‘মায়ের বেদি সরানোর সময়…সে দিন স্টুডিয়োর গেট থেকে…,’ কোন অলৌকিক ঘটনা শেয়ার করলেন সায়ক?

সায়ক চক্রবর্তী

সায়ক চক্রবর্তীর জীবনে আবারও নতুন শুরু। এবার তিনি পর্দার খলনায়ক। স্টার জলসার ‘রাজ্যেশ্বরী রানী ভবানী’ ধারাবাহিকে রাজা রাজবল্লভ চরিত্রে অভিনয় করবেন। নতুন কাজ নিয়ে উত্তেজিত অভিনেতা। বহুদিন আবার পা রাখছেন ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে। যেখানে জড়িয়ে রয়েছে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের স্মৃতি।

বামাক্ষ্যাপা, করুণাময়ী রানী রাসমণি সমস্ত হয় এই স্টুডিয়োতে। এই স্টুডিয়োর সাথে এক অলৌকিক যোগাযোগ রয়েছে। বলা হয় সাক্ষাৎ মা বিরাজ করেন এই স্টুডিয়োতে। সেই প্রমাণও হাতে নাতে পেয়েছেন সায়ক। এবার সেই এক অলৌকিক অভিজ্ঞতা এই সময়ের সংবাদ মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।

এই সাক্ষাৎকারে সায়ক জানান, ‘এই সেটটা আমার কাছে খুব লাকি। এখানে স্বয়ং মা তারা বিরাজ করেন। যাঁরা এই সেটে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তাঁরা জানেন। ‘বামাক্ষ্যাপা’ ধারাবাহিকের সময়ে ওখানে একটা সেট তৈরি করা হয়েছিল। যেটা পরবর্তীকালে আর ভাঙা হয়নি। মায়ের বেদি সরানোর সময়ে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন মা এখানেই থাকতে চান। তাঁকে যাতে এখান থেকে সরানো না হয়। তার পর থেকে কত বছর হয়ে গিয়েছে ‘বামাক্ষ্যাপা’র। আজও কিন্তু প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে পুজো হয় মায়ের।’

সায়ক আরও বলেন, শুটিং সেটের মা তারা কতটা জাগ্রত, তা নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি। প্রথম ফ্ল্যাট কেনার সময়ে খুব সমস্যা হয়েছিল। কিছুতেই লোন পাচ্ছিলাম না। আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম। সকলের মুখে জাগ্রত মায়ের কথা শুনে একদিন সেটে গিয়ে বলেছিলাম, তুমি যদি সত্যিই থেকে থাকো, তা হলে আমার সমস্যার সমাধান করে দাও না। আমার মায়ের জন্য একটা ছাদ তৈরি করতে চাই। সে দিন স্টুডিয়োর গেট থেকে বেরতেও পারিনি। তার আগেই ফোন এসেছে আমার কাছে। সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে আমার জীবনে যা যা হয়, আমি ওখানে গিয়েই বলি। বুঝতে পারি কতটা শক্তিশালী মা।’