গুজরাটের আমেদাবাদ এলাকায় একটি শিশু জন্ম থেকেই স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্টোফি টাইপ-১ নামে একটি নিউরোমাসকুলার রোগে আক্রান্ত। এটি একটি বিরল জিনগত রোগ। যা বিশ্বের ১০ জনের মধ্যে একজনের দেখা যায়। এই রোগের একরত্তি শিশু তার অঙ্গই নাড়াতে পারত না।
কেবল মাত্র ১ টি ইঞ্জেকশন বাঁচাতে পারে এই একরত্তি শিশুর প্রাণ। যার দাম ১৬ কোটি টাকা। সময়মত এই ইঞ্জেকশন না দেওয়া হলে ২ বছরের মধ্যেই বাচ্চাটি মারা যাবে।
শিশুটির বাবা জানায়, “আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের বাড়ি-ঘর এবং সমস্ত কিছু বিক্রি করলেও এত টাকা জোগাড় হবে না। নিরুপায় হয়ে অনলাইনে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করি। তারপরই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় ‘ইমপ্যাক্ট গুরু’র মতো গণ-তহবিল সংগ্রহকারী সংস্থা”।
অনলাইনের মাধ্যমে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ তাদের সাধ্যমত দান করেছেন। বেশিরভাগ মানুষ ছিল মধ্যবিত্ত ঘরের। সকলে নিজেদের সাধ্যমত দান করে মাত্র ৪২ দিনেই জোগাড় হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। রাঠোর পরিবার থেকে সেই সকল মানুষকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সেই একরত্তি শিশু আজ পুরোপুরি সুস্থ মানুষের সহায়তায়। আরও একবার প্রমাণ হল মানুষ মানুষের জন্যই।