স্বাগতা মুখার্জী, যিনি বাংলা টেলিভিশনে অন্যতম জনপ্রিয় খলনায়িকা হিসেবে পরিচিত। প্রতিবারই খলনায়িকার চরিত্রে অভিনেত্রীকে নতুন রূপে পেয়েছে তার অনুরাগীরা। ‘বিক্রম ও বেতাল’ ধারাবাহিকে ‘কালরুদ্রাণী’র চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বাগতা। খলনায়িকার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী প্রযোজিত ‘সর্বজয়া’তেও অভিনয় করেছেন স্বাগতা। তবে বরাবরই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার পাশাপাশি গায়িকা ও শিক্ষিকাও হওয়ারও স্বপ্ন ছিল তার। খুব অল্প বয়সেই অভিনয় জগতে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
একটা সময় মুখে অনেক দাগ থাকার ফলে বহু কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। যদিও তার জন্য চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন তিনি। তারপরই তার মায়ের বান্ধবীর কাছ থেকে তাকে শুনতে হয়েছিল ‘মুখে এমন দাগ থাকলে, কখনই বিয়ে হবে না।’ যা শোনা মাত্রই চিকিৎসা বন্ধ করে দেন স্বাগতা।
মুখের দাগকে তোয়াক্কা না করেই নিজের পরিচয় তৈরি করতে মনযোগী হন তিনি। তারপরই থিয়েটারের সাথে যুক্ত হন, এরপর একের পর এক ধারাবাহিকে কাজ করেন অভিনেত্রী। অভিনয় প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, “অভিনয় শেখানোর জিনিস নয়। এটি উপলব্ধি আর নিজস্বতার বিষয়। নিজের চরিত্র থেকে অন্যের চরিত্র চিত্রায়নে নিজেকে সঁপে দেওয়ার নামই হল অভিনয়।”