“বাংলায় তো কাজ পাই না…আমার দুর্ভাগ্য”, মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়

ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা সঙ্গীত জগতে ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর পরিচয় অনেকের কাছেই অজানা। মফস্বলের মেয়ে। কোন্নগরে কেটেছে তাঁর ছোটবেলা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে শুরু গানের তালিম। অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানকেই যেন বেছে নিলেন তিনি।

প্রতিভা থাকা সত্বেও সঙ্গীতজগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া-না পাওয়া, এমনকি শুধুমাত্র গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যে সহজ নয়, তা নিয়ে আনন্দবাজারের সাক্ষাৎকারে অকপট ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঋদ্ধি’র কথায়, “আমি নিজে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলাম। গানের টানে চাকরি ছাড়ি। সেই অর্থে স্রোতের বিপরীতে হাঁটি। নিজের পথ নিজেই তৈরি করেছি। সত্যি বলতে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন। আর বেশি সমস্যা হয়, যদি তুমি কারও ‘ইয়েস ম্যান’ না হও, সবাইকে ফোন না করো, আবার স্পষ্টবাদী হও। তখন সব জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।”

“পশ্চিমবঙ্গে তো কাজ পাই না। যাঁরা প্রাইভেট অনুষ্ঠান করেন, তাঁরা ডাকেন। আমার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী ‘পশ্চিমবঙ্গ সঙ্গীত মেলা’য় ডাক পায় না। ২৫ বৈশাখে সুযোগ পাই না, দ্বিজেন্দ্রলাল-অতুলপ্রসাদের অনুষ্ঠানে সুযোগ পাই না। আগে কষ্ট পেতাম। এখন মনকে বোঝাই, যা পেয়েছি আমার থেকে অনেক গুণী মানুষও পান না।”

বাংলা সিনেমাতে সুযোগ থাকলেও সেখানেও ব্রাত্য গায়িকা? ঋদ্ধি’র উত্তর, “ডাক তো আসছে না। একটা-দুটো সুযোগ পেয়েছি, সেগুলি তেমন জনপ্রিয় হয়নি। আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ‘মনোপলি’ কিংবা লবি-ভিত্তিক কাজ হচ্ছে। এখানে সবাই নিজেদের পছন্দের মানুষ কিংবা প্রযোজকের বলে দেওয়া মানুষের সঙ্গে কাজ করে। আমার দুর্ভাগ্য, কোনও লবিতে ঢুকতে পারিনি।”

আজ পর্যন্ত কোন গানের রিয়্যালিটি শোতে দেখা না যাওয়ার কারণ? ঋদ্ধি’র কথায়, হয়তো কেউ চেনেই না আমাকে। আসলে যতটা তদ্বির করলে কিংবা যতটা যোগাযোগ থাকলে এসব রিয়্যালিটি শোয়ে ডাকে, ততটা তদ্বির আমি করি না। l আর পশ্চিমবঙ্গের বহু শিল্পী ‘ওভাররেটেড’।