রবিবার জি-বাংলার সারেগামারপা’র বিজয়ী নাম ঘোষণার পর থেকে তীব্র আন্দোলন নেটিজেনদের। কারণ নেটিজেনদের মতে, “যোগ্য বিচার হয়নি। অ্যালবার্ট কাবো জয়ী হওয়া উচিত ছিল। মহাগুরু অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র বলেই পদ্ম পলাশকে জেতানো হয়েছে”। জি-বাংলার স্টেজে আবার রাজনীতি হল, এমনি দাবি দর্শকদের।
বলাই বাহুল্য, পদ্ম পলাশকে বিজয়ী করার পর থেকে দর্শকের কাছে তুমুল কটাক্ষের শিকার হয়েছে চ্যানেল থেকে বিচারকরা। অনেকে আবার দাবি করেছেন, পুরো শোতে শুধুই কীর্তনই গেয়েছেন পদ্ম পলাশ। একজন বিজয়ী মুকুট তাঁর পাওয়া উচিত যিনি সবরকম গান জানেন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিতর্ক নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন সারেগামাপার বিজয়ী।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এক সাক্ষাৎকারে পদ্ম পলাশের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘শুধুই কীর্তন গেয়ে প্রথম হয়েছে পদ্ম পলাশ’- সোশ্যাল মিডিয়ার এই অভিযোগ নিয়ে কী বলবে? উত্তরে পদ্ম পলাশ জানান, ” যারা এই কথাগুলো বলছে, তাঁরা সারেগামাপা পরিষ্কারভাবে দেখেননি। কীর্তন আমার মূল সাবজেক্ট, সেটা বজায় রেখে আমি কিন্তু শুরু থেকেই অনেক ধরণের গান গেয়েছিলাম। আমি কিশোর কুমারের ‘গুরুদক্ষিণা’ গান গেয়েছিলাম, এবং পারফরম্য়ার অফ দ্য দে হয়েছিলাম। আমি লতা মঙ্গেশকরের ভজন গেয়েছি, লোকসঙ্গীত গেয়েছি, রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছি। কুমার শানু, অরিজিৎ সিং, মহম্মদ রফির গান গেয়েছি। তাহলে আমি সারা সিজন জুড়ে শুধু কীর্তন গাইলাম, তারা বলেন কী করে?”।
তিনি আরও বলেন, ” যারা সমালোচনা করার তারা তো করবেনই, এটা তাঁদের বাক স্বাধীনতা। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁরা প্রকৃত অর্থে সারেগামাপা দেখেছেন তাঁরা জানেন আমি সব ধরণের গান গেয়েছি”।
Source: hindustantimes . com