছাড়িয়ে আমরা অনেক দূর চলে এসেছি। বিভিন্ন ধরেনর যন্ত্রের সাহায্যে চলছে এখন চোখ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি প্রভৃতি অপারেশন। চলছে অবিশ্বাস্য সব কাজকর্ম।
প্রযুক্তি যেন অভাবিত উন্নতির মূল, তাকে বাদ দিয়ে যেন কিছুই ভাবা যায় না।
সারকথাঃ
বিজ্ঞান চলছে আগে আগে, প্রযুক্তি চলছে তার পিছু পিছু। বিশ্বের এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে প্রযুক্তির ছোঁয়া নেই।