জি-বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান । এই শোয়ের দিদি হলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়। তিনি ছাড়া এই শো ভাবাই যায়না। দিদি নাম্বার ওয়ান মঞ্চে উপস্থিত হন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি মানুষ। সকলেই দিদি রচনা বন্দোপাধ্যায়ের সামনে তুলে ধরেন নিজেদের জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ের কথা।
সম্প্রতি জীবনে কঠিন লড়াইয়ে হার না মেনে কীভাবে সাফল্য অর্জন করা যায় সেই গল্প শোনাতে এসেছিলেন কলকাতার বাসন্তী দেবী কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট মহিলা অধ্যাপিকা শ্যামলী রায়।
অধ্যাপিকা শ্যামলী রায় রচনার সামনে প্রকাশ করেন কীভাবে তিনি একজন অধ্যাপিকা হয়ে উঠলেন। তার জীবন প্রথমদিকে খুব একটা সহজ ছিল না। একসময় তিনি নিজের পড়াশুনোর খরচ জোগাতে লোকের বাড়িতে কাজ করতেন। নিজের বিয়ে করার কথা মনে হওয়ায় খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে নিজেই চলে গিয়েছিলেন পাত্রের বাড়ি।
জীবনে যখন কাউকে পাশে পাননি নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিজেই নিজের হাত ধরেছেন শক্ত করে। বিয়ের সময় পাত্র পক্ষের কাছে শর্ত রেখেছিলেন যে তাঁর মাকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিতে হবে এবং তাঁকে পড়াশোনা করার সুযোগ দিতে। কিছু মানুষ প্রথমে কথা দিলেও সময় এলে সেই কথা রাখার দায়িত্ব ভুলে যান। ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল শ্যামলী দেবীর কাছে।
সন্তান জন্মের পর কিডনির অসুখ হয়। অসুস্থ বাচ্চাকে সুস্থ করা থেকে শুরু করে তাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া এসবের মধ্যে নিজেই নিজেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে রবীন্দ্র ভারতী থেকে এম.এ পাশ করেন। তারপরই নেট পাশ করে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ২০১৭ সালে বাসন্তী দেবী কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হন তিনি। তার এই লড়াইকে বাহবা জানিয়েছেন রচনা।