নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে একেতেই দোষারপের আঙ্গুল উঠেছে বেজিং-এর দিকে । এবার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আবহের মধ্যেই সাউথ চায়না সি বা দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে রণংদেহি মূর্তি ধারণ করল বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্র চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক । বেশ কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে চিন বেআইনি ভাবে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল আমেরিকা । এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে তারা জানিয়ে দিল, দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত এলাকা আদৌ চিনের উপকূলীয় সাম্রাজ্যের অংশ নয় ।
আরও পড়ুন : কোভিড পজিটিভ হলেন ইরান সরকারের মুখপাত্র
মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো টুইটারে লেখেন, ‘‘মার্কিন সরকারের নীতি জলের মতো পরিষ্কার । দক্ষিণ চিন সাগর চিনের উপকূলীয় সাম্রাজ্য নয় । বেজিং যদি এ ভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে থাকে এবং স্বাধীন দেশগুলি সে ব্যাপারে কিছুই না করে, ইতিহাস সাক্ষী চিনা কমিউনিস্ট পার্টি আরও অনেক অঞ্চল দখল করে নেবে । আন্তর্জাতিক আইন মেনেই দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে নিতে হবে ।’’
আরও পড়ুন : চীনা অ্যাপ্লিকেশনে আরও ৪৭ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে ভারত
ভৌগোলিক ভাবে, সমগ্র দক্ষিণ চিন সাগর তিনটি দ্বীপপুঞ্জে বিভক্ত । তবে চিন গোটা দক্ষিণ চিন সাগরকেই নিজেদের সার্বভৌম এলাকা বলে বরাবর দাবি করে এসেছে । গত কয়েক বছর ধরেই সেখানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে বেজিং । কিন্তু মার্কিন সরকারের দাবি, বেআইনি ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে গিয়ে চিন অন্য কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে । যা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী ।
আরও পড়ুন : করোনার হাত রেহাই পেল না কিমের দেশ
বিষয়টি নিয়ে গত এক মাস ধরেই দু’দেশের মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে । বেজিংকে চাপে রাখতে সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরীও পাঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এর মধ্যে একটি আবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে যৌথ মহড়াও দেয় । বছরের শেষ দিকে মালাবার উপকূলেও ভারত-মার্কিন নৌমহড়া হওয়ার কথা । মারণ ভাইরাসের আবহে বিশ্বের মহা শক্তিধর রাষ্ট্রের কূটনৈতিক দ্বন্দ কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয় ।