চিনা পণ্য পুনর্নবীকরণের মধ্যেই সোমবার শীর্ষে পৌঁছালো গ্লোবাল স্টক মার্কেটগুলির শেয়ায়দর । যা চার সপ্তাহে সর্বাধিক । মারণ করোনা ভাইরাসের জেরে মার্কিন মুলুকে বেশ অনেকটাই দেরীতে ঘুরতে শুরু করেছে অর্থনীতির চাকা তার মধ্যেই শেয়ারদরের এহেন বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে মিরাকেল ছাড়া কিছু নয় ।
MSCI-এর অল-কান্ট্রি ওয়ার্ল্ড ইনডেক্স, যা বিশ্বের ৪৯ টি দেশের শেয়ারদরের গতিবিধি ওপর নজরদারি রাখে ।তাদের রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । ইউরোপীয় বাণিজ্যের চাকা ঘোরার পরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ০.৭ শতাংশ বেড়েছে শেয়ারের মূল্য ।
আরও পড়ুন : ইন্টেলের বিনিয়োগে ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাকিদের ছাপিয়ে গেল রিলায়েন্স
প্যান-ইউরোপীয় STOXX 600 এর সূচকের হার ১.৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । যার জেরেই ক্রমাগত লাফিয়ে বাড়ছে ইউরোপীয় শেয়ারগুলি । চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাড়ি নির্মাতা , শিল্পকারখানা, জ্বালানী সংস্থাগুলি এবং বিলাসবহুল পণ্য প্রস্তুতকারক বিভিন্ন সংস্থার চিনা শেয়ারগুলি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ।
জাপান বাদে MSCI-এর এশিয়া প্যাসিফিক এর সূচকের হার ফেব্রুয়ারির তুলণায় ১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । অন্যদিকে ৫ বছরের ইতিহাসে চাইনিজ ব্লু চিপসের বাজারদর ৫.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ শতাংশ ছুঁয়েছে । এমনকি জাপানের নিক্কেই, যা মূলত দেশীয় ক্ষুদ্র অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলে । বিশ্বব্যাপি শেয়ারদরের উধ্বর্গতির জেরে, ১.৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে ।
আনলক পর্বের আগে থেকেই বিনিয়োগকারীদের উৎসাহের জেরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নতি হচ্ছিল । ইউবিএস রিপোর্ট অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সিটিস ইকোনমিক সারপ্রাইজ ইনডেস্কের সূচক রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে ।
বিষয়টি নিয়ে হংকংয়ে জেফারিজের প্রধান ইক্যুইটি বিষেযজ্ঞ শান ডার্বি বলেছেন,” প্রত্যাশিত অঞ্চলগুলির মূল্যবান অর্থনৈতিক তথ্যই এশিয়া বাজারগুলির ইতিবাচক ফলাফলের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।”
আরও পড়ুন : ইক্যুইটি ফান্ড বলতে কি বোঝায় এবং কত প্রকার
অন্যদিকে পণ্য বাজারে, স্বর্ণ বিশ্বব্যাপী অতি স্বল্প সুদের হার থেকে অনেকাংশে উপকৃত হয়েছে । কারণ অনেক বন্ডের প্রভাবে অ-সুদ প্রদানকারী ধাতুকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে ।
স্পট সোনার মূল্য প্রতি আউন্স ১ হাজার ৭৭৬.২১ ডলার হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ১ হাজার ৭৮৮ ডলার ছিল ।তেলের দামের সঙ্গে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের মূল্য জুড়ে ১.৮৭৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম হয়েছিল ৪৩.৫৮ ডলার । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত ক্রুড অয়েলের দাম ০.৮৮% বৃদ্ধি পেয়ে ৪০.৯৯ ডলারে পৌঁছেছে ।