স্টার জলসায় সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। যেখানে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দীপান্বিতা ওরফে অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ। এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন বছর দুয়েক। কলকাতায় অডিশন দিতে এসে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা ঘোষ সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রায়দিঘি। ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন চোখে। তার মা রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে চর্চা করেন। সেই সুত্রেই চার বছর ভরতনাট্যম শিখেছেন অভিনেত্রী। অভিনয় নিয়ে পরিবারের সকলে তাকে উৎসাহ দিতেন ছোট থেকে। তার বাবা-মা বলেছিল, ‘তুই পারবি, তুই অনেক বড় হবি’। আর সেই জেদেই আজ অভিনয় জগতে।
এখন বাবার সঙ্গে টালিগঞ্জে থাকেন স্বস্তিকা। ছুটি পেলে রায়দিঘির বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন রোজ কলকাতা থেকে রায়দিঘি যাতায়াত করতেন। সেই সময় বাবা পাশে ছিলেন। অভিনেত্রী জানায়, “তিন বছর আগে অডিশন দেওয়া শুরু করেছিলেন। রায়দিঘি থেকে কলকাতা আসতে সময় লাগত তিন ঘণ্টা আবার ফিরতে তিন ঘণ্টা। পাক্কা ৬ ঘণ্টা ট্রেন জার্নি করত হত। এমন অনেক দিন হয়েছে বাড়ি ফেরা হয়নি তার আর বাবার। স্টেশনেই রাত কাটাতে হয়েছে। বাবাও খুব কষ্ট করেছে”।
‘সরস্বতীর প্রেম’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের হাতে খড়ি। তারপরই ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের জন্য অডিশন। পনেরো-ষোলো জনের মধ্যে ভাগ্যবশত তিনি সুযোগ পেয়ে যান। অভিনেত্রী স্পষ্ট জানায়, “এখনও ঠিক করে শট দিতে পারি না, তখন খুব চিন্তা হয়। কিন্তু আমার সহ-অভিনেতারা ও পরিচালক খুব সাহায্য করেন”।
এই চরিত্রটি সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য দিন-রাত খাটছেন স্বস্তিকা। বিশ্রামের সময় ঠিকঠাক পান না। মাঝেমাঝে নাচ প্র্যাকটিস। লকডাউনে ঘরের সব কাজ শিখে নিয়েছেন। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় দীপান্বিতা চরিত্রটির জন্য মেকআপে টোন ডাউন করা হয়েছে। চরিত্রটির জন্য স্কুটি চালানো শিখতে হচ্ছে তাকে। ভোর ৬ টায় উঠে রেডি হয়ে আবার ৭ টার মধ্যে কল টাইম। এত চাপের মধ্যে অসুবিধা হয় না তার। কারণ তার জেদ রায়দিঘি থেকে কলকাতায় এসে টিকে থাকার লড়াইয়ে তাকে জিততেই হবে। বিশ্বাস, এই শহরেই একদিন ঠিক নিজের জায়গা গড়ে নেবে সে।