করোনা প্রতিরোধে দুধরণের ওষুধ প্রয়োগে হতে পারে বিপদ । ফরাসি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । গবেষকরা জানিয়েছেন, COVID-19-এ আক্রান্ত রোগীদের দুটি সাধারণ অ্যান্টেরেট্রোভাইরাল ওষুধের সংমিশ্রণ দেওয়া হয়েছে । এর প্রভাবে হ্রাস পেতে পারে তাদের হৃদস্পন্দনের হার ।
৪১ জন করোনা আক্রান্তের শরীরে ১০ দিনের জন্য প্রতিদিন দুবেলা লোপিনাভি এবং রিটোনাভি প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয় । ফলস্বরূপ ওই রোগীদের ব্র্যাডিকার্ডিয়া অর্থাৎ ধীর হৃদস্পন্দনের হার ২২ শতাংশ উন্নতি হয়।ফ্রান্সের এমিয়েনস ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত দলের রিপোর্ট অনুসারে ওষুধগুলি বন্ধ করা বা ডোজ কমিয়ে এলে রোগীদের হৃদস্পন্দের হার স্বাভাবিক হয়ে যায় ।
আরও পড়ুন : ওয়ার্ক ফর্ম হোমের দরুন হ্রাস পাচ্ছে কফির চাহিদা
“COVID-19 আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে কার্যকরী চিকিত্সাগুলির বিস্তৃত তদন্তের চলছে,” একথা জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজির অধ্যাপক ড গ্রেগ ফোনারো।ফোনারো আরো জানিয়েছেন, লোপিনাভির-রিটোনাভির টেস্ট রিপোর্ট খুব ছোট আকারের, এলোমেলোভাবে ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং অফ লেবেল ব্যবহারের ভিত্তিতে COVID-19 এর জন্য একটি আশাব্যঞ্জক চিকিৎসা হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল ।
তবে পূর্ববর্তী গবেষণায় বলা হয়েছে যে ওষুধের এই সংমিশ্রণটি হৃৎপিণ্ডেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে । হৃদয়ে বৈদ্যুতিক সংকেতযুক্ত একটি সমস্যা হতে পারে । ফোনারো বলেছিলেন,”ওষুধগুলি কীভাবে ব্র্যাডিকার্ডিয়ায় নিয়ে যায় তা নির্ধারণ করার জন্য আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন হবে,”। তিনি আরও বলেন, ওষুধগুলি লেখার আগে চিকিৎসকদের ব্র্যাডিকার্ডিয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত এবং সাবধানে রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত ।
আরও পড়ুন : চলে গেলেন বিশ্বকাপজয়ী জ্যাক চার্লটন, বয়স হয়েছিল ৮৫
লোপিনাভির এবং রিটনোভির সংমিশ্রণ সারস্(SARS-severe acute respiratory syndrome) ,মার্স(MERS -Middle East respiratory syndrome) এবং এইচআইভি (HIV) সহ অন্যান্য ভাইরাসের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হয়েছে । গবেষকরা লক্ষ করেছেন যে এই ওষুধের সংমিশ্রণের মাধ্যমে চিকিৎসা করা এইচআইভি রোগীদের মধ্যে ব্র্যাডিকার্ডিয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে এইবার শস্যের ফলন বেড়ে উঠল ভারতে
সাধারণত, প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদস্পন্দনের হার এক মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকে । ব্র্যাডিকার্ডিয়ায়, এই হারটি প্রতি মিনিটে ৬০-এর নিচে নেমে যায় । ফলে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পায় যা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ এবং হার্টের ফেলিওয়ের কারণ হতে পারে।