জি-বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে ‘যোগমায়া’। যেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা সৈয়দ আরেফিন। তবে পর্দায় তিনি নতুন মুখ একেবারেই নয়, ‘ইরাবতী চুপকথা’, ‘খেলাঘর’, ‘তুঁতে’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নায়ক তিনি। সবচেয়ে বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছেছিলেন ‘শান্টু গুণ্ডা’ চরিত্রের মধ্যে দিয়ে।
নতুন যোগমায়া শুরু হওয়ার আগে গোটা টিম সহ অভিনেতা এসেছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। এদিন দাদার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় জগতে আসা নিয়ে কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করলেন। সৌরভ গাঙ্গুলি অভিনেতাকে ‘চিত্তরঞ্জনের হৃতিক’ হিসাবে আখ্যা দেওয়ায় সৈয়দ জানান, ‘ছোটবেলায় পাগলামি ছিল, তখন কহো না প্যায়ার হ্যায় রিলিজ করেছিল। হৃতিক রোশনকে দেখে খুব ভালো লাগে। যা হয় আর কী বোকার মতো নকল করতে শুরু করি। চিত্তরঞ্জন খুবই ছোট জায়গা, ষোল হাজার কর্মী কাজ করত তখন ওখানে, ওদের মধ্যে খুব ফেমাস হয়ে যাই আমি।’
অভিনেতা আরও জানান, ছোট থেকে তিনি স্বপ্ন দেখতেন অভিনেতা হওয়ার কিন্তু তার বাবা চেয়েছিলেন ছেলে ইঞ্জিনিয়ার বা আইনজীবী হোক। তাই বাড়ির অমত থাকায় ক্লাস টুইয়েলভের পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতায় এমন কোনও জায়গা নেই তিনি থাকেননি।
অভিনেতা বলেন, ‘ রিষড়া দিয়ে শুরু করেছিলাম শেষে কলকাতায় টলিগঞ্জের কাছে গ্রামস রোড বলে একটা জায়গা আছে। স্ট্রাগল এক কথায় বলতে পারব না। আমার স্ট্রাগল দেড়শো টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল সাতশো টাকায় শেষ হয়েছিল। সেই টাকায় কীভাবে থাকা যায় কলকাতায় আশা করছি সবাই বুঝতে পারছো’।